একটি ফোটোগ্রাফি পোস্ট : বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার কিছু বিচ্ছিন্ন ছবি
তিন সপ্তাহ ব্যাপী আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রায় অর্ধেকটা সময় কাটিয়েছিলাম গ্রামের আমাদের কিছু আত্মীয় স্বজনের বাড়ি । পুজোর সময় যাওয়ার কথা ছিল আমাদের । কিন্তু, টিনটিনের পাসপোর্ট পেতে একটু বিলম্ব হওয়ার কারণে আর হলো না সেটা । যাই হোক এই সফরে আমরা ঢাকা, কক্সবাজার সহ প্রচুর স্থানে ঘুরেছি, খাওয়া-দাওয়া আর কেনা কাটা করেছি । তবে, গ্রামে কাটানো আমাদের দেড় সপ্তাহ সব চাইতে বেশি এঞ্জয়েবল ছিল ।
আমি যে গ্রামে ছিলাম সেখান থেকে মংলা সমুদ্র বন্দর এবং সুন্দরবনের স্টার্টিং পয়েন্ট করমজল খুবই কাছেই ছিল । করমজল যাওয়ার প্ল্যান ছিল আমাদের । কিন্তু, ভালো ট্রলার বোট না পাওয়াতে সেটা ক্যানসেল করি । সুন্দরবনের কাছের গ্রাম হওয়াতে এখানে লবণ জলের আধিক্য আর মাছের ভেড়ীর প্রচুর রমরমা । বেশ আয়েশ করে তিনবেলা প্রচুর পরিমাণে মাছ খেয়েছি যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম ।
এর আগে বেশ কয়েকটি পোস্টে সেগুলো সম্পর্কে তুলে ধরেছি আর ছবিও দিয়েছি অনেক । আজকে শুধুমাত্র কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ফটোগ্রাফ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।
তেঁতুল পাতার ফাঁক দিয়ে পুকুর পাড়ের দৃশ্য অবলোকন
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
গ্রামের পুকুর পাড়ের বাঁধানো ঘাটে বসে শেষ বিকেলের রোদ্দুর উপভোগ
তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২
সময় : বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
ইহাকে বলে কদলী বৃক্ষ :)
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
পথের দু'ধারে তাল তমালের সারি । আহা শান্তির নীড় ।
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ৩ টা ০০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি, এই বাড়িটি এক সময় খুব বড়োলোক একজনের বাড়ি ছিল । কালের গর্ভে কোথায় সব হারিয়ে গিয়েছে ! ভগ্ন, পরিত্যক্ত বাড়িটি এখন জীর্ণ এবং পোড়ো ।
তারিখ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
পৌষ পার্বনের ঠিক সাত দিন আগে থেকে এই পালা গানের আয়োজন করা হয় গ্রামে । "সাতপালা" হলো এই পালা গানের নাম । পৌষ সংক্রান্তির ৭ দিন আগে থেকে এই পালা গান শুরু হয়, এবং বাড়ি বাড়ি গান ও নাচ করে অর্জিত অর্থ ও শস্য দিয়ে পৌষ সংক্রান্তির রাতে পুজো হয় । গানের একটি লাইন মনে আছে আমার - "পিঙ্গল বরণ দুইটি নারী কাজলে তে লেখা / অষ্টাবক্র মুনির সাথে পথে হইলো দেখা "।
তারিখ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ০০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদোগ্যে বাংলাদেশের রামপালে অবস্থিত ভারতের তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একদিন আমরা সবাই গিয়েছিলাম
তারিখ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
টক বরই ও মিষ্টি কুলের মিক্সড মাখা
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
বিকেলবেলা মাছের ভেড়িতে ভ্রমণ ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৫৬ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 671f3bf52d9c83c9212bc5de038afadcf4081e5f459549c333c7238a84887f98
টাস্ক ১৫৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মন ছুঁয়ে গেল।আপনি প্রতিটা ফটোগ্রাফিকে যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, সেটা আমার কাছে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে।তবে বাংলাদেশের ভ্রমণকালে আপনার গ্রামে কাটানো সময় গুলো বেশী আনন্দদায়ক ছিল, জেনে খুশি হলাম।তেতুল পাতার ফাঁকে পুকুর পাড়ের ছবিটা কিন্তু দারুণ লেগেছে।বৌদিকেও বেশ লাগছিল।এত চমৎকার একটি আয়োজন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনার প্রতি।
বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। গ্রামীণ প্রকৃতি ও পরিবেশর এক ঝলক দেখার সুযোগ হল তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। গ্রামে পৌষ পার্বনের ঠিক সাত দিন আগে থেকে যে পালা গানের আয়োজন করা হয় এই ব্যাপারটা আমি আগে থেকেই জানতাম । এই পালা গান আমার বেশ ভালো লাগে। গ্রামে থাকতে এগুলো খুব ইনজয় করতাম। জ্বর গায়ে টক বরই ও মিষ্টি কুলের মিক্সড মাখা দেখে জিভে জল চলে এসেছে দাদা । যদিও এই বছর এখনো কুল খাওয়ার সুযোগ পায়নি । সরস্বতী পুজো বেরিয়ে গেলেই এমন করে কুল মাখিয়ে খাব।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আসলে গ্রাম মানেই অন্যরকম ভালো লাগা।শহরের মানুষগুলো হঠাৎ গ্রামে গেলে বেশ মজা পায়।বাংলাদেশে এসে গ্রামে আত্নীয় বাড়িতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি ছবিই বেশ মনোমুগ্ধকর। বরই ভর্তা বা মাখা দেখে জিভে জল এসে গেলো। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশ বাংলাদেশ। আর এই সৌন্দর্য সবটুকু অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রাম বাংলা। প্রকৃতি যেন নিজস্ব রূপে সাঁঝে রয়েছে গ্রাম বাংলাতে। আপনি কক্সবাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় আপনি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু গ্রামের মতো অপরূপ সৌন্দর্য কোন জায়গায় আপনি সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি। আমরা গ্রামের ছেলে গ্রামের সৌন্দর্য কতখানি তার কাছ থেকে উপভোগ করতে পারি। দাদা সমুদ্রের মাছ আয়েশ করে তো খাবেন, কারণ সমুদ্রের মাছ খেতে সুস্বাদু অনেক। সাতপালা গানের দুটি বাচ্চা খুব সুন্দর নেচেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক গ্রাম বাংলা অপরুপ সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো আপনি উপভোগ করেছেন অনেকদিন ধরে আমাদের দেশে থেকেছেন। এবং সেই সব স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
গ্রামকে সবাই ভালবাসে দাদা গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য সবুজ প্রকৃতি এরকম খাল বিল নদী নালা যেগুলো দেখতে উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আমার কাছ শহর তেমন একটা ভালো লাগে না গ্রামের কাটানো মুহূর্তগুলো আপনার দারুন ছিল। যেগুলো আমাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করে চলেছেন।
দাদা আপনি সহপরিবারে বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছেন এবং বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেছেন বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ইতিমধ্যে। আপনার পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত পোস্টগুলো করেছেন সেগুলো যেমন দেখেছি ঠিক আজকেও নতুন একটি পোস্ট দেখতে পারলাম। আপনি বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা লিখেছেন যা পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পেলাম
বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে এসে বিচ্ছিন্ন ছবিগুলো শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। দাদা আমি তো দেখলাম এটা কলা গাছ, আর এটাকে যে কদলী বৃক্ষ বলা হয় তা জানা ছিল না দাদা। তাল গাছের সারি দেখে বেশ ভালো লাগছে ছবিটি। সর্বোপরি গ্রাম বাংলার ছবিগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল।