বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কাটানো একদিন
নমষ্কার,,,
গরমের তীব্রতা মাত্রা অতিক্রম করছে দিন দিন। সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে একদম। গতকাল আমার পোস্টে আমি বলেছিলাম হঠাৎ করেই সকালে খবর পাই আমাদের এলাকাতে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করবে। বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না । শুনে তো অবস্থা কেরোসিন হয়ে গেল।
যাই হোক, বাড়িতে মাসি মেসো বোন বেড়াতে এসছে। আমি ওদের সাথেই আছি। হঠাৎ বাবা বলছে রাস্তায় গিয়ে দেখ কি অবস্থা। মনে হবে যেন ঘূর্ণিঝড় হয়ে সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে। আমি আর চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না বাবার কথা শুনে। গরমের মাঝে বাইরে যেতে ইচ্ছে করছিল না যদিও। তবু ভাবলাম যাই একটা উকি মারি।
তারপর গিয়ে পুরো রাস্তার অবস্থা দেখে আমার চোখ তো কপালে উঠে গেল। সব মেইন লাইনের তার খুলে রাস্তায় ফেলে রাখা। সব বাড়ির সংযোগ তার কেটে দেওয়া। নতুন পিলারে নতুন তার দিয়ে নতুন করে সব সংযোগ দেবে। তাই এত কিছুর আয়োজন।
সত্যি বলতে আমি বাইরে গিয়ে সব অবস্থা দেখে এত ভয় পাই যে, মনে হলো কদিন আর আসবে না কারেন্ট। এই গরমে হার্ট অ্যাটাক করে মরতে হবে। কিন্তু একটা ব্যাপার দেখে ভয় কেটে গেল। বিদ্যুৎ অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে জনবল নিয়ে তারপরেই কাজে নামে সবাই। সবাই এত সাবলীল ভাবে কাজ করছিল মন দিয়ে । দেখেই ভালো লাগছিল খুব।
সে যাই হোক অবশেষে দীর্ঘ আট ঘণ্টা পর বিদ্যুতের দেখা পাই। আমরা সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচি একটু। এখনও ডিস আর ওয়াইফাই লাইন চালু হয় নি। শুনলাম পরদিন নাকি করবে বাকি কাজ। এই তো একটা দুর্বিষহ দিনের গল্প গেল।
বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা যেন নিজেদের কল্পনায় করতে পারি না আর। অথচ আজ থেকে বিশ বছর আগেও এত সুযোগ সুবিধা কিছুই ছিল না আমাদের। দিন যত যাবে তত উন্নত হবে সব। পরিবর্তন আসবে আমাদের স্বভাবে। আমাদের রুচিতে।
ভালো থাকবেন সকলে।
নিজেকে সময় দিন। নিজেকে জানুন। নিজের ওপর আস্থা তৈরি করুন। 🙏🙏
আসলে বিদ্যুৎ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। অধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখন গরমের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেছে। তাইতো গাছপালার বাসাত গায়ে খুব বেশি লাগে না।আর আমরা বিদ্যুতিক পাখার উপর নির্ভর করেই বাঁচতে হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কাটানো সময় আপনাদের অনেক ঝামেলায় কেটেছে পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। ৮ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসার পর আপনারা হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। ধন্যবাদ সংকট মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
পুরো পোস্টটা এত সুন্দর করে পড়ে তারপর এত চমৎকার করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
গরমের সময় মাঝে মাঝেই আমার এদিকেও এরকম করে সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রেখে কাজ করে। আর কাজের চাপ এমন সময় শুরু হয় যখন কিনা প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে থাকে। এই সপ্তাহ খানেক আগের কথা সেদিন ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল আর প্রচণ্ড গরম। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার কিছুক্ষণ পরেই দেখি বিদ্যুৎ নাই পিডিবি তে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত লাইন বন্ধ থাকবে। খবর শুনে তো অবস্থা খারাপ এত গরমে কি আর থাকা যায় দিনশেষে আমাদের সবকিছুই মেনে নিতে হয়। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই এই গরমে এমন কর্মযজ্ঞ মোটেও কাম্য নয়। জনদুর্ভোগ বাড়ায় শুধু। অনেক ধন্যবাদ ।
কিছুদিন আগে আমাদের এখানে প্রচণ্ড ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উল্টে গেছিলো। তাই কয়েকটা দিন কারেন্ট অফ ছিল। আমারও ভয় হয়েছিল হয়তো এই সপ্তাহে কোন টায়ার এ থাকতে পারবো না কারেন্টের সমস্যা জন্য। যাইহোক খুব সহজেই সমস্যার সমাধান হয়েছে, প্রত্যেকটা দিনই সময় দিতে পেরেছি।
আট ঘণ্টা তেই যে হাল হয়েছিল আমাদের , আপনারা যে কিভাবে ছিলেন কয়েকটা দিন!! ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে।
আপনি তাও আট ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ এর দেখা পেয়েছেন। আমি একবার ১ দিন পুরো সময় বিদ্যুৎ ছড়া কাটিয়েছি। সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেলো আপনার পোস্ট দেখে।
ভাইরে এর চাইতে কষ্টের আর কিছু নাই। পুরো দুনিয়ায় যেন এতিম হয়ে যেতে হয়।
সত্যি ভাই এই গরমে কারেন্ট নেই লাইনে কাজ চলছে ভাবলে আমারই তো মাথায় হাত পড়ে যাচ্ছে কী সাংঘাতিক। আর এই তাপদহে টেকা মুশকিল হয়ে গেছে। যাক দীর্ঘ ৮ ঘন্টা পর যে কারেন্ট পেয়েছেন এটাই সন্তুষ্টি।
আসলেই তাই। শেষমেশ যে সমাধান হয়েছে এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ ভাই।