আমার বাংলা ব্লগ। স্বরচিত কবিতা-কৈশোরের জীবন।
স্বরচিত কবিতা।
কৈশোরের জীবন।
![]() |
---|
কবিতা, কিংবা গল্প, অথবা ইউনিক কোন রেসিপি, অথবা হাতের কোন কারু কাজ, নিয়ে আমার বাংলা ব্লগের উপস্থিতি প্রিয় বন্ধুদের। তাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য চিন্তার শেষ নেই। অবশেষে চিন্তার অবসান ঘটিয়ে একটা কবিতা নিয়ে হাজির হলাম "কৈশোরের জীবন"। আশা করি আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের ভালো লাগবে। যদিও আমি কোন কবি নয়। আমার বাংলা ব্লগে অনেক নামিদামি কবি রয়েছেন। তাদের মাঝে তাদের অনুপ্রেরণায় তাদের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি। আর তাদের অনুপ্রেরণা তেই ছোট্ট প্রয়াস কবিতা লিখা।
প্রতিটা মানুষের জীবনটাই রঙিন স্বপ্নে গেরা থাকে কৈশোরের জীবনটা। কৈশোরের আনন্দ ফুর্তি এবং রঙিন স্বপ্ন নিয়ে উড়ে বেড়ানো টাই প্রত্যেকটা কিশোরেরই প্রধান কাজ। কৈশোর জীবনটা এতটাই আনন্দদায়ক যেখানে থাকে না কোন ভয় ভীতি। যেখানে হতে চায় সব সময় সেরাদের সেরা। আমার কাছে মনে হয় যেন পারবো না এরকম কোন ডিকশনারিতে ছিলই না। কৈশোরের জীবনটাতে এত বেশি উপভোগ করেছি এতটা বেশি রঙিন ছিল যা কল্পনা করলেই এখন মুচকি হাসি অথবা চোখের কোনে জল জমে থাকা ছাড়া আর কিছু নয়।
পুরোপাড়া প্রথম পুরো গ্ৰামে ঘুরে বেড়ানো ছিল এই প্রধান কাজ। প্রধান কাজের মধ্যে খেলাধুলো পিছিয়ে নেই। পিছিয়ে নেই কোন দুষ্টামি আর দূরন্তপনার শেষ নেই। এক একদিনে এক একটা গল্প তৈরি হতো। কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গুলো সৃষ্টি করে দিত মহা বিচার। সেখানে উপস্থিতি মহল্লার মানুষের মাঝে বিচার কার্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক বিশ্লেষণের পরে রায় হত ভবিষ্যৎ আর এগুলো করা যাবে না, ভালো কিছু করার চেষ্টা কর।
কিন্তু বন্ধুবান্ধবের মাঝে মারামারি দুষ্টুমি খেলাধুল া এগুলো কি আর ছাড়া যায়। একটা মানুষ যখন কর্মজীবনে পা রাখে অথবা সংসারের বোঝা কাঁদে ওঠে তখন সে জীবন সম্পর্কে কিছু বুঝতে শিখে। জীবনের মুহূর্ত সম্পর্কে উপলব্ধি করতে শিখে। আর কৈশোরের দুরন্তপনা যখন থাকে তখন এগুলো মাথায় একেবারেই আসে না। তখন পরিকল্পনা থাকে আগামীকাল কি করব, কোথায় যাব, কি খেলা হবে, কার সাথে হবে, এই থাকতো জল্পনায় কল্পনায়। পেটে খিদা থাকতো একবেলা খেতে পারতাম না তবুও আনন্দের সীমা ছিল না এটাই ছিল আমার কৈশরের জীবন।
স্বরচিত কবিতা।
কৈশোরের জীবন।
মুক্ত পাখি হয়ে আকাশের পানে উড়েছি দিনের পর দিন
মনে ছিল পণ জীবনে কারো কাছে হবো না রিণ
উড়ছি তো উড়ছি এপার থেকে ওপারা গ্রামের পরে গ্রাম
সন্ধ্যের পরে ঘরে ফিরা এটাই ছিল প্রধান কাজ
সন্ধের পরে লেট হলে উঠাবে ফিঠের চাম
যেখানে যাই যত দূরেই থাকি মন করত ঘরে ফিরে যাবো
মায়ের বকুনি বাবার শাসন ছিলাম কলিজার ধন
তবুও কেন দূরে ঠেলে দেয় প্রিয় আপনজন
মায়ের বকুনি বাবার শাসন খেতাম দিব্য প্রতিদিন
সকাল হতেই ভুলে যেতাম রাতের কাহিনী
সকাল থেকেই উড়ন্ত সূচনা মনে জল্পনা কল্পনা নেই শেষ
এভাবেই কেটে যেত দিনের পর দিন লাগতো বড়ই বেশ।
খেলার মাঠে হাসির ছলে লাগতো ভীষণ বেশ
এই নিয়েই লাগতো এ বাড়ি ও বাড়ি ঝগড়ার নেই শেষ
একদিন দুইদিন না যেতেই কাঁধে দিয়ে হাত
বন্ধুরা সকলে মাঠে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে হয়ে যেতাম কাৎ
অজানা জায়গা ভ্রমণ করতে লাগে যে কত মধুর
কৈশোরের জীবন্ত নয় ছিল যেন সুমধুর
প্রতিদিনের যাত্রা আবিষ্কার হতো নতুন গল্প
ডাইরিতে লেখা হতো প্রতিদিনই অতি অল্প অল্প
কখনো কখনো লাগতো মনে ভালোবাসার কোমল পরশ
ভালোবাসা নাকি ভালোবাসা কল্পনার কিছু
প্রতিদিনই নিতাম প্রিয় মানুষের শুধুই পিছু
প্রাণ চঞ্চল মেয়েটি যেন বোঝে নাই কিছু
চলার পথে হত দুজনের দেখা পড়তো চোখে চোখ
ভালোবাসা নয় তো যেন বুকের মাঝে চিনচিন ব্যথা এ কেমন সুখ
চোখের আড়াল হতে না হতেই মনে অস্থিরতা
কখন আবার হবে প্রিয় ভালবাসার মানুষের সাথে দেখা
হরিণী চোখে তাকাতো যখন চোখের আড়াআড়ি
ইচ্ছে করে বুকে জড়িয়ে নিই খুব দ্রুত অতি তাড়াতাড়ি
জানি যা হবার নয় তা কখনো হবে না
তবুও ভালোবাসার জন্য ধরতাম হাজার বায়না
কৈশোরের উড়ন্ত মনে উড়ন্ত চিঠি লিখতাম তাহার সনে
নানান কথা বলে বেড়াতো পাড়া মহল্লার লোকজনে
মনের অজান্তে হয়ে যেত অনেক কেলেঙ্কারি
হারিয়ে যায় ভালোবাসা হারিয়ে যায় মনের হাসি
যন্ত্রণায় কেটে যেত রাতের পরে রাত
অজানা ছিল ফিরে পাব জীবন কখন হয়ে যেত প্রভাত
কৈশোরের জীবনের ঝড় তুফান গুলো সামলাতে পারে কয়জনে
মৃত্যুর যন্ত্রণা দিয়ে থাকে কৈশোরের জীবনের প্রতিটা ক্ষণে ক্ষণে।
কখন জানি হারিয়ে ফেলেছি মনের অজান্তে কৈশোরের দিন
কৈশোর মানেই এখন শুধু স্মৃতির পাতার দিন
কৈশোরের কথা মনে হলেই ফিরে যাই অতীতে
কৈসর মানেই এখন স্বপ্নে দেখা সোনালী দিন।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে "কৈশোরের জীবন" ছোট্ট কবিতা খানি। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভালো মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন। কবিতার লাইনগুলোর এত সুন্দর ভাবে মিলন ঘটিয়েছেন যা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে।
আপনাদের ভালোবাসা এবং উৎসাহ নতুন কিছু করার ইচ্ছে জাগে। সব সময় সাথে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে। ছোটবেলায় কত দুষ্টুমি করেছি। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়িয়েছি । সন্ধা হলে একটা ভয় কাজ করতো বাসায় গেলেই বকুনি নিশ্চিত। আপনার কবিতা পড়ে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে আপনার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরে সত্যি আমি আনন্দিত। কাঙ্খিত মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কে বলেছে আপনি কবি নয়? কবি না হলে কি এত বড় একটা কবিতা লেখা সম্ভব। তাও আবার কবিতাটির মাধ্যমে কিশোরের জীবন আনন্দ মুহূর্ত সবকিছুই তুলে ধরেছেন। আমার পক্ষে তো এরকম ভাবে লেখা অসম্ভব। আপনার লেখাগুলো সত্যি বলতে একদম প্রফেশনাল কবিদের মতোই হয়েছে। আপনার কবিতাটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন একেবারে কিশোরী জীবনে হারিয়ে গেলাম। আশা করি আপনার কাছ থেকে এরকম আরো সুন্দর সুন্দর কবিতা দেখতে পাবো।
ভাইয়া আপনার কবিতাটা তো দারুণ লাগলো। অনেক সুন্দর ছন্দের মিলন ঘটিয়ে কবিতাটা শেষ করলেন,অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Hi, @robiull,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP