অরিগ্যামি || রঙিন কাগজ দিয়ে কাঁকড়া তৈরি
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। |
---|
আজকের ব্লগে আমি তোমাদের সাথে একটি অরিগ্যামি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অরিগ্যামি বিষয়টা যে কি, সেই সম্পর্কে আমার অনেক আগে তেমন কোন ধারণা ছিল না। কাগজ বিভিন্নভাবে ভাঁজ করে যে জিনিসগুলো তৈরি করা হয় সেইগুলোকেই যে অরিগ্যামি বলা হয়, এই বিষয়টা অনেক পরে আমি জানতে পারি। আমাদের এই কমিউনিটিতে আমি অনেকদিন ধরে সবার অরিগ্যামি পোস্টগুলো দেখে আসছি। বেশ ভালো লাগে আমার কাছে এগুলো দেখতে। বেশ কয়েক মাস আগে আমি বাড়িতে কয়েকবার চেষ্টাও করেছিলাম এগুলো তৈরি করার এবং মোটামুটি সফলভাবে তৈরি করতে পেরেছিলাম । তবে এইগুলো যে কোনো দিন আমি পোস্ট আকারে শেয়ার করব সেটা ভাবিনি তখন। গতকালকে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখার সময় হটাৎ করে এই অরিগ্যামি রিলেটেড অনেক ভিডিও সামনে চলে আসে। এগুলো দেখে আমারও তখন এগুলো করার ইচ্ছা হয়। বাড়িতে রঙিন পেপার কেনাই ছিল তাই তখন বসে যাই এগুলো করতে। এর পর একটু সময় নিয়ে করে ফেলি দুটি ভিন্ন কালারের কাঁকড়া। এগুলো তৈরি করা খুব একটা কঠিন কাজ না। তবে এগুলো পোস্ট আকারে লেখা কিছুটা কঠিন কারণ বিভিন্ন ভাবে ভাঁজ করার বিষয়গুলো আমি কি করে লিখবো সেটা নিয়ে কিছুটা কনফিউজড হয়ে গেছিলাম । যাইহোক ধাপে ধাপে এটি তৈরির পদ্ধতি নিচে আমি শেয়ার করলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
● দুটি ভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ
● মার্কার পেন
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি রঙিন পেপার থেকে ১৮/১৮ সেন্টিমিটারে কাগজ মেপে কেটে নিতে হবে। এইবার কাগজটিকে মাঝ বরাবর চিত্রের মত করে ত্রিভুজ আকারে দুই বার ভাঁজ করে নিতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
দ্বিতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপে এসে নিচে শেয়ার করা চারটি স্টেপ এর মত করে কাগজটিকে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তৃতীয় ধাপ
এবার দ্বিতীয় ধাপে করা ত্রিভুজটির দুটো কোন, ত্রিভুজের মাঝ বরাবর অর্ধ পরিমাণে ভাঁজ করে নিলাম এবং সেই অর্ধ ভাঁজ করা কোন দুটিকে বিপরীত দিকে উল্টে দিলাম যা চিত্রে দেখানো হয়েছে। এবার অপর দিকে থাকা ত্রিভুজটির কিছু অংশ ভাঁজ করে নিলাম চিত্রের মতন করে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
চতুর্থ ধাপ
এই ধাপে উপরের ও নিচে থাকা কিছু অংশ ভাঁজ করে নিলাম চিত্রের মত করে।
![]() | ![]() |
---|
পঞ্চম ধাপ
পঞ্চম ধাপে মার্কার পেন এর সাহায্যে কাঁকড়ার দুটো চোখ অঙ্কন করে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
অন্য একটি কালারের পেপার নিয়ে পূর্বের পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করে একইভাবে আরেকটি কাঁকড়া তৈরি করে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
কাঁকড়া দুটি তৈরি করা হয়ে গেলে , একটি কে অন্যটির সামনে পিছনে সুন্দর করে বসিয়ে ছবি তুলে নিলাম। এছাড়াও ছোট্ট একটা কাগজের টুকরোতে নিজের নাম লেখে তাদের পাশে রেখে দিলাম। এভাবেই কমপ্লিট হয়ে গেল আমার আজকের কাঁকড়ার অরিগ্যামি পোস্টটি।
আপনার পোস্ট খুব কিউট হয়েছে, সবগুলো পোষ্টের মধ্যে আপনার পোস্ট চোখে আটকে গেল। চমৎকার একটা জিনিস তৈরি করেছেন বিষয়বস্তুটা ছিল দারুন কাকড়া।
🦀🦀 কাঁকড়া দুটিকে কিউট করার চেষ্টা করেছিলাম ভাই । যাই হোক, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমারও শুরুর দিকে অরিগামী সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। এখন অরিগামি গুলো তৈরি করতে ভালই লাগে। ঠিকই বলেছেন এগুলো তৈরি করার থেকেও পোস্টে লেখাটা বেশ কঠিন কাজ। ভাঁজগুলো ঠিক ভাবে বর্ণনা করা যায় না। যাই হোক আপনার কাকড়া দুটিকে খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। ধাপগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর অরিগামী দেখতে চাই আপনার কাছ থেকে।
যে কোনো অরিগ্যামি তৈরি করতে অনেক বার, অনেক প্রকার ভাঁজ দিতে হয় এবং প্রত্যেকবার ভাঁজ সঠিকভাবে উল্লেখ করার কাজটা বেশ কঠিন লাগে আমার কাছে। তারপরও চেষ্টা করেছি ভাঁজগুলো একের পর এক সঠিকভাবে উল্লেখ করার। ধন্যবাদ আপু, আমার শেয়ার করা কাঁকড়া দুটির এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকারভাবে কাঁকড়া তৈরি করার চেষ্টা করেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই প্রতিভা। এখান থেকে আমিও শিখে গেলাম কিভাবে কাকড়া তৈরি করে দেখাতে হয়। বেশ ভাল ছিল রঙিন কাগজের এই অসাধারণ কারু কাজ।
এই জায়গা দিয়ে যখন এটি তৈরি করা শিখে গেলেন, বাড়িতে মাঝে মাঝে এটি তৈরি করে আশেপাশে থাকা ছোট বাচ্চাদের দিয়ে দেখবেন ভাই, তারা অনেক খুশি হবে ।আমার প্রতিভা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর কাঁকড়া তৈরি করেছেন। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে কাঁকড়া তৈরি অনেক দেখেছি। তবে আপনার তৈরির ধাপগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য। চেষ্টা করেছি ভাই সুন্দর সুন্দর দুটি কাঁকড়া তৈরি করার।
বাহ দারুন তো রঙিন কাগজ দিয়ে আবার কাকড়াও বানানো যায়? আপনার থেকে অনেক সহজেই কাকড়া বানিয়ে ফেললেন। তাও আবার বাড়িতে রাখা রঙিন কাগজ দিয়ে। আপনার কাছে বেশ কঠিনই মনে হয়েছিল প্রথম দিকে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অরিগামি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটি তৈরি করা আমার কাছে খুব বেশি কঠিন মনে হয়নি আপু। তবে পোস্ট লেখার সময় কাগজগুলো কিভাবে একের পর এক ভাঁজ করেছি, সেই কথাগুলো উল্লেখ করতে গিয়ে কিছুটা কঠিন মনে হয়েছিল।
রঙিন কাগজ হোক আর সাদা কাগজে হোক না কেন এই কাগজে ভাঁজ করে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। নিজের ইচ্ছা মত কোন কিছু তৈরি করার মজাটা কিন্তু অন্যরকম। আপনি আজকে রঙিন কাগজ ব্যবহার করে কাঁকড়া তৈরি করেছেন। আপনাদেরই কাকড়া ডি ভীষণ ভালো হয়েছে। কাঁকড়া তৈরি প্রতিটা ধাপ খুব চমৎকার করে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কাগজ ভাঁজ করে করে সত্যিই অনেক কিছু তৈরি করা যায়। আমি এই কাঁকড়া তৈরি করার পূর্বে একটি বাদুড় তৈরি করেছিলাম কিন্তু সেটি কাঁকড়ার তুলনায় দেখতে কম সুন্দর হয়েছিল বলে সেটা আর শেয়ার করা হয়নি। ধন্যবাদ ভাই, আমার তৈরি করা এই কাঁকড়ার এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর একটি কাঁকড়া তৈরি করে ফেলেছেন আপনি৷ আর এই কাঁকড়ার দিকে যেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে৷ বাস্তবের কাঁকড়ার মত বোঝা যাচ্ছে এই কাঁকড়াগুলোকে৷ আর আপনি যেভাবে এটিকে ডেকোরেশন করেছেন আপনার ডেকোরেশন করার দক্ষতা অনেক ভালো৷ আর এই কাঁকড়া তৈরির দক্ষতাও খুবই ভালো৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর করে গুছিয়ে আমার করা এই কাজটির প্রশংসা করার জন্য। আমার কাজ পরবর্তী ডেকোরেশন করার দক্ষতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব চমৎকার একটি কাঁকড়া তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। রঙিন কাগজ দিয়ে যা কিছু বানানো হয় দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা ও দারুন লেগেছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর করে রঙিন কাগজের এই কাঁকড়াটি শেয়ার করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা কাঁকড়া আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার উপস্থাপনার প্রশংসা করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই কিউট কাঁকড়া তৈরি করেছেন আপনি। কাঁকড়া গুলো দেখতে অনেক বেশি কিউট লাগছে। তৈরি করার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সেটা একরকম ঠিক কথা বলেছেন আপু, কাঁকড়া কিন্তু কিউটই লাগছে!🤭 আমিও তৈরি করার পরে বিষয়টা খেয়াল করেছিলাম।