Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৩
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৩
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২২
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই ? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থই আছেন ।
করোনা টাইমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ আসলে । সবাই সাবধানে থাকবেন । শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে সবারই সচেষ্ট হতে হবে । immune power boost করতে হবে সবার । যার যত বেশি immunity বুস্ট হবে সে তত কম করোনাতে আক্রান্ত হবে । সো সবাই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে আগ্রহী হবেন আশা করি ।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন এপিসোড । ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণ পর্বের ২৩তম এপিসোড থেকে শুরু করা হচ্ছে খেচর (পক্ষীকুল ), উভচর এবং সরীসৃপ দের নিয়ে বিশেষ পর্ব । আশা করছি আয়োজনটি একেবারে ব্যর্থ হবে না । আজকে যে সব প্রাণীর দেহ ও কঙ্কালের ফটোগ্রাফ থাকছে সেগুলো হলো :
১. পরিযায়ী পাখি বা মাইগ্রেটরি বার্ডস
২. জলাভূমির নানান রকমের পাখি ও হাঁস
৩. ভালচার বা শকুন
৪. চিল ও কাক
৫. বুলবুল, কাক, তোতা, ময়না ও শালিক
৬. শঙ্খচিল
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস । এই হাঁসগুলি যদিও ভারতে শীতকালে প্রায় সব জলাশয়ে পাওয়া যায় তথাপি এরা আদতে রাশিয়ার সাইবেরিয়ার পাখি । শীতকালে সাইবেরিয়াতে মাইনাস ৩০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্ৰী তাপমাত্রায় এরা টিকতে না পেরে হাজার হাজার পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ জলাভূমিগুলিতে চলে আসে । তাই এদেরকে বলে পরিযায়ী পাখি বা মাইগ্রেটরি বার্ডস ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জলাভূমির নানান রকমের পাখি ও হাঁস । এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি দেশী আর বাকি গুলো সব অতিথি পাখি । দেশি পাখিগুলোকে সারা বছরই পাওয়া যায় অতিথি পাখির দেখা শুধুমাত্র শীতের সময়টাতেই পাওয়া যায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ভালচার বা শকুন । প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয়ে থাকে এদেরকে । একটা সময় ছিল যখন শকুনের দেখা খুব পাওয়া যেত । মৃত জীবজন্তুর দেহ খেয়ে বেঁচে থাকে এরা ।বর্তমানে শকুন হলো একটি বিলুপ্তপ্রায় পাখি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
চিল ও কাক । দুই-ই শিকারী পাখি । চিল বা kite অনেক উঁচুতে আকাশে চক্কর দেওয়া অবস্থায় শিকারের খোঁজ করে থাকে । শিকারের দেখা পাওয়া মাত্রেই এসে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যায় । কাক অপেক্ষাকৃত নিচু গাছের ডালে থাকে ও সেখান থেকেই শিকার তাক করে । চিল কিন্তু মরা, পঁচা -বাসি প্রাণী খায় না । কাক যেমন জ্যান্ত প্রাণী শিকার করে তেমনি শকুনের মতো মৃত প্রাণীও ভক্ষণ করে থাকে । তাই কাক-কেও প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আমাদের অতি পরিচিত পাখিগুলি - বুলবুল, কাক, তোতা, ময়না ও শালিক ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি শঙ্খচিল । নদী খাল বিলে এদের অবাধ বিচরণ ও শিকার ক্ষেত্র । শঙ্খচিলের একমাত্র খাদ্য হলো তাজা মাছ । মাছ শিকারে খুবই দক্ষ এরা । অন্তত ৩০০-৪০০ মিটার দূর থেকে শিকারকে তাক করতে পারে এরা । এরপরে একটা ছোঁ, ব্যাস নিমেষের মধ্যে ধারালো নখের মধ্যে আটকা পড়ে ছটফট করতে থাকে মাছ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
ভাইয়া এই ফটোগ্রাফি গুলো আসলে অসাধারণ ছিল। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি থেকে আমরা অনেক নতুন নতুন জিনিস এর সাথে পরিচিত হচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
শঙ্খ চিল দেখেই কবি জীবনানন্দ দাশকে মনে পড়ে গেলো। আর পরিযায়ী পাখির দল ভীষণ লাগলো। আজকের পোষ্ট মন ভালো করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা অনেকক্ষণ যাবৎ অপেক্ষায় আছি আপনার পোষ্টের। অবশেষে পেলাম। আজকের পোস্টটিতে একটি পাখি আমার বিশেষ নজর কাড়লো। আর তা হচ্ছে ঝাড়ুদার পাখি বা শকুন। ছোটবেলায় মাঠের মধ্যে কোন মরা পশু ফেললে হাজার হাজার শকুন উড়ে আসতো। এটা আমার নিজ চোখে দেখা কিন্তু কালের গ্রাসে পাখিটি এখন বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত। পরিযায়ী পাখির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী পাখির আশ্রয়স্থল ছিল বাংলাদেশ সহ ভারতের বিভিন্ন স্থান কিন্তু মানুষের লোভ এই পাখিগুলোকে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এখন আছে শুধু মিউজিয়ামে রক্ষিত এই পাখির স্টাফ করা দেহ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
ভাই বৌদিকে বলতে হবে , বাড়িতে পুষ্টিকর খাবারের গুণগত মান ঠিক রেখে , রান্নার ব্যাপারে আরো একটু যত্নশীল হতে হবে । আশাকরি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ভাই । এই পর্বের ভিতরে শঙ্খচিলটা বেশ ভালো লেগেছে । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
beautiful
আমাদের immunity সিস্টেম বাড়ানোর জন্য, আমাদের প্রচুর পরিমান শাক সবজি এবং ফলমূল খেতে হবে।দাদা সবগুলো এপিসোড এই সুন্দর তবে আমার কাছে পক্ষীকূল এবং উভয়চর প্রাণীগুলা ভালো লাগছে। সবগুলোই পাখি একেবারে জীবন্ত মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন দাদা, আমাদের সবাইকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক বেশি বেশি করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। যতই ইমিউনিটি বুষ্ট হবে ততই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। পক্ষীকুল, উভচর, সরীসৃপ প্রাণীকুলদের নিয়ে প্রথম পর্বটি অসাধারণ হয়েছে দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।
দিন শেষে এটাই হলো প্রকৃত সত্য আর আমাদের উচিত হবে এই সত্যটার প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরো বেশী মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করা।
শকুন একটা সময় প্রচুর দেখা যেত সত্য, আমরা ছোট বেলায় এদের দেখে বেশ ভয় পেতাম। মাঝে মাঝে মরা পশু দেখলে এরা দল বেধে উড়ে আসতো। সময়ের সাথে সাথে এরাও হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ