এলোমেলো দিনকাল
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। অনেকদিন হলো পোস্ট করা হয় না। সত্যি বলতে অন্য কারোর পোস্টও দেখা হয় না। নানান কারণে হয়তো বা সময় বা সুযোগ কোনটাই পাচ্ছিনা। তবে আমার বিশ্বাস আমি আবার ফিরে আসবো আগের মতো করেই। হ্যাঁ একটু সময় লাগবে হয়তো। তবে আমি ফিরবই।
আশে পাশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কেমন একটা যেন মানসিক চাপে ভুগছিলাম। কোন কিছুতেই মন বসছিলো না। মোটামুটি দুই মাস হয়ে যাচ্ছে বাড়িতেও যাওয়া হয় না। নানান কারণে আটকে যাচ্ছি বারবার। যাই হোক এত এত মন খারাপের ভিড়ে আরেকটা নতুন কারণ যুক্ত হয়েছে। ঢাকায় আমি আর আমার ভার্সিটির ছোট ভাই রাজিব একসাথে থাকতাম একই রুমে। কিন্তু সেই রাজীব আর দুই তিন দিন পর ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে যাত্রা করবে। ভেতরে যেমন ভালোলাগা কাজ করছে তেমন ওর শূন্যতাটাও ভীষণ রকম ঘিরে রেখেছে আমাদের বাসার সবাইকে। কয়েকদিন হল ঢাকার বাসাটা ছেড়ে দিয়েছে। আর এতেই কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে পুরো বাড়িটাই।
কয়েকদিন আগে রাজীবের জন্য ছোট্ট একটা উপহার কিনতে গিয়েছিলাম নিউমার্কেটে। একটু সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম যেন জ্যামের কবলে না পরি। তবে হঠাৎ করেই শাহবাগে গিয়ে গাড়িটা আটকে গেল। গাড়ি থেকে নেমে জানতে পারলাম সেদিন ঢাকায় রিক্সাওয়ালারা সবাই রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে। ওদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিজের কানেই শুনলাম। তবে আমি আর নিজের কোন মতামত প্রকাশ করিনি। টিএসসি পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে আবার চলে গেলাম নিউমার্কেট। একটা শীতের পোশাক কিনলাম রাজিবের জন্য।
নিউ মার্কেট থেকে আবার ফিরলাম টিএসসিতে। অনেকদিন পর মেট্রো স্টেশনে গেলাম। মেট্রো করে বাড়ি ফিরলাম। মজার ব্যাপার দীর্ঘদিন পর সেদিনই প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছিল। খুব একটা ভিড় ছিল না। বেশ ভালই লাগছিল আবার আগের রূপে মেট্রোকে ফিরে পেয়ে। যাই হোক, দিনগুলো বড্ড এলোমেলো কাটছে। কই থেকে কি হচ্ছে আর কি করছি এর সংযোগ করেই উঠতে পারছি না একদমই। তবে সবকিছুর পরেও ভালো কিছুর প্রত্যাশায় প্রতিনিয়ত সময় গুনে চলেছি।
আমরা প্রতিনিয়ত ভাবি আমরা ফিরে আসব আগের মতো। কিন্তু কেন জানি আমাদের আর ফেরা হয় না। আমি নিজেও আপনার দলে ভাই। রাজিব ভাইয়ের কথা মনে আছে আমার। উনি একসময় আমার বাংলা ব্লগের সদস্য ছিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।