হঠাৎ চলে যাওয়া
নমষ্কার,,
গতকাল রাত বারোটা বাজতে চলছে। সবে বাইরে থেকে ঘরে এসে ফ্রেশ হব। এমন সময় হঠাৎ দেখি পিসতুতো দাদা ফোন করছে। এত রাতে দাদার ফোন দেখে একটু অবাক হলাম। মনে একটু কু ডাকলো। তারপরও ভাবলাম হয়তো মজা করতেই ফোন করেছে। ফোন টা রিসিভ করেই মজা করে বড়দা বলে চিৎকার করে ডাকছি। দেখি ফোনের ওপাশে থাকা মানুষটা হাউমাউ করে কাদছে। আমি যেন মুহূর্তেই চুপ হয়ে গেলাম। দাদা কাদতে কাদতে বলছে বড়দা আর নেই রে ভাই, বড়দা আর নেই। জিজ্ঞেস করতেই বলছে মৃদুল দা আর নেই। অর্থাৎ আমার পিসতুতো দাদাদের মাঝে সবার বড় যিনি। তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছেন।
নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। এসব কি বলছে এই মাঝ রাতে! কিভাবে কি হলো এত কিছু শোনার আগেই দাদা ফোন টা কেটে দিল। পরে পরিবারের আরেক সদস্যকে ফোন করে কিছুটা আন্দাজ পেলাম। মৃদুল দার শ্বাসকষ্ট ছিল আগে থেকেই, তার মধ্যে হাই প্রেসার আর ডায়বেটিস টা নাকি বেড়েছিল হঠাৎ। মেডিকেলে নিয়ে যেতে যেতেই শেষ সবটা। ডাক্তার দশ মিনিট সময় পর্যন্ত পান নি।
দাদার বয়সটা ৪৭,৪৮ হবে হয়তো। একটা ছেলে আছে শুধু। এত শান্ত স্বভাবের মানুষ আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। কাউকে গালি তো দূরের কথা , জোরে ধমক দিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে শুনি নি। এই তো কদিন আগে নবান্ন উৎসবে গিয়েছিলাম দাদাদের বাড়ি। কত হাসি ঠাট্টা করলাম এক সাথে। আমি সবার ছোট। তাই আদর ভালোবাসা টা সব সময় সবার কাছ থেকে বেশি পেয়েছি। এই দাদাও তেমন আদর করতো। হঠাৎ করেই মৃদুল দার চলে যাওয়াটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। থমকে গিয়েছিলাম কিছুটা সময়ের জন্য।
কিন্তু বিধাতার লিখন সবটাই। তাই মানতেই যে হবে আমাদের। পৃথিবীতে মৃত্যুই হয়তো পরম সত্য। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি দাদার আত্মাকে যেন শান্তিতে রাখে। দাদা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক। আর দাদার পরিবারটা যেন এই শোক কে সামলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
জ্বি ভাই, পৃথিবীতে মৃত্যু হয়ত আছে এমন না, নিশ্চিত চরম সত্য যে মৃত্যু নিশ্চিত। এই পৃথিবীতে আমি আপনি কেও চিরকাল থাকবে না। একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।
সৃষ্টি কর্তার নিকট আপনার দাদার জন্য প্রার্থনা করি যেন তার আত্মাকে শান্তিতে রাখেন
ঠিক বলেছেন ভাই। বাস্তবে মৃত্যুই প্রকৃত সত্য আমাদের জীবনে। অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
হঠাৎ চলে যাওয়া শিরোনামটি দেখে মনে করছিলাম আপনি একটি মজার গল্প শেয়ার করতেছেন।তবে ভিতরে গিয়ে পরে দেখি শরীরের লোমগুলো একদম শীতল হয়ে গেছে।এই ধরনের অকাল মৃত্যু গুলো মেনে নেওয়া যায় না।আফসোস হচ্ছে আমার সবাইকে তো একদিন চলে যেতে হবে।তো হঠাৎ করে চলে যাওয়াটা একটু মেনে নিতে কষ্ট হয়।সৃষ্টিকর্তা ওনার মঙ্গল করুক।উনার স্ত্রী-সন্তানদের জন্য অনেক বেশি আশীর্বাদ রইল তারা যেন ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর ভাবে কাটাতে পারেন।
লেখাটা লেখার সময় খুব খারাপ লাগছিল আপু। আমার এখনও বিশ্বাস হয় না যে দাদা আর নেই। দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।