একটি থ্রি ডি আর্ট
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন ও সুস্থ্ আছেন। আমার শরীর যেমনই হোক, দুই দিন খুব ঘোরাঘুরির ওপর আছি। যার ফল বেশ ভালো ভাবেই ভোগ করছি। মাঝ রাত থেকে কাশি শুরু হয়। ঠিক মত ঘুমাতে পারি না। আবার ভোর থেকে কাশি টা বাড়ে। ঘুমের সময়টাতেই যত জ্বালাতন। মা মোটামুটি প্রতিবার ফোন করেই ভালোমতই বকুনি দিচ্ছে। আমি বলেছি আজ বাড়ি ফিরে কাল থেকে লক্ষ্মী ছেলের মত থাকব 🥰।
দুই দিন আগে একটা থ্রি ডি আর্ট করেছিলাম। সেটাই আজ পোস্ট করছি। আর এই জন্য সবার প্রথমে ধন্যবাদ জানাই @wahidasuma আপুকে। কারণ এই ছবিটা আমি আপুর দেখানো ধাপ অনুসরন করেই এঁকেছি। অনেক সুন্দর করে ছবিটি এঁকেছিলেন আপু। আর ওটা দেখেই আমার ছবি টা আঁকার আগ্রহ তৈরি হয়ে যায়। তো চলুন আমার আঁকা ছবিটার কিছু ধাপ দেখে নেওয়া যাক।
সবার প্রথমে ১৩ সেন্টিমিটার একটা রেখা টেনে নেই মধ্যবিন্দু সহ। তারপর সেটাকে আবার মধ্য বিন্দু রেখে প্রস্থ বরাবর ১৩ সেন্টিমিটার আরেকটি রেখা টেনে নেই।
এই পর্যায়ে এসে বিন্দুগুলো যোগ করে দেই এবং মাঝের রেখাটা মুছে ফেলি। তারপর যে চতুর্ভুজটা হলো তার প্রতি বাহুর মধ্যবিন্দু নির্ণয় করে সেখান থেকে দুই সেন্টিমিটার করে লম্ব রেখা টেনে নেই। আর চতুর্ভুজের কর্ণতে দুই সেন্টিমিটার গ্যাপ দিয়ে পাঁচটি বিন্দু নিয়ে নেই।
এইবার ওপরে দেখানো ছবির মত করে তির্যকভাবে প্রতিটা বিন্দু যোগ করে দেই। এই কাজটা বেশ সাবধানতা অবলম্বন করে করতে হয়েছে। ছোট্ট একটা ভুলের জন্যই পুরো ছবিটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ওপরের প্রতিটা বিন্দু যোগের ক্ষেত্রে আমার বেশ সময় লেগেছে। ছবি দেখে আঁকতে নিয়েও বারবার গুলিয়ে ফেলছিলাম।
সবগুলো বিন্দু যোগ করার পর ঠিক এমন একটা সেপ হয়ে গেল ছবিটার।
এবার ওপরে দেখানো ছবির মত করে ঘরগুলোতে কালো মার্কার কালি দিয়ে গাঢ় কালো করে দেই।
কিছু ঘর খালি রাখি এবং কিছু ঘরে পেন্সিল দিয়ে হালকা করে গাঢ় করে দেই। ব্যাস এভাবেই হয়ে গেল আমার থ্রিডি আর্ট টি ।
ছবিটা দেখে বেশ সহজ মনে হলেও আঁকার সময় বেশ বেগ পেতে হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। তবু যে শেষ করতে পেরেছি কোন রকমে এটাই বড় কথা। হ্যাঁ আপুর মত পারফেক্ট হয় নি হয়তো, তবে কাছাকাছি গিয়েছি তো, এটাই অনেক হিহিহিহি 😅।
আজ এখানেই শেষ করছি। কাল আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার তো সব কিছুতেই বেগ পেতে হয়😂।যাই হোক ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে,আমি ও গ্রামে গেলে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।যাই হোক সুমা আপুর কাছ থেকে ভালো একটা জিনিস শিখেছেন। থ্রি আর্ট গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে,যদি আঁকতে কষ্ট কর তবে খুব বেশি কঠিন না।যাই হোক প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপনি যে সব সময় আমাকে কুদোয়া দেন ,তাই জন্যই তো এত বাধা আসে 🤪। আমার কাছে ছবি আকা মানেই রাজ্যের সবচেয়ে কঠিন কাজ 😉
কি বলেন ভাই কাশি টা কিন্তু আস্তে আস্তে শরীরের বসে যাবে ৷ এতে পরে সমস্যা হবে ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছেড়ে ফেলুন ৷ আর এই শীতে সর্তক ভাবে চলুন ৷ আর থ্রিডি আর্ট টি বেশ চমৎকার ছিল ৷
ধন্যবাদ সজিব ভাই ৷ ভালো থাকবেন
হ্যাঁ এখন সতর্ক হয়ে চলছি। আশির্বাদ করো যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে যাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
ভাইয়া কে বলেছে আপনার ছবিটি পারফেক্ট হয়নি । একদম আমার মত হয়েছে । খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে । আর ভাই বোনের কি মিল দেখেন আমারও আপনার মত খুবই কাশি হয়েছে । জানিনা কদিনে সারবে ।তবে একটু সাবধানে থাকবেন । ধন্যবাদ।
হিহিহিহি,, ভাই বোন তো, তাই মিলে গেছে অসুখ টাও। দোয়া করবেন আপু। আর হ্যাঁ এমন আর্ট আমার জন্যে মাঝে মাঝে করবেন কেমন। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনার থ্রি ডি আর্ট চমৎকার হয়েছে। আমি তেমন আর্ট করতে পারিনি। তবে আজ ও একটি থ্রিডি আর্টের চেষ্টা করেছি। আপনি বললেন না বিন্দু গুলো যোগ করার সময় সাবধানে করতে হবে, আমার ও ঠিক তাই হয়েছে। তারপর আর চেষ্টা করিনি। যাইহোক আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও চেষ্টা করবেন আপু তাহলে একদিন আপনিও আঁকতে পারবেন নিশ্চিত। আমিও প্রথম প্রথম বেশ ভয় পেতাম। কিন্তু এখন একটু সাহস হয়েছে কয়েকটা ছবি একে।
থ্রিডি আর্টের সাথে আমি পরিচিত। আমার পড়াশোনার বিষয় যেহেতু ভূগোল তাই এখানে অনেক থ্রিডি ছবি আঁকতে হতো। ভাই আপনার থ্রিডি আর্ট খুব ভালো লাগলো। যত্নের সাথে এঁকেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্ তাহলে মাঝে মাঝে আমাদের সুন্দর সুন্দর আর্ট উপহার দেবেন দাদা। অনেক ভালো লাগবে সবার।
চমৎকার ভাই, আপনার আর্টিস্টি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে।থ্রি ডি আর্ট দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আসলে এই আর্টিস্ট গুলো দেখতে খুবই সহজ মনে হলেও এই গুলো আঁকতে অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। কারণ জ্যামিতিক পরিমাণ একটু ভুল হয়ে গেলে চিত্রাংকন সঠিকভাবে করা যায় না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই,, পুরো কাজটা শেষ করতে বেশ বেগ পোহাতে হয়। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ।
আমি তো আদরই মনে করি ভাই। এই শাসন টা আছে বলেই ভালো থাকা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
ঠান্ডার ভিতরে বেশি ঘোরাঘুরি করলেই তো কাশি হবে আর বকুনি তো খেতেই হবে। আপনি কিন্তু থ্রিডি আর্ট গুলো দিন দিন অনেক ভালো করছেন ভাইয়া। আজকের আর্টটি কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে কাছাকাছি মানে একদম পারফেক্ট হয়েছে। নিখুঁত লাগলো আমার কাছে। সোমারটা যেরকম হয়েছিল আপনার তাও ঠিক সেই রকমই হয়েছে। দেখে দেখে এত সুন্দর তৈরি করা যায় সেটা আপনারটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এখন তো যে কোন আর্টই করতে পারবেন মনে হচ্ছে।
আজ থেকে একদম লক্ষ্মী ছেলে হয়ে গেছি আপু 😊। মায়ের সব কথা শুনছি। হিহিহিহি। আমি চেষ্টা করেছি আপুর মত করে ছবিটা আঁকার। তবে কঠিন কিছু দেখলে ভয়ে হাত দিতে ইচ্ছে করে না । আপাতত সহজের দিকেই ছুটছি। দোয়া করবেন আপু।
আপনি বেশীরভাগ সময়েই দেখি 3D ছবি আঁকেন। আর সত্যি বলতে যথেষ্টই ভালো আঁকেন। 3D ছবি আঁকাটা বাচ্চাদের হাতের খেলা নয় মোটেই। মানুষের চোখকে অন্য রকম দেখতে বাধ্য করা হয়।আর এই ওয়েদার ভালো না। সাবধানে থাকবেন।
থ্রি ডি তবু জ্যামিতিক থ্রিডি আঁকার চেষ্টা করি। অন্য গুলোতে হাত দিলে গুলিয়ে ফেলবো যে একদম। মাঝে মধ্যে চেষ্টা করছি সবার ছবি আকা দেখে দেখে। অনেক ধন্যবাদ।