Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৫
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৫
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৪
হ্যালো বন্ধুরা,
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ? আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন । কাল পার্কে গিয়ে ঝড়ের মধ্যে পড়েছিলাম । ও সে কি ধুলোর ঝড় রে বাবা । আমরা একটি বেঁটে তালগাছের নিচে ঘাসের উপরে বসে স্যান্ডউইচ খাচ্ছিলাম এমন সময় উঠলো ঝড় । ধুলোর ঝড় তাই দ্রুত পুরো স্যান্ডউইচটাকেই একবারে মুখের মধ্যে পুরে দিলাম । তারপরে না পারি গিলতে না পারি ফেলতে । এ এক ভারী মজার সমস্যা । এর পর ধীরে ধীরে পুরোটাই গলাধঃকরণ করে জল খেয়ে একটু সুস্থ হলাম এমন সময় । আর কি ? বৃষ্টি । বড় বড় ফোঁটায় পড়া শুরু মাত্র টিনটিনকে কাঁধে নিয়ে দিলাম দৌড় ।যদিও আমার ইচ্ছে ছিল বৃষ্টিতে খানিক ভিজি , কিন্তু সঙ্গে টিনটিন ছিল তাই ইচ্ছেটা বাদ দিলাম ।
এরপরে শপিং মলে গিয়ে গরম কফি খেয়ে চাঙ্গা হলাম । এরপরে অনেকক্ষন ধরে নানা জিনিসপত্র কিনে রাত সাড়ে ন'টার দিকে বাড়ি ফিরলাম ।
আর কথা না বাড়িয়ে আজকের মিউজিয়াম পর্বটা শুরু করি -
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে ত্রয়োদশতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট বারোটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী প্রাচীন ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বাচ্চাদের দুটি খেলনা
২. একটি সুপ্রাচীন চীনা মাটির ভাস
৩. একটি বহু পুরোনো চীনা মাটির বাসন
৪. একটি সুপ্রাচীন চৈনিক ঘর সাজানোর শিল্পবস্তু
৫. মর্মর পাথরে তৈরী একটি প্রাচীন ভারতীয় ভাস্কর্য
৬. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এটি একটি মাস্টারপিস দাবার বোর্ড ও ঘুঁটি
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অনেকগুলি শিল্পবস্তু - হাতি, সিংহ, ল্যাম্প শেড, বাক্স
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী প্রাচীন ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বাচ্চাদের দুটি খেলনা । বাঁ দিকের টা একটি গাভী আর ডান দিকের টা হলো একটি কুকুর । গাভী আর কুকুরের মূর্তি দুটি একেবারে নিখুঁত তৈরী করা । মনোমুগ্ধকর খেলনা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি সুপ্রাচীন চীনা মাটির ভাস । নীল রঙের উপরে সাদা রঙের ফুল, লতা-পাতার নান্দনিক কারুকার্য ভ্যাসটির গায়ে ।অপূর্ব দেখতে সত্যি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি বহু পুরোনো চীনা মাটির বাসন । থালাটি প্রকান্ড এবং নানা ধরণের ফ্লোরাল ডিজাইনে সৌন্দর্য্যমন্ডিত । সাদা রঙের থালাটির গায়ে নীল রঙের লতা-পাতা, লাল-গোলাপি-হলুদ রঙের ফুল এবং সবুজরঙের ফুলের পাতা দিয়ে নকশা করা । সত্যি অপূর্ব দেখতে থালাটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি সুপ্রাচীন চৈনিক ঘর সাজানোর শিল্পবস্তু । এই শোপিসটি পুরোটাই চীনা মাটির তৈরী । সাদার উপরে নীল রঙের নানা রকমের ফুল, লতাপাতার ডিজাইন করা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মর্মর পাথরে তৈরী একটি প্রাচীন ভারতীয় ভাস্কর্য । এটি একটি পাগড়ি পরিহিত প্রাচীন রাজপুরুষের প্রতিমূর্তি । মর্মর পাথর মানে মার্বেল স্টোন কেটে, খোদাই করে মূর্তিটি নির্মাণ করা হয়েছে । এবং পরে মোম পালিশ করা হয়েছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এটি একটি মাস্টারপিস । প্রকান্ড একটি নকশা করার থালার উপরে একটি সাদা-কালো খোপ কাটা দাবার বোর্ড । আর দু'পাশে সাজানো দাবার ঘুঁটি । যেহেতু সব ঘুঁটি গুলোই হাতির দাঁতের তৈরী, তাই এরা সাদা রঙের । তাহলে প্রতিপক্ষের ঘুঁটি চেনার উপায় ? উপায় হলো ঘুঁটির ডিজাইনে । দুই পক্ষের ঘুঁটির ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা । তাই সহজেই বোঝা যাবে কে কালো আর কে সাদা ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অনেকগুলি শিল্পবস্তু । উপরের তাকে রয়েছে হাতির সারি । মধ্যের সারির বাম দিক থেকে রয়েছে কারুকার্যময় ল্যাম্প শেড, সিংহের সারি এবং আরেকটি কারুকার্যময় হাতির দাঁতের তৈরী ল্যাম্প শেড । আর একেবারে নিচের তাকে রয়েছে একটি নানান নক্সাকাটা প্রাচীন হাতির দাঁতের তৈরী গয়নার বাক্স ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা আপনার Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৫ এ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর অনেকগুলো ঐতিহাসিক ছবি দেখতে পেলাম। ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে।
বিশেষ করে এই ঐতিহাসিক ছবিটি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ছবিগুলো আমাদের মাঝে এরকম পর্যায় অনুসারে উপস্থাপন করার জন্য।
এইটা বেশি সুন্দর লেগেছে ,বাকি গুলোও সুন্দর। মাঝে মাঝে আমারও বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে । ভয় হয় যদি ঠান্ডা লেগে যায় ।
দাবার বোর্ড টি সত্যিই অসাধারণ। হাতির দাঁতের এত সুন্দর কারু কাজ করা। দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আজকের এপিসোড এর প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ ছিল। সর্বশেষ ফটোগ্রাফি টিতে হাতির দাঁতের শিল্পবস্তু গুলো দারুন লেগেছে আমার কাছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা এসব প্রাচীন কারুকাজ সম্পন্ন বিভিন্ন জিনিসের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা আপনার লেখা পড়ে একটু হাসি পাচ্ছিল। ঝড়ের কবলে পড়ে একটা স্যান্ডউইচ একবারে মুখের ভিতর দিয়ে দিলেন।
এই দৃশ্যটি একদম তাক লাগিয়ে দেয়ার মত ছিল। হাতির দাঁতের তৈরি কারুকার্যের শিল্প গুলো কতটা সুন্দর হতে পারে সেটা এই ছবিটা দেখলে বোঝা যায়।
দাদা,আপনাদেরকে আর স্যান্ডউইচ খেতে দিল না শান্তিতে।
আজকের এই পোস্ট দেখে প্রতিবারের মতই অবাক হয়েছি।সবগুলো ছবি এতই ভালো লেগেছে যে কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করব। সবগুলো দেখতে এতটাই মনোরম যে তাকিয়েই আছি। এত সুন্দর কাজ করে প্রাচীন আমলের জিনিসগুলো সাজানো হতো। সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
জি দাদা ভালো আছি আপনি কেমন আছেন। দাদা কালকে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে বের হলে মন ভালো থাকে।
দাদা এই ব্যাপার টা অনেক মজার হলো🤗🤗।
দাদা আজকের Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৫ দেখে খুব ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ দাদা,আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল।
দাদা অনেকদিন পর বৃষ্টি বিলাসের সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু মিস করলেন। আমাদের এখানেও কালকে বৃষ্টি হয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে স্যান্ডউইচ পুরোটাই মুখে দিয়েছেন। আপনার আজকের পর্বের যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনমুগ্ধকর। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রকার কারুকার্য খচিত জিনিসপত্র ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এ আছে যা দেখে আমি অবাক। সবথেকে ভালো লেগেছে হাতির দাঁতের তৈরি দাবা খেলার গুটি। এটি অত্যন্ত সৃজনশীলতার কাজ। খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি জিনিসের বর্ণনা দিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমাদের মাঝে এত এত ভাস্কর্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর পুরনো ঐতিহ্যের শিল্প-সংস্কৃতির কিছু দৃশ্য পটভূমি অনেকদিন যাবৎ দেখে আসছি। আপনার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে যা আগে কখনো দেখা হয়নি। সুন্দর সুন্দর হাতের কারুকাজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজকের কিছু হাতের কারুকাজ এর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হলাম দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম।