আলোকচিত্র : শান্তিনিকেতনে কিছুদিন -১০
আজকে ভেবেছিলাম পোস্ট করবো না । পোস্ট করার টাইম মিস করেছি । হঠাৎ করে বিকেল ৪টার দিকে টিনটিনবাবুর খুব জ্বর এলো । প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । ওর খুবই কম জ্বর হয় । আর জ্বর হলে একদম নেতিয়ে পড়ে । দেখতে দেখতে এক ঘন্টার মধ্যে জ্বর ১০৩ ডিগ্রী ছাড়িয়ে গেলো । আর দেরি করা উচিত নয় ভেবে প্যারাসিটামল সিরাপ খাইয়ে দিলাম ৯ মিলি । এরপরে গ্যাস্ট্রিক এর ওষুধ নেক্সপ্রো স্যাচেট খাইয়ে দিলাম ১ প্যাকেট । এক ঘন্টার মধ্যে ৬ টা নাগাদ জ্বর ছেড়ে দিলো । ৯৮.৯ ডিগ্রী টেম্পারেচার দেখে স্নান করতে গেলাম । স্নান করে দেখি সারা ঘর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । ব্যাস নিশ্চিন্ত মনে ভোট দিতে বসে গেলাম ।
আর জ্বর আসেনি । এখন পোস্ট করতে বসলুম । আজকে আমার শান্তিনিকেতন ট্যুরের ফোটোগ্রাফির লাস্ট এপিসোড । এরপরের এপিসোডটা শুধুমাত্র ভিডিও পোস্ট হবে ।
সোনাঝুরির হাটের মাঝামাঝি আবার একদল সাঁওতালির সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো । তনুজা আরেক প্রস্থ নাচ করলো । আমি ভিডিও করলাম । আদিবাসীদের সঙ্গে সেলফি তুললাম ।
কয়েকটি সাঁওতালি নাচের ফটো তুললাম । এরপরে তনুজা ও টিনটিনের সাথে সাঁওতালিদের একটা গ্রূপ ছবি তুলে ফেললাম চটপট ।
তারপরে এক জায়গায় দেখি বাউলদের গানের আসর বসেছে । বেশ কয়েকটি গানের ভিডিও রেকর্ডিং করলাম । বেশ ক্লিয়ার উঠলো সাউন্ডসহ । এরপরে বাউলদের কিছু ফোটোগ্রাফও তুলে ফেললাম ঝটপট ।
তার পরের দুই ঘন্টা শুধুই কেনা-কাটি । কোনো ছবি তুলতে আর পারিনি । শুধু এক ধারসে কিনে চলেছি আমরা ক'জনা ।
সোনাঝুরির হাটে দুই বাউল বসে গান গাইছে
তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ৪ টা ২৭ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সোনাঝুরির হাটে আরেকদল সাঁওতালীদের নাচা-গানা
তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সোনাঝুরির হাটে সাঁওতালীদের সাথে তনুজা ও টিনটিন এর গ্রূপ ফটো
তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সোনাঝুরির হাটে দুই সাঁওতালী বাজনদারের ফটো
তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ৪ টা ৪২ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সোনাঝুরির হাটে দুই সাঁওতালীদের সাথে আমার কিছু সেলফি
তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ৪ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
RME, Thank You for sharing Your insights...
@tipu curate 10
Upvoted 👌 (Mana: 0/9) Get profit votes with @tipU :)
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
হ্যা, শান্তিনিকেতনে সাঁওতালীদের সাথে নাচের কিছু দৃশ্য আগেও দেখেছিলাম, যেখানে বৌদিও ছিলো। বেশ দারুণ ছিলো দৃশ্যগুলো আর কেনা কাটা, সত্যি বলতে এই রকম পরিবেশে দাদা কেনা কাটার মাঝেও দারুণ একটা শান্তি পাওয়া যায়। তবে ভালো লাগলো শুনে যে টিনটিন বাবু এখন সুস্থ্য এবং বেশ খেলাধূলা করছে। এই সময়টা সত্যি খুব খারাপ যাচ্ছে, চারদিকে শুধু জ্বরের খবর শুনা যায়।
Thank You for sharing...
টিনটিন বাবু কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছে এটাই শুকরিয়া। 🤲 আসলে আমার সন্তানেরা অসুস্থ হলে সত্যিই খুব চিন্তায় পড়ে যাই।
দাদা সাঁওতালদের নিয়ে আপনার পোস্টটি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার সেলফিগুলো দারুন ছিল।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🤗
যাক টিনটিন বাবু যে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আর আমরা দেখতে দেখতে শান্তিনিকেতনের ফটোগ্রাফির শেষ এপিসোডেও পৌঁছে গেলাম। প্রত্যেকটি এপিসোড চমৎকার ছিল ।আজকের এপিসোড বেশ ভালো লাগলো । মেলার ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল। মনে হল যেন আপনার সঙ্গে আমরাও মেলাটি ঘুরে ঘুরে দেখতে পারলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank You for sharing...
টিনটিন বাবুর জ্বরের কথা শুনে সত্যি প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কারণ এখনকার জ্বর খুবই ক্ষতিকর। ঈদের দিন থেকে আমিও জ্বরে ভুগছি। তাই বুঝতে পারছি কষ্টটা কতটুকু। টিনটিন খুবই ছোট মানুষ। তাই এই জ্বরে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি ছিল। তবে যাই হোক এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। শান্তিনিকেতনের এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো দাদা।
টিন টিন বাবুর অসুস্থতার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। যাক জ্বরটা অবশেষে নেমে এসেছে তার জন্য একটু স্বস্তি পেলাম। এটা ঐদিন বিকেলে বৃষ্টি ভেজার কারো নয় তো দাদা। শান্তিনিকেতনে আপনার ফটোগ্রাফ গুলো অনেক সুন্দর ছিল । বাউলদের ফটোগ্রাফ গুলোও অনেক ভালো লেগেছে।
Thank You for sharing...
অনেক সুন্দর দাদা এবং দৃশ্যগুলো এপার বাংলা লোকেদের কাছে নতুনত্বের অনেকা অংশেই আভাস রয়েছে। যা মনকে একটা অন্যরকম অনুভূতি দিল। আপনাদের মাধ্যমে শান্তিনিকেতন গ্রামের কার্যক্রম গুলো আমরা এখন থেকে উপভোগ করি। এজন্য কৃতজ্ঞতা ও সেই সাথে শুভকামনা।
দাদা যদিও আমি এই ছবিগুলোর কিছু কিছু অংশ বিগত সময়ে দেখেছিলাম । তবে প্রথমেই আজ টিনটিনের জ্বরের খবরটা শুনে খুব কষ্ট পেয়ে গিয়েছিলাম । যাইহোক পরে অবশ্য ভালো লাগলো , জ্বর ছেড়ে গিয়েছে এটা শুনে । মোটামুটি শান্তিনিকেতনের সবগুলো এপিসোড আমার দেখা শেষ, শুধুমাত্র ভিডিও দেখার অপেক্ষায় আছি ।
Thank You for sharing...