তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা
ইউক্রেনের আকাশে সবে সূর্যোদয় । সেই অরুণরাগের রঞ্জিত আকাশ মুহূর্তে ভরে উঠলো অগ্নির লেলিহান শিখা আর অশুভ কালো ধোঁয়ায় । মুহুর্মুহ গর্জে উঠলো কয়েক শত ভারী কামান । ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এলো বোমারু বিমান । একযোগে রুশ-বেলারুশ সেনাবাহিনী তিন দিক থেকে ইউক্রেইন্ কে ঘিরে আক্রমণ শুরু করলো । মুহূর্তে নরক হয়ে উঠলো ইউক্রেইন-এর সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি । এর পর বেছে বেছে ইউক্রেনের এয়ারপোর্ট, গ্যাস স্টেশন, রেল স্টেশন, তেলের খনি এবং আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে চললো মিসাইল হামলা । মুহূর্তে জ্বলে উঠলো এয়ারপোর্ট, তেল-গ্যাস স্টেশন, রেল স্টেশন, তেল-গ্যাসের খনি । হাহাকারে ভরে উঠলো চারিদিক ।কয়েকশত বেসামরিক মানুষের মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যে ।
সারা বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে । ফ্রান্স ইতিমধ্যে সরাসরি হুমকি দিয়েছে রাশিয়াকে । বাইডেন জরুরী মিটিং কল করেছেন এবং রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছেন যে এই যুদ্ধের ফল হতে পারে রাশিয়ার জন্য সব চাইতে মারাত্মক । জাতিসংঘের নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে । ন্যাটো প্রস্তুত । পাকিস্তান রাশিয়ার পা চাটছে । চীন দোস্ত বলে হাত বাড়িয়েছে । ভারত আশ্চর্জনকভাবে একেবারেই নীরব রয়েছে, ভাবলেশহীন এবং নিরপেক্ষ আচরণ করছে । ব্রিটিশ সেনাবাহিনী দূরপাল্লার এয়ারক্রাফট রেডি করছে । মোটকথা সারা বিশ্ব জুড়েই যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে ।
প্রত্যেকটি ক্ষমতাধর দেশের কাছে রয়েছে নিউক্লিয়ার উইপন এবং কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে আরো মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র "হাইড্রোজেন বোমা" । একটি হাইড্রোজেন বোমা একশত এটম বোমার সমান বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন ।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে নাজুক এবং গভীর উদ্বেগজনক । সাধারণ মানুষের প্রাণের কোনো মূল্য নেই পুতিন, বাইডেন সহ এই সব রাষ্ট্রনায়কদের কাছে । প্রচুর মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে । আর যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ । দুর্ভিক্ষ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যতা গ্রাস করবে ইউক্রেনকে ।
এমনিতেই কোভিড-১৯ সিচুয়েশন এ বিশ্ব আর্থিনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে । তার উপরে এই যুদ্ধ । আর্থিনীতি একেবারেই না ধ্বংস হয়ে যায় ।রিকভার করতে প্রচুর টাইম লাগতে পারে । যুদ্ধ মানবতার শত্রু । যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় । শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।
দাদা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এ ঘটনাটি আমাকে একদম মর্মাহত করল। ইউক্রেনের উপর এমন হামলা করা রাশিয়ার একদম ঠিক হয়নি। পাকিস্তান এবং চীনের কর্মকাণ্ডের জন্য ধিক্কার প্রকাশ করছে। সেইসঙ্গে ভারতের এমন নিরব ভূমিকাতেও হৃদয়টা ব্যাথিত হলো।সামান্য ক্ষমতার লোভ এ সাধারণ জনগনের উপর এত বর্বরতা কখনোই কাম্য নয়।সকল রাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
বিশ্বের মোড়লরা যদি এই পরিস্থিতি থেকে কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান বের না করতে পারে। তাহলে হয়তো অতিশিগ্রই আমরা এই পৃথিবী ধ্বংস হতে দেখবো। কারণ শুধু রাশিয়ার কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক এবং হাইড্রোজেন বোমা আছে। সেটা দিয়ে এই পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। সবাই এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই দোয়া করি যেন অতি দ্রুত এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
it is free
আপনার পুরো লেখাটি পড়লাম দাদা। আপনি এমন ভাবে লিখেছেন মনে হচ্ছে আমি কোনো খবরের কাগজ পড়ছি। আমি দাদা এসব অনেক ভয় পাই। আমি বেশ কিছুদিন ধরেই এই যুদ্ধের কথা শুনছি আজকে আপনার লেখা পরে পুরোপুরি জানলাম। আমার মনে হচ্ছে এখান থেকেও হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত। আমি জানি না শেষ পর্যন্ত কি হবে আর কি হতে চলেছে।
আপনার এই কথাটি সত্যের থেকেও সত্য। এদের ভুলের জন্যই জীবন যাই হাজারো নিরীহ মানুষের।
যুদ্ধের এই ভয়াবহতার কথা শুনে হৃদয় কেঁপে উঠল। জানিনা কত শত প্রাণ হারিয়ে যাবে এই ভয়াবহ যুদ্ধে। সৃষ্টিকর্তা যেন এই নিরীহ সাধারণ মানুষগুলোকে রক্ষা করেন এই কামনা করছি দাদা। সৃষ্টিকর্তা যেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক করে দেন এবং মানুষগুলোকে শান্তির নিশ্বাস ফেলা সুযোগ করে দেন এই কামনাই করছি।
দাদা আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভয় হচ্ছে। আসলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দমকা হাওয়া যেন পৃথিবীর বুকে বইছে। যুদ্ধ মানে প্রাণহানি, যুদ্ধ মানেই অভাব-অনটন। আমার খুবই ভয় হচ্ছে, পৃথিবী আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে যাচ্চে,যদি এখুনি খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তাই আমার খুবই খারাপ লাগছে,এমনিতেই করোনাভাইরাস এর কারণে পৃথিবীর মানুষের জীবনমা৷ অনেক ধ্বংস পরিণত হয়েছে। তারপরে যদি এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তাহলে পৃথিবী হাজার বছর পিছিয়ে যাবে।
আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন দাদা মানুষের সীমাহীন লোভ ও ক্ষমতা অর্জনের লোভ এই যুদ্ধের কারণ। আসলে যারা লোভে পড়ে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলা করছে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই। কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সাধারন জনগনের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। এই ভয়াবহতায় হাজার হাজার প্রাণ প্রদীপ নিভে যাবে। আসলে এরকম পরিস্থিতির কথা শুনলে খুবই খারাপ লাগে। যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে হলে দু চোখের কোনায় পানি জমে যায়। আসলে সেই সব দেশ নায়কদেরকে আমরা সকলেই ধিক্কার জানাই। তারা মানবতার শত্রু। সৃষ্টিকর্তা যেন এই সাধারণ মানুষগুলোকে বিপদ থেকে রক্ষা করে এই কামনাই করছি দাদা।
যুদ্ধবাজ সমর নায়কদের কাছে শান্তিপ্রিয় মানুষের কোনো দাম নেই। সময় এবং প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলেও যুদ্ধ থেমে নেই। তবে প্রযুক্তি ও সামরিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে হাজারগুন। তাই আগে যেমন যুদ্ধ ছিল দেশ এবং যোদ্ধাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ কিন্তু এখন তার ক্ষয় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় না কোনো সাধারণ মানুষ। প্রার্থনা করি পৃথিবীতে কখনো যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হতে না পারে। আমরা সবাই একসাথে এই প্রার্থনাই করি শান্তিপূর্ণভাবে যেন এই পরিস্থিতির সমাধান হয়।