ইলেকট্রিক স্কুটি দেখতে যাওয়া
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আমি আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম একটি ইলেকট্রিক স্কুটি কিনবো। তাই নিয়ে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে আলোচনাও চলছিলো। আর এই কারণে আজ সন্ধ্যার সময় গেছিলাম ইলেকট্রিক স্কুটি দেখতে। আসলে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে নতুন নতুন জিনিস আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়। এক সময় পেট্রোল ডিজেলের গাড়ির অনেক ভ্যালু থাকলেও বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটারের একটা নতুন ভ্যালুর যুগ হয়েছে। কারণ ইলেকট্রিক স্কুটির মাধ্যমে কম খরচেও অনেক দূরত্ব ঘোরা যায়। আসলে আমাদের প্রত্যেকদিনকার কাজকর্ম করার জন্য একটা স্কুটির খুব দরকার পড়ে। তবে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত স্কুটি গুলো অনেকটাই ব্যয়বহুল চলাচলের জন্য। কারণ এগুলোতে মাইলেজ অনেক কম দেয়।
অন্যদিকে ইলেকট্রিক স্কুটি একবার চার্জ দিয়েই অনেক পথ অতিক্রম করা যায়। দেখা যায় পেট্রলে যে খরচ হয় তার দশ ভাগের এক ভাগ খরচ হয় এই ইলেকট্রিক স্কুটিতে। তাই দেখা যাচ্ছে সাশ্রয়ের দিক থেকে ইলেকট্রিক স্কুটির সাথে তুলনা হয় না। তবে এগুলোর কয়েকটি সমস্যাও যেমন রয়েছে। যেমন ব্যাটারি রিলেটেড সমস্যা হয়। তাছাড়া জড়েও চালানো যায় না। একটা নির্দিষ্ট স্পিড করতে হয়। আসলে একেকটার একেক কাজ রয়েছে। অন্য ধরনের স্কুটিতে এক কাজ এই ধরনের স্কুটিতে এক কাজ। আমার যেহেতু দূরের চলাচল করার প্রয়োজন পড়ে না কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার দরকার পড়ে। সেই ক্ষেত্রে আমার জন্য ইলেকট্রিক স্কুটি একটা পারফেক্ট অপশন বলে আমি মনে করি।
যাইহোক, সেই জন্যই আজ এই স্কুটি দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আসলে বর্তমানে ইলেকট্রিক ভেইকেলসের প্রচলন খুব বেড়েছে। এইজন্য বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের শোরুমও দেখা যাচ্ছে। আমাদের এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২ টি ইলেকট্রিক স্কুটির শোরুম খুলেছে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ড আবার কিছু কিছু চায়না থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসা। যাইহোক, যেহেতু ফিউচার এই ইলেকট্রিক ভেইকেল এজন্য ব্যাপারগুলো এখন একটু ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, আজ যখন সন্ধ্যার সময় গেছিলাম। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি একটি শোরুম এই প্রথমে গেছিলাম। চলাচলের সময় এই শোরুমটি কয়েকবারই আমি দেখেছি। সেই কারণে এখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক স্কুটি দেখলাম।
তাদের দাম সম্পর্কে একটা ধারণা নিলাম এবং এসব স্কুটি কি ধরনের মাইলেজ দেবে কি পরিমান কারেন্ট পড়বে সেই সম্পর্কে আগে থেকে জানলেও এখান থেকে পুনরায় সেগুলো জেনেছিলাম। তাছাড়া এগুলোতে কোন ধরনের ব্যাটারি ব্যবহার করলে ভালো হয় তারও একটা ধারণা পাওয়া যায়। আসলে এই নিয়ে যত ঘাটাঘাটি করা হবে ধারণাও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আর সন্ধ্যায় প্রায় এসব করে আমাদের এলাকায় প্রায় চার-পাঁচটি শোরুম ঘোরাঘুরি করি। আসলে কয়েক দিনের মধ্যেই ভাবছি স্কুটি কিনব। সেই কারণেই এই ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে গেছিলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইলেকট্রিক স্কুটি দেখে এলে, কিন্তু কবে কিনবে ভাই? কিনে ফেলো একটা স্কুটি। যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়ে যাবে। আর তাছাড়া আজকালকার ফাস্ট জীবনে সব সময় একটা গাড়ি না থাকলে সুবিধা হয়ে ওঠেনা। তবে প্রথমে গিয়ে একটা ধারণা করে এসেছ এটা ভালো। এরপর একদিন গিয়ে নতুন স্কুটি চালিয়ে ঘরে চলে এসো।
কোন কিছু কেনার আগে একটা মার্কেট রিচার্জ করা দরকার এবং আপনি স্কুটি দোকানে গিয়ে আশা করি সেটাই করে এসেছে। আমার দাদাও ব্যবহার করে এলে ইলেকট্রনিক স্কুটি। দাদার কাছে শুনেছি স্কুটি খুবই ভালো এবং মাইলেজ ও ভীষণ ভালো দেয়। বর্তমানে যেহেতু পরিবেশ সচেতনতার সময় এসে গেছে কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানান কারণে পরিবেশ অনেক বেশি দূষিত হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে মনে হয় ইলেকট্রিক স্কুটি অনেকটাই লাভবান। আর ইলেকট্রিক স্কুটি চার্জ দেওয়ার জন্য আপনি যদি কোন সোলার সিস্টেম ব্যবহার করেন তবে তো সোনায় সোহাগা।
ইলেকট্রিক স্কুটি আমার আব্বুর একটা ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে উনি সেটা পরিবর্তন করে বাইক কিনেন। এখন নিয়মিত সেই বাইকটা চালাচ্ছেন। আসলে ইলেকট্রিক স্কুটিতে ব্যাটারির সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি হয়। তবে খরচের দিক দিয়ে একেবারে সাশ্রয়ী। কারণ একবার চার্জ দিয়ে বেশ কয়েকঘন্টা চালানো যায়। যাইহোক আশা করি খুব শীঘ্রই আপনি ইলেকট্রিক স্কুটি কিনতে সক্ষম হবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।