Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৯
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৯
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৮
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ?
আশা করি সবাই সুস্থই আছেন ।
গতকাল রাতে ঘুম হয়নি তাই আজকে দুপুরের খাওয়ার পরে লম্বা একটা ঘুম দিয়ে উঠলাম এই মাত্র । উঠে দেখি প্রায় রাত ন'টা বাজে । তাই আর সময় নষ্ট না করে ফ্রেশ হয়ে টুক করে বসে গেলাম পোস্ট লিখতে । আজকে একটু তাড়াহুড়ো করে সংক্ষিপ্ত পোস্ট করছি ।
আজকের পর্বে থাকছে মেরিন লাইফ এর দ্বিতীয় এপিসোড। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীকুলের সংরক্ষিত স্টাফ করা দেহ এখানে শেয়ার করা হলো ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব সামুদ্রিক প্রাণীবর্গের স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :
১. বোয়াল মাছ
২. কাতলা মাছ
৩. রুই মাছ
৪. অস্ট্রেলিয়ান লাঙ মাছ
৫. স্টিং রে বা শংকর মাছ
৬. সোর্ডফিশ বা তলোয়ার মাছ
৭. ডাবল স্পটেড কুইনফিশ
৮. ইন্দো-প্যাসিফিক কিং ম্যাকারেল
৯. রেইনবো রানার
১০. ব্ল্যাবারলিপ স্ন্যাপার
১১. ব্যারাকুডা
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
স্বাদু জলের মাছ । মাছ তিনটি চিনতে পারছেন ? এগুলো হলো আমাদের অতি পরিচিত মাছ । বাঁয়ে বোয়াল, ডানে কাতলা এবং নিচে রয়েছে প্রকান্ড একটি রুই মাছ । মিউজিয়ামে এই মাছগুলো বিশাল বিশাল সাইজের ছিল । একেকটা ১০-১৫ কিলো ওজনের হবে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি বিশালাকৃতির লাঙ মাছ । অস্ট্রেলীয় সমুদ্রে এই মাছের বাস, তাই একে অস্ট্রেলিয়ান লাঙ মাছ বলা হয়ে থাকে । এটি একটি জীবন্ত জীবাশ্ম প্রাণী । প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন বছর ধরে অপরিবর্তিত অবস্থায় এরা পৃথিবীতে টিকে আছে । মেরুদন্ডী জীবন্ত জীবাশ্ম প্রাণীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান লাঙ মাছ-ই সর্ববৃহৎ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি বিশালাকৃতির স্টিং রে বা শংকর মাছ । আমাদের কলকাতায় এই মাছটিকে বলে শাপলা পাতা মাছ । নদী ও সমুদ্র উভয় জায়গাতেই এদের বিচরণক্ষেত্র । শাপলা ফুলের পাতার মতো গোলাকৃতি এরা, দুই পাশে রয়েছে ঝালরের মতো পাখনা আর পিছনে রয়েছে সুদীর্ঘ একটি লেজ । আগে শংকর মাছের লেজ দিয়েই চাবুক তৈরী করা হতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই বিশাল আকৃতির অদ্ভুত ছুঁচালো মুখওয়ালা মাছের নাম হলো সোর্ডফিশ বা তলোয়ার মাছ । এদের মুখে সুদীর্ঘ একটি তলোয়ারের মতো ঠোঁট আছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অনেকগুলো সামুদ্রিক মাছ । বাঁদিক হতে ডাবল স্পটেড কুইনফিশ, ইন্দো-প্যাসিফিক কিং ম্যাকারেল, রেইনবো রানার, ব্ল্যাবারলিপ স্ন্যাপার এবং ব্যারাকুডা । ব্ল্যাবারলিপ স্ন্যাপার দেখতে অনেকটা ভেটকি মাছের মতো । কিন্তু আকারে বিশাল, ওয়েট প্রায় ১০০ কিলোর মতো । আর ব্যারাকুডা হলো হাঙরের পরে সব চাইতে হিংস্র প্রাণী । মুখ ভর্তি ধারালো দাঁতের সারি । চোখের নিমেষেহে শিকারকে দুই টুকরো করে ফেলতে পারে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
মেরিন লাইফ আমার ভীষণ পছন্দ। সোর্ড ফিস এবং স্টিংরে খুবই ভালো লাগলো। লাল মাছ আপনার পোষ্টই প্রথম দেখলাম।
মেরিন লাইফ সম্পর্কে জানতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। আজকের পর্বে বেশ অনেক ধরনের মাছ দেখতে পেলাম। এর মধ্যে বেশিরভাগ মাছ সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। যেমন: অস্ট্রেলিয়ান লাঙ মাছ, শংকর মাছ, তলোয়ার মাছ ,ব্যারাকুডা ইত্যাদি মাছ আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে, আপনার করা পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি প্রতিনিয়ত। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা স্টাফ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমাদের দেশীয় মাছগুলো এখানে রয়েছে। আরো অন্যন্য সব চমৎকার মাছের সমাহার। ভীষণ ভালো সবকিছু। শুভ কামনা সবসময়ই রয়েছে দাদা।
দাদা,প্রথম ছবিতে বোয়াল,কাতল আর রুই মাছের সাথে আমার চোখে আরও একটি মাছ ধরা পড়ল। এটি হলো বাইন মাছ, সেটা কিন্তু বলেন নি😁😁তাই আমি বলে দিলাম।আর আজকের এই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো কোনো পুকুরে দেখতেছি,আর সেই পুকুরের পানি একদম স্বচ্ছ তাই এত সুন্দর দেখাচ্ছে।অসাধারণ সবগুলো ফটোগ্রাফি হয়েছে দাদা।
শুধু প্রথম তিনটি মাছ আমার পরিচিত বাকি মাছ গুলো কখুনো দেখি নাই।আজ প্রথম চিত্রের মাধ্যমে এগুল দেখার সোভাগ্য হলো।২৯ তম পর্ব দারুন ভাবে সাজিয়েছেন দাদা।ভালোবাসা নিবেন😍😍
দাদা আপনি আজকের পর্বে যেসব প্রাণীকুলের বা মাছের স্টাফ করা দেহের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে স্বাদু পানির মাছ গুলো আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। বোয়াল মাছ, কাতলা মাছ রুই মাছ এগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের তাজা মাছ। এছাড়াও বাকি যেসব সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রাণীর স্টাফ করা দেহের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
দাদা আপনি মেরিন এপিসোডের অনেক ষ্টাপ করা মাছের ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। অনেক মাছ আছে যেই গুলো নাম জানতাম না আপনার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের স্টাফ করা ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে ২৯তম এপিসোড পর্যন্ত পরিচিতি দিয়েছেন। এইটা সত্যি এইটা খুবই আশ্চর্য। আমাদেরকে অজানা অনেক তথ্য দেওয়ার জন্য এবং কি আমাদের সাথে 29 তম এপিসোড পর্যন্ত সবকিছু অনেক সুন্দর করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
দাদা সোর্ডফিশটা দেখতে খুবই সুন্দর । এবং শংকর মাছটিও দেখতে খুবই ইন্টারেসটিং। অনেক গুলো সামুদ্রিক মাছ সম্পর্কে জানতে পারলাম আপনার আজকের এপিসোড থেকে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।❤️❤️
সাগর হচ্ছে এক বিশাল তথ্য ভান্ডার। যার বেশিরভাগই এখনো মানুষের অজানা। আপনার মাধ্যমে প্রতিদিন মজার মজার সব তথ্য জানতে পারছি। পিরানহা নামের একটি মুভি দেখেছিলাম যেখানে ভয়ানক এক প্রাগৈতিহাসিক মাছ কোনো একভাবে বর্তমান সময়ে চলে এসেছিল। আজকের এই লাং মাছ দেখেও আমার তেমনই মনে হল। বিভিন্ন অপরিচিত মাছের সঙ্গে আমাদের পরিচিত কিছু মাছও দেখতে পেলাম। ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে কখনো মিউজিয়ামটি দেখতে যাব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
দাদা যত গুলো নতুন নতুন পর্ব যাচ্ছে নতুন নতুন কিছু না কিছুর সাথে পরিচিত হচ্ছি। আজকে আবার মেরিন এপিসোডে সামুদ্রিক প্রাণীকুলের সংরক্ষিত স্টাফ করা মাছের দেহের সাথে পরিচিত হবো।
দাদা স্টিং রে বা শংকর মাছের সম্পর্কে জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে দাদা। এই মাছের লেজ দিয়ে যে চাবুক তৈরি হয় এটা সম্পর্কে অনেক শুনেছি আব্বুর কাছ থেকে।এই মাছের বিবরণ দিয়ে আবার মনে করিয়ে দিলেন আব্বুর কথা😥।
দাদা আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো।