আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -০৩
মনাস্ট্রি দেখে আমরা চলে গিয়েছিলাম সোজা একদম গণেশতক -এ । এখানে নরক উঁচুতে একটা গণেশ মন্দির রয়েছে । আর সবাই মন্দিরে গেলো । শুধু আমি টিনটিনকে নিয়ে নিচে থেকে গেলুম । এই গণেশতকের নিচে একাধিক কিউরিও শপ ছিল । আমরা একটা কিউরিও শপ থেকে অনেক কেনাকাটি করলাম ।
এরপর গাড়ি নিয়ে সোজা ঢুকে গেলুম সিকিম হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে । বিশাল একটা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে পার্কটির অবস্থান । প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন টিলার উপরে রয়েছে বন্যজন্তুদের বিশাল বিশাল খাঁচা । ভালুক, বিভিন্ন পাহাড়ি পাখপাখালি, চমরী গাই, বাঘ, লেপার্ড, রেড পান্ডা, নীল ভেড়া প্রভৃতি নানান বন্য জন্তু রয়েছে এখানে । তবে, বিশাল এলাকা আর পাহাড় ভেঙে উঠতে উঠতে জান শেষ ।
পার্ক থেকে বেরিয়েই সোজা একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে দুপুরের লাঞ্চ করে সোজা চলে গেলুম ঝর্ণা দেখতে । বোন ঝাকরি ঝর্ণাটা একদম গ্যাংটক শহরের বাইরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে । যেতে যেতে সন্ধ্যা নেমে গেলো । বেশ বড় ঝর্ণা । এক ছবি তুললাম । ঝর্ণার সান্নিধ্যে সন্ধ্যেটা চমৎকারভাবে কাটিয়ে হোটেলে ফিরে এলুম ।
Sikkim Himalayan Zoological Park এর অভ্যন্তরে আমরা । এটি একটি ঘন জঙ্গল যার মধ্যে মধ্যে জীবজন্তুর খাঁচা রয়েছে । এখানে এত উঁচু উঁচু গাছ আছে যে মগডাল দেখতে গেলে ঘাড় ব্যাথা হয়ে যাবে । বার্চ, পাইন, ঝাউ গাছের জটলা চারিদিকে । বেশ একটা রোমাঞ্চকর পরিবেশ ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
জঙ্গলের মধ্যে বেশ উঁচু একটি টিলা । আর তার মাথার উপরে একটি রেলিং দিয়ে ঘেরা ভিউ পয়েন্ট । বহুদূর অব্দি দৃষ্টি চলে যায় এখন থেকে নিচে তাকালে । দূরে সারি সারি পাহাড়ের সারি । টিলার ঠিক নিচেই নিচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের বাসস্থান । আমরা মোট ৫ টি ভল্লুক দেখতে পেয়েছিলাম । এই জুওলজিক্যাল পার্কে ভল্লুক ছাড়াও রয়েছে নীল ভেড়া, হরেক রকম পাখি, লেপার্ড, টাইগার, রেড পান্ডা, ইয়াক, গড়াল প্রভৃতি হিমালয়ান পার্বত্য প্রাণী ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
ভিউ পয়েন্টে টিনটিন বাবুর খুশিতে নাচানাচি চলছে । বুকে ক্যামেরা ঝুলিয়ে মস্ত বড় এক ক্যামেরাম্যান এখন সে ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
Ban Jhakri Falls Park -এ পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো প্রায় । বেশ বড় একটি ঝর্ণা এটি । ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে বেশ বড় একটা পার্ক গড়ে উঠেছে এখানে । রয়েছে ফুলের বাগান, জঙ্গল, রেস্তোরাঁ, একাধিক ভিউ পয়েন্ট এবং অনেকগুলো দুঃসাহসিক রাইড ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : বিকেল ৫ টা ০০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা আপনার সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের আপডেট দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। জায়গাটি সত্যি খুব সুন্দর ঝর্ণাটি দেখতে আরো বেশি সুন্দর। এত সুন্দর জায়গা দেখে ইচ্ছে করছে যাওয়ার কিন্তু মনে হয় না এত সৌভাগ্য হবে আমার। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। টিনটিন বাবু তো দেখছি বড় একজন ফটোগ্রাফার। আসলে পরিবার সহ সবাই একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। দাদা আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ঝর্নার ছবিগুলো দেখেই তো আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কি সুন্দর। একটা জিনিস বেশ অবাক লাগছে টিলার উপরেও বন্যজন্তুদের বিশাল বিশাল খাঁচা।দেখেই বুঝা যাচ্ছে, টিনটিন বাবু অনেক বড় মাপের ফটোগ্রাফার 🥰🥰।ছবিগুলো যতই দেখছি, ততই মুগ্ধ হচ্ছি।ধন্যবাদ
ইশ আমিও যদি আপনাদের সাথে সেখানে ঘুরতে যেতে পারতাম। কি সুন্দর যায়গা। আমাদের টিনটিন বাবুকে ক্যামেরা গলায় খুবই মানিয়েছে। সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনাদের ভ্রমন শুভ হোক দাদা।
দাদা আপনার সংক্ষিপ্ত ভ্রমন বিষয়ক আপডেটগুলো যাতই দেখতেছি ততই ভালো লাগতেছে।আপনারা তো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অনেক কিছু দেখতে পারতেছেন বিশেষ করে পার্কে পশু পাখির দৃশ্য গুলো।গ্যাংটক সিকিমে যেতে না পারলেও প্রতিনিয়ত আপনার আপডেট দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।
দাদা আশা করছি আপনি অনেক ভালো আছেন। আপনাকে বড্ড মিস করছি! পরিবারের সাথে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। জঙ্গলের ভিতরের এতো বড় বড় গাছ, বাস্তবে দেখতে পেলে ভালো লাগতো। বোন ঝাকরি ঝর্ণাটাও বেশ চমৎকার! আমার কাছে পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণা উপভোগ করতে ভালোই লাগে। টিনটিন বাবুর গাতে মস্ত বড় ডিএসএল আর ক্যামেরা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। টিনটিন বাবু এতো উচুতে উঠলো কিভাবে 🤭। অনেক খুশিতে যে আছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে 😍
জঙ্গলের ভিতরে খুব সুন্দর রাস্তা দেখা যাচ্ছে এমন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে অনেক ভালো লাগে। এছাড়া এত সুন্দর ঝর্ণাধারা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে গোসল করতে পারলে মনে হয় খুব ভালো লাগতো। সিকিমের প্রতিটি জায়গা খুব সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত এভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দাদা, আপনার বদৌলতে এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, ও ঝর্ণার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফটোগ্রাফিগুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সেই সাথে নিজেকেও কন্ট্রোল করা বড়ই মুশকিল হয়ে পড়ছে। বারবার মনে হচ্ছে এত সুন্দর জায়গা যদি আমিও ভ্রমণ করতে পারতাম তাহলে বোধহয় চাওয়ার আর কিছুই থাকতো না। এত মনোমুগ্ধকর ও মনোরম পরিবেশে আপনারা নিশ্চয়ই অনেক অনেক আনন্দ উপভোগ করছেন। আর এই আনন্দের মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝেও ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আপনার পুরো পরিবারের জন্য ভালোবাসা রইলো দাদা।