সুন্দর একটা পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানো ||পর্ব -০১
বন্ধুরা ,
তোমরা সবাই কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি। সুন্দর একটা পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানো নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব আমার আজকের ব্লগে। সপ্তাহখানেক আগের কথা হবে নীলগঞ্জের একটি জায়গায় ঘুরতে গেছিলাম আমি এবং আমার দাদা। নীলগঞ্জের সেই জায়গাটির নাম হলো বেড়াবাড়ি। এইখানে বড় একটি বিল রয়েছে। আমি বছরে অনেকবার সেখানে ঘুরতে চলে যাই যখনই কাজের ফাঁকে একটু সময় পাই। খুবই সুন্দর একটা পরিবেশ পাওয়া যায় সেখানে গেলে। তাছাড়া মনের ভিতর আলাদা একটা শান্তিও লাগে সেখানে কিছু সময় কাটাতে পারলে। এই বিলটির একটি নামও রয়েছে নামটি হলো বর্তির বিল।
এই জায়গাটি চার থেকে পাঁচ বছর আগেও মানুষের অপরিচিত একটি জায়গা ছিল কিন্তু এখন এই জায়গাটি মানুষের ছোটখাটো ভ্রমণের জন্য সুন্দর একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে। পিকনিক স্পট বা অন্য কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পরিচিত নয়। যাদের স্কুটি বা বাইক আছে তারা এখানে ঘুরতে চলে আসে, সুন্দর একটা পরিবেশে দেখা পায় সেই জন্য দিনে দিনে জায়গাটি অনেক ফেমাস হয়ে গেছে। আমি যেদিন এখানে গেছিলাম আমি স্কুটিতে করেই গেছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে এখানে যেতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন পড়ে। যাইহোক প্রথমে গ্রামের মেঠো পথ শেষ করে আবার মাটির পথ হয়ে ঢুকে যেতে হয় এই বিলের মধ্যে । বিলের মধ্যে ঢোকার পরেই সম্পূর্ণ খোলা একটা পরিবেশ পাওয়া যায় ।যেখানে গেলে একটা ওপেননেস ফিল হয়।
ঋতু ভেদে এই বর্তির বিলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যেমন বর্ষাকালে যে মাটির রাস্তা হয়ে আমরা বিলের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম সেই মাটির রাস্তা সম্পূর্ণ জলের নিচে থাকে। বর্ষাকালে এইখানে নৌকা দিয়ে পর্যটকরা ঘোরাঘুরি করে কিন্তু আমরা যেহেতু শীতের শুরুর দিকে গেছিলাম তাই বিলের সম্পূর্ণ জল প্রায় শুকিয়ে গেছিল। বিভিন্ন ঋতুতে ফসলেরও ভিন্নতা দেখা যায় যেমন বর্ষাকালে এখানে পাট ও ধান উৎপাদন করা হয় এবং শীতকালে এখানে পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবজি লাগানো হয়। আমার ফটোগ্রাফিতে সব জায়গা চাষ করা দেখা যাচ্ছে সেই সব জায়গায় পেঁয়াজ লাগানো হবে। শীতের সময় এখানে পেঁয়াজ বেশ সস্তায় কিনতে পাওয়া যায় তাই আমরা শীতকালে মাঝে মাঝে সেখান থেকে বাড়ির জন্য পিঁয়াজ কিনে নিয়ে আসি। আমি যেহেতু এখানে বিকালের দিকে গেছিলাম সূর্য ডুবে যাওয়ার এক সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। আমি অনেকক্ষণ এই সুন্দর পরিবেশে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম।
এরকম খোলা জায়গার অক্সিজেন গ্রহণ করে খুব শান্তি লাগছিলো , সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ অক্সিজেন। এই বর্তির বিল অনেক বড় এর একাংশে আমি অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম, চাষ করা জমির একপাশ থেকে অন্য পাশে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। এইখানে সময় কাটানোর সময় প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করছিল। এই বিলের কিছু অংশের মাটি বেশ নরম ছিল । আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে সেই জল শুকিয়ে যাওয়ার জন্য তাই সেই সব জমিতে তখনও চাষ করা হয়নি। সেই নরম মাটিতে আমি খালি পায়ে হেঁটেছিলাম , খুব সুন্দর লেগেছিল আমার সেই মুহূর্তগুলো। বিলের একাংশে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমি অন্য একটি অংশে চলে যাই। সে অংশে গিয়েও আমি বেশ সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছিলাম। তাই নিয়ে পরের আরেকটি ব্লগে তোমাদের সাথে কথা হবে।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান:বেড়াবাড়ি, নীলগঞ্জ, বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
সুন্দর পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে সবারই ভাল লাগে।আপনার ফটোগ্রাফিগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর আর খোলামেলা।সুন্দর একটি পরিবেশে সুন্দর মুহুর্ত কাটানো অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে সত্যিই সবার অনেক ভালো লাগে। সুন্দর একটি জায়গায় কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলে মনের ভিতর একটা আলাদা শান্তি অনুভব হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর পরিবেশে গিয়ে কিছু সময় কাটাতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম জায়গাটা বেশ খোলামেল এবং খুব সুন্দর। ঋতু ভেদে জায়গার অবস্থা পরিবর্তন হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে নৌকা নিয়ে চলাচল করে এটা যেন অবাক হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর পরিবেশে কাটানোর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই পরিবেশটা অনেক খোলামেলা ছিল । হ্যাঁ ভাই বর্ষার সময় এইখানে অনেক জল হয়ে যায় এবং নৌকা নিয়ে সবাই ঘোরাঘুরি করে। অসাধারণ সুন্দর একটা পরিবেশের দেখা পাওয়া যায় বর্ষাকালের সময়। কয়েক মাস পর এখানে পেঁয়াজের সমারহ দেখা যাবে। তখন এইখানে পুনরায় ঘুরতে গেলে শত শত একর জমিতে চাষ করা পেঁয়াজের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আপনি নীলগঞ্জের বেড়াবাড়ি অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে এমন চমৎকার শান্ত পরিবেশে সময় কাটতে পারলে নিশ্চয় অনেক ভালো লাগতো। পরিবেশটা খুবই চমৎকার ছিলো। আপনার তোলা প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুব দৃষ্টিনন্দন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সেই দিন এই শান্ত পরিবেশে সত্যিই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জায়গাটি খুব সুন্দর। শীতকালে পিকনিক করার পক্ষে একদম আদর্শ জায়গা। আপনার তোলা প্রকৃতির ছবিগুলোও খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ ভাই শীতকালে পিকনিক করার জন্য সত্যিই আদর্শ একটি জায়গা। আমরাও কয়েকবার ভেবেছি এইখানে গিয়ে পিকনিক করব কিন্তু আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে জায়গাটি হওয়ার কারণে আমাদের বার বার এই পিকনিক করার প্লান ক্যান্সেল করতে হয়েছে । এই শীতে ইচ্ছা আছে এইখানে গিয়ে একটা পিকনিক করার।
আপনার এর আগের বর্তির বিলের ফটোগ্ৰাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল। এবার সেই বিলের সুন্দর পরিবেশে একটু সময় কাটিয়েছেন আর তার সাথে খুব সুন্দর কিছু ছবিও তুলেছেন। এমন খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে আমারো খুব ভালো লাগে। এই মাটিতে খালি পায়ে হেঁটেছেন আবার বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্ৰহন করে তো আপনি নিজেও মনে হচ্ছে বিশুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। ধন্যবাদ এই সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ওই সুন্দর পরিবেশে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নেওয়ার ভিতর একটা আলাদা শান্তি ছিল। খুবই সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম আমি সেদিন সেখানে গিয়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য।