ভ্রমন: মৌসুনি আইল্যান্ড (পর্ব- ১২) শেষ পর্ব
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো।আমি খুব বেশি ভালো নেই। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে আমার। |
---|
যাই হোক, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে দ্বাদশ তম পর্বটি শেয়ার করব।
এর আগেও বেশ কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে এই জায়গার বর্ণনা তোমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।
সকাল বেলা দূরের কয়েকটি জায়গা ঘুরে আমরা রিসোর্টে চলে আসি। এই দিনে আমাদের ভ্রমণের শেষ দিন ছিল এবং সকাল দশটার মধ্যে আমাদেরকে রিসোর্ট রুম ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল। তবে রুম ছেড়ে দেয়ার আগে আমাদের সকালবেলা চা বিস্কুট দেওয়ার কথা ছিল এবং তারা মোটামুটি আটটার দিকে আমাদের চা এবং বিস্কুট দেয়। আমাদের জন্য আনলিমিটেড চা এবং যতগুলো পারি বিস্কুট এর ব্যবস্থা করা ছিল।
সকালবেলা সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়াতে মনটা ভরে যাচ্ছিল এবং রিসোর্টের পাশ থেকেই এই ব্যাপারগুলো উপভোগ করা যাচ্ছে। আমাদের চা-বিস্কুট আর রিসোর্ট এর রুমের মধ্যে দিল আমরা সেইগুলো নিয়ে রিসোর্টের পাশে থাকা বাঁশের তৈরি একটি টঙের উপরে চলে যায় সমুদ্রের ভিউ উপভোগ করতে করতে গরম চা খাব বলে। আমাদের তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাও তারা ছিল কিন্তু সেই পাশের তৈরি টনে যাওয়ার পরে যাওয়ার ব্যস্ততা কেমন জানি হঠাৎ করেই শেষ হয়েছে সেখানে থেকে সমুদ্র প্রিয় এত সুন্দর লাগছিল সেখান থেকে আসতে ইচ্ছা করছিল না খুব জোরালো হাওয়া দিয়েছিল এবং জোয়ারের সময় হয়ে উঠছিল এই জন্য চারপাশে এক অন্যরকমের ভিউ দেখা যাচ্ছিল।
বাঁশের তৈরি টঙের উপর বসে সমুদ্রের জোরালো শব্দ শোনা যাচ্ছিল সময় যত পেরে যাচ্ছিল সমুদ্রের তীব্রতা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হচ্ছিল এর আগে এত তীব্র আমি সমুদ্র দেখিনি এত কাছ থেকে। সেখানে বসে এক কাপের উপর আরেক কাপ চা খেয়ে যাচ্ছিলাম, গরম গরম খুবই ভালো লাগছিল। আমার সাথে আমার বন্ধু গুলো এই বিষয়গুলো ইনজয় করছিল আমি মিনিটের পর মিনিট একদিকে তাকিয়ে থাকি সমুদ্রের যতদূর দেখা যায় অনেক দূরে যা যা দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল তাও তাছাড়া কিছু কিছু মাছ ধরার নৌকাও দেখার সুযোগ হচ্ছিল সেখানে বসে বসে।
আস্তে আস্তে সময় বেড়ে যায় এবং আমাদের যাওয়ার সময় চলে আসে রিসোর্ট ছেড়ে আমার বন্ধুগুলো খুব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে যায় জিনিসপত্র বেশি গোছানো ছিল না সেইজন্য আমি একটু লেট করে গোছাচ্ছিলাম তবে বন্ধুদের ব্যস্ত থেকে আমিও সবকিছু তাড়াতাড়ি করে গুছিয়ে নেই তবে গুছিয়ে রিসোর্টের সামনে একটি জায়গায় রেখে দিয়েছিলাম এবং পুনরায় আমি এই বাশের টঙে এসে শেষবারের মতো অনেক কাছ থেকে দেখতে চাই। এভাবে অনেক সুন্দর একটা সকাল কাটে আমার সেই দিনটাতে এই সকালে আমি কোনদিন ভুলবো না কারণ সমুদ্রের যে সুন্দরতা আমি সেই দিনটা উপভোগ করেছিলাম তা সত্যি অকল্পনীয় ছিল আমার জন্য।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
দেখতে দেখতে মৌসুমী আইল্যান্ডের ১২ তম পর্ব আমাদের মাঝে হাজির করলেন ভাইয়া। আপনার ভ্রমণ করা মৌসুমী আইল্যান্ডের প্রত্যেকটি পোস্ট আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আজকের পোস্ট অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে শেয়ার করা প্রত্যেকটা পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু।