আমার বাংলা ব্লগ। এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি।
এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি - ১
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা হয়তো এতক্ষণে চিনতে পেরেছেন গাছটা কি গাছ। যদিও সবুজ চিরল চিরল পাতায় পরিপূর্ণ গাছটি।এই গাছের ফুল মনকে উজ্জ্বল করতে এবং রঙিন স্বপ্ন দেখাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে স্কুলের এক কোনায় এই গাছের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। হ্যাঁ আর এটাই হচ্ছে সেই কৃষ্ণচূড়া। আর আমি এই কৃষ্ণচূড়া গাছের গল্পই করছিলাম এতক্ষন।
ফটোগ্রাফি - ২
![]() |
---|
আমার শৈশব কৈশোর যখন কেটেছিল আনন্দ গণ মুহূর্তগুলো এই মেঠো পথে দৌড়াদৌড়ি করে। আর আজ এই মেঠো পথ হারিয়ে গেছে। এখানে ছিল না কোন বসতবাড়ি। ছিল শুধু ধান চাষের তিন ফসলা জমিন। আজ আর বড় বিল দেখা যায় না। শুধু নতুন নতুন বাড়ি, তবে সেই সাথে সবুজের উপস্থিতি অনেক বেশি। বলতে গেলে উৎপাদন হচ্ছে নতুন অক্সিজেনের ভান্ডার গড়ে তোলা হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ৩
![]() |
---|
আমি যখন কৈশোরে পা দিয়েছিলাম তখনও এই রাস্তার দুপাশে কোন গাছ-গাছি ছিল না। এবং কি যে গাছগুলো ছিল আজ তার অস্তিত্ব নেই। রাস্তার দুপাশে ছিল বড় বড় তালগাছ। আজ শুধু নতুন গাছের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে ওই গাছগুলো উপড়ে ফেলার কারণ একটাই। যখন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল তখন ওই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি - ৪
![]() |
---|
সামনে পিচ ঢালা রাস্তা, রাস্তার পাশে থাকা খালি জমিন পড়ে আছে। আর সামনের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে মহাবন এমাজন। আসলে কি তাই না, ওরকম কিছু নয়। সামনের যেই জঙ্গলের মত লাগছে এটাই হচ্ছে আমার বসতবাড়ি। আর এই জায়গাটা আমার বাড়ি থেকে ঠিক উত্তর দিকে থাকা অবস্থায় এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম। আমার কাছে এই ফটোগ্রাফিতে এতটাই দারুন লেগেছে যা বলে বোঝানো সম্ভব না।
ফটোগ্রাফি - ৫
![]() |
---|
শৈশব কৈশোর দুরন্তপনা বেড়ে উঠা এখান থেকে পিস ডালা রাস্তার পাশে যে মেঠো পথটি সাপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে ওই রাস্তার মাথায় ছোট্ট বাড়িটাই আমার। আমার বাংলা ব্লগের অনেক বন্ধু হয়তো এর আগে দেখেছেন এই চিত্রটি। তবে ঋতুর পরিবর্তনে সৌন্দর্যেরও পরিবর্তন হয়। তাই নতুন করে আবার আপনাদের সামনে নিয়ে আসা।
ফটোগ্রাফি - ৬
![]() |
---|
ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে থেকে নিয়েছিলাম এই ফটোগ্রাফিটা, যাতে করে আঁকাবাঁকা রাস্তাটা ভালো করে দেখতে পায় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা। তবে সামনের যে বাড়িটা দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে আমার পুরাতন বাড়ি, আমার দাদার বাড়ি। আর ওই বাড়ি থেকে আমরা নতুন বাড়িতে এসেছি। মেঠো পথের মাথায় আর যে পিজ ঢালা রাস্তা থেকে ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি ওই রাস্তাটা গিয়েছে আমাদের পুরাতন বাড়ির সামনে দিয়ে। কত হাজার গল্প কত হাজার স্মৃতি পড়ে আছে এইখানে। যদি বেঁচে থাকি হয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করব জীবনের বেড়ে ওঠার গল্পগুলো।
ফটোগ্রাফি - ৭
![]() |
---|
অনেকেই হয়তো বুঝেছেন যে আমি রাস্তা এবং গাছপালা কে কেন্দ্র করে ফটোগ্রাফি টা নিয়েছি, আসলেই না। ফটোগ্রাফি টা নিয়েছি ছবিটা জুম করলেই দেখতে পারবেন একটা বিল্ডিং এর কোন বেরিয়ে আসছে। আমার ফটোগ্রাফিতে শৈশবে কৈশোরে এখানেই কেটে গেছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ডিপের পানির মধ্যে গোসল করে এবং ড্রেনের মধ্যে পানির সাথে সাথে দৌড়ানো। আবার কিছু কিছু সময় পানির মধ্যে শুয়ে থাকতাম আর সেই পানি নিয়ে যেত দূর থেকে বহুদূর। আর এখানে যে ডিপ টি ছিল ওই ডিপের পানি দিয়ে পুরো গ্রাম জুড়ে ফসলের পানি দেওয়া হতো। কিন্তু আমার মেম্বার কাকা মারা যাওয়ার পরপর সেটাও বিলীন হয়ে গিয়েছে। এখন এই জায়গাটা শুধুই স্মৃতি।
ফটোগ্রাফি - ৮
![]() |
---|
হয়তো অনেকেই দেখে বুঝতে পেরেছেন বা অনুমান করেছেন বন্ধুকে নিয়ে গল্প করছি আসলে তা নয়। সালোক বাবু এসেছে বেড়াতে, তাই তাকে নিয়ে কৈশোর এবং শৈশবের কেটে যাওয়া স্থানগুলোতে বসে গল্প করছিলাম। এখানে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি হাজারো স্বপ্ন হাজারো গল্প। তাই সেই গল্প করার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম। আমার বাংলা ব্লগে স্মৃতি হয়ে থাকবে, যদি কখনো মন চায় সেই স্মৃতিতে গাঁথা দিনে ফিরে যাওয়ার জন্য, হয়তো আমার বাংলা ব্লগে আসলেই দেখতে পাবো আমার এই গল্প করার সময়টুকু।
আপনার এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে কৃষ্ণচূড়া গাছের কথা আর কি বলবো । এই গাছকে কেন্দ্র করে কত গান কবিতা লেখা হয়েছে তা তো আমরা সকলেই জানি। আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকদিন পর এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি আবারও দেখা হলো। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাঙ্খিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
গ্রামের সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি, সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা ওভারল খুব সুন্দর হয়েছে আজকের ব্লগটি। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে অনেক শান্তি লাগে মনে। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকৃতিকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। সালোক বাবুর সাথে আপনি আপনার শৈশব এবং কৈশোরের কাটানো স্থানগুলোতে বসে গল্প করছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।
আসলে ঠিক বলেছেন ওই দিনের বিকেলটা ছিল স্মরণীয় একটা দিন। আমি কখনো সালোকদের কে নিয়ে ঘোরাফেরা করি নাই। আপনার কাছেও ভালো লেগেছে এটাই বা কম কিসে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমরা শত ব্যাস্ততার মাঝেও বারবার এই আমার বাংলা ব্লগে ফিরে আসি, কারন এখানে মনের প্রশান্তি পাওয়া যায়। আপনার কয়েকটি ছবি বেশ ভালো লেগেছে। তবে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার লেখাগুলো, বেশ হৃদয় থেকে লেখার চেষ্টা করেছেন। আর পোস্টে লেখার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনাদের অনুপ্রেরণা এবং ভালোবাসা আমাকে স্বচ্ছতা শিখাচ্ছে। আপনাদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গ্রাম বাংলার আঁকা বাঁকা মেঠো পথের এমন হৃদয় জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আসলে আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসলে আপনি একটু বেশি বলেছেন। আমি এত ভালো ফটোগ্রাফার নয়। তবে নিজের গায়ের সোনা মাখা মাটিতে দেহখানি গড়ে উঠেছে। তাইতো লিখতে গিয়েও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আপনার ভালো লাগার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।