লাইফ স্টাইল || বার্গার কিং গেছিলাম একটু খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে ।
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে লাইফ স্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে আমি শেয়ার করবো। আসলে এই পোস্টটিতে খাওয়া-দাওয়া করতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। বাড়ির খাবারের থেকে বাইরের খাবার আমাদের অনেক বেশি ভালো লাগে। যদিও এর কারণ আমরা জানি না, তবে বাড়ির খাবার খেতে খেতে একটু বোরিং হয়ে গেলেই আমরা চলে যাই বাইরে কোন কিছু খাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাছাড়া নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতেও অনেক ভালো লাগে।
নতুন নতুন জায়গায় গেলে নতুন নতুন ধরনের খাবার টেস্ট করা যায়। আমাদের আশপাশের যে রেস্টুরেন্ট আছে, আমি চেষ্টা করি মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে নতুন নতুন খাবার ট্রাই করার। কয়েকদিন আগে আমি আমার এক বন্ধুকে নিয়ে গেছিলাম বার্গার কিং। আসলে ওইখানে যাওয়ার প্ল্যান আমার ছিল না, আমার বন্ধুরই ছিল। সে-ই আমাকে এই জায়গার কথা বলেছিল। এই বার্গার কিং কয়েক বছর হয়েছে নতুন আমাদের এখানে খুলেছে। এটি আগে ছিল না যদিও। যাইহোক, বন্ধুর কথায় আমি সেখানে যেতে রাজি হয়ে যাই। আসলে বার্গার কিংয়ের নাম শুনেই তোমরা বুঝতে পারছো, এখানে ফেমাস বার্গার হবে। আমরা মূলত বার্গার খাওয়ার উদ্দেশ্যেই এখানে গেছিলাম।
এখানে প্রথমবার গিয়ে আমার বেশ ভালই লেগেছিল। এই রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা ছিল অসাধারণ। তবে এখানে গিয়ে প্রথম অবস্থায় অর্ডার করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল আমার। কারণ এইখানে অর্ডার করার সিস্টেমটা আলাদা ছিল। প্রথমে গিয়ে টেবিলে বসতে হয় তারপর ফোন থেকেই অর্ডার করা যায়। তাছাড়া ভিতরে কিছু স্ক্রিন দেওয়া রয়েছে সেখানে লোক দাঁড়িয়ে থাকে, সেখান থেকেও অর্ডার করা যায়। এই ব্যাপারগুলো এখন অনেক জায়গায় দেখা যায় । বিশেষ করে একটু বড় রেস্টুরেন্ট হলে এইভাবে অর্ডার নেওয়ার সিস্টেমটা রয়েছে। যাইহোক, ফোনে এই বার্গার কিংয়ের অ্যাপ নামিয়ে অর্ডার করলে কিছুটা অফার পাওয়া যাবে।
সেজন্য প্রথমে আমি আর আমার বন্ধু টেবিলে বসে আগে এই অ্যাপ নামাই। তারপর সেখান থেকেই আমরা খাবার অর্ডার করি, দেখি কিছুটা এক্সট্রা বেনিফিট পেয়েছিলাম সেখান থেকে অর্ডার করে। এখানে যে টেবিলগুলো রয়েছে সেখানে বারকোড দেওয়া রয়েছে। সেগুলো স্ক্যান করলেই সেই টেবিল অনুযায়ী অর্ডারটা হয়ে যায়। যাইহোক, যেহেতু প্রথম প্রথম করছিলাম তাই এগুলো করতে আমাদের একটু সময় লেগে যাচ্ছিল। আমাদের অর্ডার করতে মোটামুটি কুড়ি মিনিটের অধিক সময় চলে যায়।
যাইহোক, অবশেষে আমরা বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোল্ড ড্রিঙ্কস তাছাড়া আরও কিছু চিকেনের আইটেম এবং কিছু ভেজ আইটেম অর্ডার করি। অর্ডার করার পর আমি আর আমার বন্ধু বসে সেখানে গল্প করতে থাকি। এখানে প্রথম গেছিলাম তাই আমরা কিছু কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম নিজেদের। তারপর রেস্টুরেন্টের ভিতরেও কিছু ফটোগ্রাফি করি। আসলে এখানে খুব বেশি ভিড় ছিল না। আমার যদিও একটু ফাঁকা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো লাগে। কারন সেখানে মানুষের অনেক কথা বলা শোনা যায় না, একটু সাইলেন্ট পরিবেশ থাকে। আর সাইলেন্ট পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে আমার ভালো লাগে। যাইহোক, আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার গুলো আমাদের টেবিলে চলে আসে। তারপর আর অপেক্ষা না করে আমরা আমাদের খাবার গুলো এনজয় করতে থাকি।
প্রথমে আমাদের যে কোল্ড ড্রিঙ্কস দিয়েছিল তাতে বরফ দেয়নি। অর্থাৎ একটু ঠান্ডা কম ছিল তাই পুনরায় আমরা তাদেরকে বলে সেই কোল্ড ড্রিংকসের ভিতরে বরফ দেওয়ার ব্যবস্থা করি। যাইহোক, এইখানে যে খাবারগুলো খেয়েছিলাম আমাদের কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আমরা এখানে মোটামুটি ৩০ মিনিটের মতো সময় থেকে খাওয়া-দাওয়া এবং গল্প করি। তারপর পুনরায় আমরা একসঙ্গে দুই বন্ধু মিলে বাড়িতে চলে আসি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম , নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |