Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৩

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৩


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১২


শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,

শীতের কুয়াশামাখা বিষণ্ণ শীতার্ত অপরাহ্নের শীতল স্বাগতম সবাইকে । আশা করি সবাই শীতের পিঠা-পুলি উৎসবে মেতে আছেন ।

আজ পৌষ সংক্রান্তি । পিঠা পুলির উৎসবের মেজাজ চারিদিকে । আজকে শীতটাও পড়েছে সে রকমের জবর । ভয়াবহ ঠান্ডা আজকে । আমাদের শহরে আজকে সূর্যের দেখা মেলেনি এখনো পর্যন্ত । ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে দিগ্বিদিক । আজকের দিনে যে স্নানে যেতে পারবে সে যথার্থই একজন বীরপুরুষ ।

যাই হোক আজকের এপিসোড শুরু করি । আজকে দেখাবো আর কিছু মিনিয়েচার মডেল ও সম্পূর্ণ পাট দিয়ে তৈরী একটি ভাস্কর্য ।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।


আখ চাষ । এই আখ নিষ্কাশন করে পাওয়া যায় আখের রস । আর ছিবড়ে থেকে মেলে কাগজ । আখের রস থেকে আমরা পাই চিনি আর গুড় । আর চিনির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তো আপনারা জানেনই ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ধান চাষ । ধান থেকে মেলে ভাত । আমাদের বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত । শুধু আমাদেরই নয় বিশ্বের শতকরা ৬৫ ভাগ লোকের প্রধান খাদ্য এই ভাত । প্রথমে ধান চাষের জন্য জমি চষতে হয়, এরপরে বীজতলা তৈরী করে বীজ ছেটানোর পালা । বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা গজানোর পরে সেগুলোকে তুলে নিয়ে ধান চাষের জন্য তৈরী করা উপযুক্ত জমিতে লাগাতে হয় । এরপর মাস তিনেক পরে চারা গুলো বড় হয়ে ধান আসে । ধান পাকার পরে কেটে মাড়িয়ে গোলাজাত করা হয় । এরপরে সে গুলোকে সিদ্ধ করে ধান ভানার মেশিনে দিয়ে ধান থেকে চাল উৎপাদন করা হয় । সেই চাল রান্না করেই মেলে ভাত ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


বলদ ও যন্ত্র চালিত বিশাল আকারের শস্য মাড়াইয়ের প্রাচীন মেশিন । এখানে পশু শক্তিকে বহুগুনে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে । আর তা দিয়েই প্রচুর পরিমানে শস্য মাড়াই চলছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


তুলো চাষের পরে তুলো সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে । তুলো ছাড়া আমরা সত্যিই অচল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পাট চাষ । খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে । পাট থেকে আঁশ নিষ্কাশন করে তা থেকে নানাবিধ দ্রব্য তৈরী করা হয় । পাটের সূতা-দড়ি, কাপড়, ব্যাগ, থলে, বস্তা, নানা ধরণের শৈল্পিক বস্তু ইত্যাদি পাট থেকেই প্রস্তুত করা হয় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


কাউডাং কেক । জ্বালানী হিসাবে এর ব্যাপক প্রচলন এখনো রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের গ্রাম গুলিতে । গরুর গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরী করছে এক দল গ্রামীণ মহিলারা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ফসল সংরক্ষণের জন্য পাকা ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ফসল নিষ্কাশনের ঘর তৈরির কাজ চলছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


বয়নকার্যের জন্য নির্মিত ঘর । বড় বড় তাঁত প্রস্তুতির কাজ চলছে । ওই তাঁতে বোনা হবে কাপড় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ পাট দিয়ে তৈরী ভাস্কর্য - সিংহবাহিনী দেবী দূর্গা । অসাধারণ হয়েছে ভাস্কর্যটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


নানান ধরণের গ্রামীণ কুটির শিল্পের নিদর্শন এই মিনিয়েচার মডেলগুলি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Sort:  
 3 years ago 
  • দাদা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আসলে জাদুঘরে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো ভাবিনি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই সুন্দর গ্রামীণ ফোটোগ্রাফি গুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দিলেন। সত্যি দাদা জাদুঘরে এত সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
 3 years ago 

দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভারতের মিউজিয়ামে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস রয়েছে যা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলাম। সত্যিই আমি অবাক আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অন্যান্য ফটোগ্রাফির তুলনা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি পরিবেশ গুলোর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 3 years ago 

আপনার আজকে পোস্ট সত্যি মনমুগ্ধকর হয়েছে ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ফসল যেমন আখ চাষের পদ্ধতি, মাড়াই পদ্ধতি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। পাট চাষ , তুলা চাষ,এই উপমহাদেশের অর্থকারী ফসল হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও পাট দিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি গুলো তৈরী আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। জাদুঘরকে ভালো হয় ইতিহাসের সাক্ষী,ইতাহাসের দর্পণ যার মাধ্যমে আমরা বহু প্রাচীনকালের মানুষের অভ্যাস, সংস্কৃতি, সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারি। আপনি কলকাতা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এত সুন্দর সুন্দর নিদর্শনগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন যা সত্যিই শিক্ষণীয় এবং চমকপ্রদ। আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি তাদের হয়তো কখনোই কলকাতা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এ যাওয়ার সুযোগ হবে না কিন্তু আপনার মাধ্যমে আমরা সে অভাবটুকু কিছুটা হলেও পূর্ণ করতে পারছি। সেই জন্য আপনাকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ।

 3 years ago 

দাদা প্রত্যেকটা এপিসোডে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে পারছি।বলদ ও যন্ত্র চালিত বিশাল আকারের শস্য মাড়াইয়ের প্রাচীন মেশিন,আখ চাষ,ধান চাষ,তুলা সংগ্রহ, কাউডাং কেক,ফসল সংগ্রহের ঘর ইত্যাদি সব গুলো ছবি আমার কাছে ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ আপনাকে✍️, পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
 3 years ago 

IMG_20220106_113311.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvRmybykqUvU4Qriq94s5bwFrDmYZdJgD7bRoaeK4aoq8pZoLdUPeYZ5Pb1dEejRZxkf2Knu1XeHbi1jU.png

ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ১৩ পর্বে আরও দারুন দারুন কিছু মুহূর্ত দেখতে পেলাম। প্রথম পিকচারটা মনেই হচ্ছে না এটা অবাস্তব। মনে হচ্ছে বাস্তবে কাজ করছে।আসলে দারুন দারুন কিছু জিনিস দেখতে পেলাম ধান চাষ।প্রশিক্ষণের জন্য পাকা ঘর প্রস্তুত দারুন ছিল।নানান ধরনের গ্রামীন কুটির শিল্পের নিদর্শন মডেল গুলো অসাধারণ ছিল 💘


IMG_20220106_113311.png

কি অসাধারণ!!

দাদা আজকে আপনার পুরোটা পোস্ট জুড়ে আমরা দেখতে পেলাম প্রাচীন কালের নিদর্শনগুলো। ❤️। চাষ করা,কুটির শিল্প,পাট দিয়ে তৈরী ভাস্কর্য। এতেদিন এগুলো সম্পর্কে বইতে পড়ে এসেছি। আজ দেখলামও। খুব ভালো লেগেছে। এই পোস্টটি খুবই শিক্ষনীয় ছিলো। প্রাচীন কাল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

অনেক ধন্যবাদ দাদা ❤️

 3 years ago 

মিউজিয়ামটির কথা কি বলব যত দেখছি ততই মিউজিয়ামটির আরো নতুন নতুন কি আছে সেগুলো দেখার প্রতি আগ্রহ থেকেই যাচ্ছে ।আজকের পর্বে আপনি কৃষি যন্ত্রপাতির অসাধারণ কিছু আলোকচিত্র সুন্দর বর্ণনা সহ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।যেগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ।এই কাজগুলা এখনো আমাদের গ্রামে চলমান।।

দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়। আপনার মাধ্যমে আমরা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রতিটি পর্বে অনেক সুন্দর সুন্দর করে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর দিক গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আজকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে তুলে ধরেছেন। প্রাচীনকালের এই অর্থনৈতিক অবস্থার দিক গুলো যেমন আখ চাষ তুলা চাষ আপনি তুলে ধরেছেন। প্রাচীনকালের এই জিনিসগুলো দিয়ে গরুর গাড়ি দিয়ে চাষাবাদ ছিল অনেক সময় সাপেক্ষ। কিন্তু এখন ইঞ্জিনচালিত যান চলাচল হয় প্রাচীন কালের মত আর সময় বা শক্তি ব্যবহার করতে হয় না। আপনি প্রাচীনকালের অর্থনৈতিক অবস্থা গুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন আপনার এ প্রবে মাধ্যমে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর সাথে আমাদের কি পরিচিত করে দেবার জন্য।

 3 years ago 

প্রাচীনকালের চাষাবাদের পদ্ধতি দেখে খুবই ভালো লাগলো । অনেক কিছুর ধারনা পেলাম পোস্টটি পড়ে । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা 😍

 3 years ago 

চমৎকার কিছু ছবি দেখতে পেলাম। প্রথম ছবিটা আমার কাছে এতই বাস্তব লেগেছে যে একবার তো ভেবেই ফেললাম যে খেত এর ভিতরই ছবি তোলা। আপনার তোলা ছবি গুলা বরাবর ই সুন্দর হয় দাদা। অনেক দিন ধরে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর নিদর্শন গুলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। এগুলা যদি শেয়ার না করতেন তাহলে হয়তো দেখাই হতোনা কোনোদিন।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 98944.63
ETH 3375.99
USDT 1.00
SBD 3.10