Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৫০
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৫০
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৯
হ্যালো বন্ধুরা,
শুভ দুপুর বন্ধুরা, কেমন আছেন সব ?
আজ রবিবার । ছুটির দিন । অনেক দেরীতে বিছানা ছাড়লাম আজ । আজকে কাজের চাপ একটু কম আছে । সারাদিন ধরে গান শুনবো আর কাজ করবো । কাল আবার বইমেলায় যাবো । এবার ভাবছি মাকেও সাথে করে নিয়ে যাবো । টিনটিনকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে মোটেও নেই । তবে, সাথে আমার মা যাচ্ছে তাই ভাবছি ওকেও সঙ্গে নিয়ে যাবো । কাল বই বেশি কিনবো না, শুধু ঘুরবো মেলায় । এরপরে আর একদিন যাবো । সেদিনটি হবে স্পেশ্যাল ডে । কারণ, সেদিন শুধুই বই কেনা হবে ।
যাই হোক চলুন আজকের মিউজিয়াম পর্ব শুরু করা যাক ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে অষ্টদশতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট সতেরটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী
২. বহু প্রাচীন নক্সাকাটা একটি তালপাতার পাখা এবং রুপোর রেকাবি
৩. মধ্যযুগের ভারতীয় রাজাদের যুদ্ধের শিরস্ত্রাণ
৪. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি ছোরার খাপ
৫. সম্পূর্ণ রৌপ্য নির্মিত ফুল লতা পাতা দিয়ে একটি সুদৃশ্য ঝর্ণার মডেল
৬. চিনামাটির তৈরী সুদৃশ্য একটি কেটলি
৭. সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী একটি প্রাচীন হুঁকা বা আলবোলা
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী । এটি একটি অভিজাত শ্রেণীর লোকেদের বাড়ির শো পিস্ ছিলো । ময়ূরপঙ্খী নাও দেখার কোনোদিন সৌভাগ্য হয়নি, তবে হাতির দাঁতের তৈরী এই মডেলটি দেখে সেই অপূর্ন ইচ্ছেটা পূরণ হয়ে গেলো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বহু প্রাচীন নক্সাকাটা একটি তালপাতার পাখা এবং রুপোর রেকাবি । তালপাতার হাত পাখাটি দেখে আমি জাস্ট অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । এতো প্রাচীন, তাও তার অসাধারণ নকশাগুলো মলিন হয়ে যায়নি । আর রুপোর ফলের রেকাবি টাও দেখতে অপূর্ব ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মধ্যযুগের ভারতীয় রাজাদের যুদ্ধের শিরস্ত্রাণ । ব্রোঞ্জ নির্মিত অসাধারণ কারুকাজ করা একটি শিরস্ত্রাণ । শিরস্ত্রাণের মাথার দুই পাশে দুটি নকশাকরা দীর্ঘ শিং রয়েছে । আর চূড়াভাগে রয়েছে একটি সুদীর্ঘ বল্লমের সূঁচালো প্রান্ত । যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের আক্রমণ হতে মাথার সুরক্ষার জন্যই শিরস্ত্রাণ পরা হতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি ছোরার খাপ । খাপটির গায়ে রয়েছে হরেক রকমের ছোট ছোট মূর্তি । সবগুলিই হাতির দাঁত খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে । অপূর্ব দেখতে ছোরার খাপটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ রৌপ্য নির্মিত ফুল লতা পাতা দিয়ে একটি সুদৃশ্য ঝর্ণার মডেল । ঝর্ণার নিচের দিকে রয়েছে বড় আটটি প্রস্ফুটিত পদ্ম আর ঝর্ণার উপরিভাগে রয়েছে পাঁচটি বড় বড় গোলাপ ফুল । ঝর্ণার মাথার উপরিভাগ থেকে নেমে এসেছে অনেকগুলি লম্বা লম্বা সুদৃশ্য ঝুমকো লতা ও ফুলের কুঁড়ি । সব মিলিয়ে সত্যি অপূর্ব দেখতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
চিনামাটির তৈরী সুদৃশ্য একটি কেটলি । কেটলিটির গায়ে নীলের উপরে সাদা-কালোর অজস্র ফুলের নকশা করা রয়েছে । হাতলটিও দেখতে দারুন হাতলটির এক মুখ সর্পাকৃতির, আরেক মুখ মনুষ্যমুখাকৃতির । কেটলিটির ঝর্ণা-মুখটি অবিকল একটি ভেড়াকৃতির ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী একটি প্রাচীন হুঁকা বা আলবোলা । অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত হুঁকাটির দিকে তাকালে আর চোখ ফেরানো যায় না । সত্যি অপূর্ব দেখতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
গোটা পরিবারের সঙ্গে মেলা ঘোরার আনন্দটাই আলাদা।আমার যেকোনো মেলায় ঘুরতে খুবই ভালো লাগে।তবে মানুষের অভাবে আমার তেমন কোনো জায়গায় যাওয়া হয়ে উঠে না ইচ্ছে থাকলে ও।গ্রামে শুধুই কাজের চাপ তাই আর যাওয়া হয় না। যাইহোক আজকের ছবিগুলি চোখ ধাঁধানো ছিল।খুবই ভালো লাগলো দেখে, ধন্যবাদ দাদা।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।মেলা সুন্দর ভাবে উপভোগ করুন পরিবারের সঙ্গে।তবে হ্যাঁ, টিনটিন বাবুকে বাড়ি রেখে গেলে কিন্তু মেলা দেখা ঠিক জমবে না আমি বলে দিলাম, তাই টিনটিন বাবুকে আগে সঙ্গে নিয়ে যাবেন দাদা।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী আমায় আবারো মুগ্ধ করলো।
আর রৌপ্য নির্মিত ফুল লতা পাতা দিয়ে ঝর্নার মডেলটি সত্যিই চোখে লাগার মতো 😍
কি দারুন সবকিছু 🪄
কি আর করার ছবি দেখেই মুগ্ধ হয়ে বসে থাকতে হবে আমাদের।
শুভ কামনা রইল দাদা খুব ভালো থাকুন 💚
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দাদা আপনি আজকে চমৎকার কিছু বস্তুর ফোটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখতে দেখতে ৫০ পর্ব চলে এসেছে। আশাকরি আর ও নতুন নতুন জিনিস দেখতে পারবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি দাদা। ময়ূরপঙ্খী আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কি সুন্দর নিখুঁত ভাবে সব কারুকার্য গুলো করা। সত্যি দাদা আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা না করে পারছি না। দারুন সব ফটোগ্রাফি সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং আমাদের সকলকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
দাদা আজকে ফটোগ্রাফির মধ্যে এই ফটোগ্রাফি দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি। ময়ূরপঙ্খী এত সুন্দর ফটোগ্রাফি হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি। সত্যিই অসাধারণ। এত সুন্দর ভাবে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করেছে যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ হলো। তা ছাড়া হয়তো কোনদিন দেখতে পারতাম না। দেখার মত খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হাতির দাঁতের ময়ূরপঙ্খী দেখে আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম। এতো নিখুঁত কারুকাজ করা কীভাবে সম্ভব তাই ভাবছি। আর চিনামাটির কেটলিগুলো তো জাস্ট ওয়াও লাগছে।আর অসম্ভব সুন্দর লাগছে এই ময়ূরপঙ্খী দেখতে। কী বলবো বুঝতে পারছিনাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য
সব সময় অপেক্ষায় থাকি আপনার মিউজিয়াম ঘুরে আসার পর্ব গুলোর জন্য, কারণ আপনার এই পর্ব গুলোর মাধ্যমে আমরা প্রাচীনকালের অনেক জিনিস দেখতে পারি, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি প্রাচীনকালে ব্যবহৃত রাজা-মহারাজাদের বিভিন্ন জিনিস। আজও তার ব্যতিক্রম নয় দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খী হাতপাখা ইত্যাদি প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ ছিল।
বাহ দাদা। দেখতে দেখতে আমরা ৫০ নং পর্বে চলে আসলাম। আজকের ছবি গুলাও আমার কাছে দারুণ লেগেছে। কিছু ইতিহাস জানতে পারলাম। হাতির দাঁতের তৈরী ময়ূরপঙ্খীটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। বাকি ছবি গুলাও অনেক বেশি সুন্দর ছিলো।
তাল পাতার তৈরি হাতপাখাটি দেখে আমি জাস্ট অবিভুত হয়ে গিয়েছি। এত প্রাচীন আর এত সুন্দর কার্যসময় তালপাখা আর আছে কিনা সন্দেহ। এছাড়া এতদিনে যতগুলো পোস্ট দেখলাম সবকিছুতেই হাতির দাঁতের অসাধারণ সব মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রি লক্ষ করলাম। সত্যিই প্রাচীন আমলের রাজা-বাদশাদের শৌখিনতা ছিল অসাধারণ।
আমার কাছেও অবাক লাগছে, তাল পাতার পাখা এত পুরোনো তাও অবস্থায় আছে।রুপোর তৈরি হুকা।কত সুন্দর।আমি শুনেছি আমার নানা নাকি হুকা টানতো।জানি না কেমন ছিলো।দাদা আপনার একেক টা এপিসোড একেকটা থেকে সুন্দর।