ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "টিনটিনের পঞ্চম শুভ জন্মদিন"
গত মাসের ২৬ তারিখ ছিল আমার ছেলে সুপ্রতীম সরকার ওরফে টিনটিনের শুভ জন্মদিন । দিনটি এবার যথেষ্ঠ দৌড়াদৌড়ির ভিতর দিয়ে উদযাপিত হয়েছিল । কারণ, ঠিক ওই সময়টাতেই আমার মা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হসপিটালে এডমিটেড ছিল । এই কারণে আমাদের ওপর চাপটা বেশ ছিল । তারপরেও টিনটিনের জন্মদিনের দিনে মা অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল এবং হসপিটাল থেকে রিলিজও করে দিয়েছিলো । তাই, শেষ পর্যন্ত জন্মদিনটি আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়েই পালিত হয়েছিল ।
বার্থডে স্টেজ
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জন্মদিনের বেলুন নিয়ে মায়ের কোলে
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এবছর টিনটিনের পঞ্চম বর্ষে পদার্পন ঘটলো । দেখতে দেখতে কি ভাবে জানি পাঁচ পাঁচটি বছর অতিবাহিত হলো টেরই পেলুম না । যেন এই সেদিন হসপিটাল থেকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম একরত্তি টিনটিন বাবুকে । তোয়ালে জড়ানো পুঁচকে এত্তটুকুন ছিল । আর এখন এই লম্বা হয়ে গিয়েছে । সাড়ে তিন ফিট হাইট । স্কুলে যায় । কি ভাবে জানি এতগুলো বছর কেটে গেলো, কি ভাবে জানি এত বড় হয়ে গেলো । ভাবতেই আশ্চর্য লাগে !
বার্থডে স্টেজে টিনটিন
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জন্মদিনের দিন বিকেলেই টিনটিনকে ধান দূর্বা পঞ্চ প্রদীপ জ্বালিয়ে শাঁখ বাজিয়ে আশীর্বাদ করলো আমার মা, বাবা। শশুর, শাশুড়ি, তনুজার কাকা-কাকিমা, আমার ভাই আর আমি । এরপরে বাড়িতে রান্না ক্ষীর আর পায়েস খাওয়ানো হলো টিনটিনকে । তারপরে সবাই মিলে রেডি হতে লাগলাম বার্থডে পার্টির জন্য ।
আরো জন্মদিনের বেলুন চাই তার
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মা আর হবু কাকীমার সাথে টিনটিনবাবু
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বার্থডে পার্টি শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা ৬ টায় । স্টার্টার আইটেমে ছিল চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন হরিয়ালি কাবাব, চিকেন তন্দুরি এবং পমফ্রেট তন্দুরি । সেই সাথে হরেক রকম স্বাদের মকটেল । খাওয়া দাওয়া, হৈ হুল্লোড় চলতেই থাকলো রাত আটটা অব্দি । এরপরে শুরু হলো কেক কাটার তোড়জোড় । কেকের দোকান থেকে দু'সপ্তাহ আগে অর্ডার দেওয়া কেক ডেলিভারি হয়ে এলো আর আমরাও কেক কাটার পর্ব চূড়ান্ত করে ফেললাম ।
বার্থডে কেক
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কেক কাটার আগের মুহূর্ত
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
রাত আটটা চল্লিশে টিনটিন বাবু কেক কাটলো । আর আমরা সবাই মিলে "Happy Birthday To You" গানের সুরে তাকে উইশ করলাম । এরপরে শুরু হলো ম্যাজিক শো । টিনটিনের অনারে । ম্যাজিক শো শেষ হলে ব্যুফে স্টার্ট করে দেওয়া হলো । পার্টি শেষ হতে হতে রাত প্রায় বারোটা বাজলো । অবশেষে দারুন একটা দিন এনজয় করা সমাপ্ত হলো ।
কেক কাটার পরের কিছু মুহূর্ত
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ম্যাজিক শোয়ের একটি মোমেন্ট। টিনটিনের বাঁ কান থেকে রুমাল বের করার দৃশ্য ।
তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৯ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
টিনটিনের জন্মদিনের সন্ধ্যায় আমরা সকলে মিলে যে ভার্চুয়াল হ্যাংআউট করেছিলাম সেখানে যেমন আনন্দ হয়েছিল ঠিক তেমনি আজকের ছবিগুলো দেখে আবারও আনন্দ গুলো ভাগ করে নিচ্ছি। খুব ভালো লাগছে পুরো পার্টির অংশ সমূহ দেখে। তবে সবার সাথে এত আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়ে টিনটিন অনেক বেশি খুশি হয়েছে দেখা যাচ্ছে।ওর সব আপন মানুষদের সাথে নিয়ে ৫ম জন্মদিন পালন করেছে আর সেটা নিয়েই তো অনেক বেশি খুশি।কিভাবে যেন বছরগুলো পার হয়ে যাচ্ছে বুঝাই যায় না।খুব ভালো লাগলো দাদা আজকের ফটোগ্রাফিগুলো দেখে।
আসলেই দাদা দেখতে দেখতে বাচ্চারা যে কিভাবে বড় হয়ে যায় তা আমরা বুঝতেই পারি না। টিনটিন বাবু জন্মদিনের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবুর জন্মদিন টা খুব সুন্দরভাবে উদযাপিত হয়েছে। যদিও আন্টি অসুস্থ ছিল বিধায় আপনারা ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন তার পরেও টিনটিন বাবুর জন্মদিনটি খুবই সুন্দরভাবে উদযাপন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন সোনা খুবই খুশি। জন্মদিনের স্টেজ এবং কেক আমার কাছে তো খুবই দারুণ লেগেছে। এবং অনুষ্ঠানে ম্যাজিক শো রাখাতে অনুষ্ঠানটি আরো প্রাণবন্ত হয়েছে বুঝাই যাচ্ছে। টিনটিন সোনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল দাদা। আশা করি ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠবে এটাই কামনা করি। টিনটিন সোনার জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেখতে দেখতে এভাবেই বাচ্চারা চোখের নিমিষেই বড় হয়ে যায় দাদা।কিছু বুঝে উঠার আগেই।তাই প্রতিটি মূহুর্তকে ইনজয় করতে হয়।টিনটিন বাবুর প্রতি বছরের ফটোগ্রাফি দিয়ে একটা এলবাম করে রাখবেন দাদা।বড় হলে দেখবে।এক এক বছরে তার অল্প অল্প পরিবর্তন গুলো। ধন্যবাদ দাদা জন্মদিনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ছোট্ট শিশুটি কিভাবে খেলতে খেলতে যে বড় হয়ে যায় আসলে বুঝাই যায় না।সেই ছোট
বাচ্চার পরিবর্তন গুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও অনেকটা বোঝা যায়। টিনটিন সোনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে টিনটিন সোনার কেকটি কিন্তু অনেক দারুন।
টিনটিন বাবু প্রচন্ড খুশি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা টিনটিন বাবু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
জী দাদা দেখতে দেখতে বাচ্ছাদের বয়স পেরিয়ে যায়। টেরই পাওয়া যায় না। টিনটিনের পাচঁ বছর অতিক্রম হয়ে গেল। কেকটা দারুন ছিল। টিনটিনের বাঁ কান থেকে রুমাল বের করার দৃশ্যটা দেখলাম। কিভাবে যেন মানুষের চোকে ফাকি দেয় তারা। যায়হোক আনন্দ পাওয়া হলো মূল বিষয়। ধন্যবাদ।
ম্যাজিক শো এর সময় যে টিনটিনসহ সকল বাবুরাই বেশ মজা পেয়েছে, টিনটিনের হাস্যজ্বল মুখ দেখে তা আর বুঝতে বাকি নেই। কী দারুণ হাসি! আর আসলেই বাবা মায়ের কাছে যেন মনে হয় ছেলে মেয়েরা হুট করেই বড় হয়ে যায়!!
আন্টি অসুস্থ ছিলো বিধায় সেই সময়টা বেশ চাপে ছিলেন আপনারা। তবুও টিনটিন বাবুর জন্মদিন চমৎকারভাবে উদযাপন করেছেন। টিনটিন বাবুকে বেশ উচ্ছ্বসিত লাগছে। বিশেষ করে ম্যাজিক শো চলাকালীন সময়ে টিনটিন বাবু যে অনেক আনন্দ করেছে, সেটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। প্রোগ্রামের মধ্যে ম্যাজিক শো অন্তর্ভুক্ত করার আইডিয়াটা ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক সবমিলিয়ে খুব ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা প্রথমেই আপনাকে আমাদের টিন টিন সোনা পাখির, জন্মদিনের এত চমৎকার কিছু ছবি দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সত্যিকার অর্থেই আমাদের টিনটিন সোনা অনেক অনেক কিউট একটি ছেলে। ওর চেহারার দিকে দেখলে কেমন যেন মায়াবী মায়াবী মনে হয়। এক কথায় আমাদের সুপ্রতীম সরকার টিন টিন বাবু সুদর্শন চেহারার অধিকারী। আর তাইতো তার জন্মদিনের প্রতিটা ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত হয়েছে। এছাড়াও জন্মদিনের স্টেজ ডেকোরেশন ও কেকটি খুবই সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান খুবই উপভোগ্য হয়েছিল তা বেশ বুঝতে পারছি দাদা। আমাদের টিন টিন সোনা বাবু যেন একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে এই প্রত্যাশা করছি।