Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৪
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৪
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৩
শুভ সকাল বন্ধুরা,
আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন ।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছিলো ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ভারতীয় বিভিন্ন antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের প্রথম পর্ব । আজকে সেই ধারাবাহিক সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব । অসংখ্য এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীতে ঠাসা এই মিউজিয়ামটি । এই যেমন -
হাতির দাঁতের তৈরী, কিছু দামি দামি কাঠ যেমন আবলুশ, সেগুন, চন্দন কাঠের তৈরী, কিছু ব্রোঞ্জ, কিছু তামা, কিছু পিতলের তৈরী, আবার আছে সোনা, রুপা, অষ্টধাতুর তৈরী নানান শৌখিন দ্রব্য যেমন মূর্তি, অস্ত্র-শস্ত্র, বাদ্য যন্ত্র, বাসন-কোসন এবং নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি কিন্তু দামি ধাতুর তৈরী ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. আলবোলা বা হুঁক্কার একটি উন্নত সংস্করণ (কাঁসা ও পিতলের সংকর ধাতু নির্মিত)
২. বৌদ্ধযুগীয় মিথুন ভাস্কর্য (কাঠ খোঁদাই করে তৈরী)
৩. কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রাচীন সিন্দুক
৪. ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল আকৃতির চতুর্ভূজ বিষ্ণুর দন্ডায়মান মূর্তি
৫. হাতির দাঁত দিয়ে নির্মিত মহামায়ার মূর্তি
৬. ব্রোঞ্জ নির্মিত রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী দেবী দূর্গা প্রতিমা
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
এটি একটি আলবোলা বা হুঁক্কার একটি উন্নত সংস্করণ । অসংখ্য কারুকার্য্যময় কাঁসা ও পিতলের সংকর ধাতু নির্মিত এই এন্টিক বস্তুটি মোঘল বাদশাদের আমলের ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি গোটা কাঠের গুঁড়ি খোঁদাই করে এই জটিল ভাস্কর্যটি তৈরী করা হয়েছে । এটি বৌদ্ধযুগীয় । নরনারীর প্রেম, মিথুন ও যুগল মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রাচীন সিন্দুক । এই ধরণের সিন্দুকে কোনো দামী জিনিসপত্র রাখা হতো না । নানারকমের তিব্বতীয় প্রাচীন পুঁথি রাখতেন গুম্ফার লামারা । অবশ্য তাঁদের কাছে এই সব প্রাচীন তিব্বতীয় ধর্মশাস্ত্র ও পুঁথি সোনা রুপা হীরে জহরতের চাইতেও অতি মূল্যবান ছিল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল আকৃতির চতুর্ভূজ বিষ্ণুর দন্ডায়মান মূর্তি । মূর্তিটি বহু পুরোনো । ধারণা করা হয়ে থাকে এটি হর্ষবর্ধনের সময়কালের মূর্তি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হাতির দাঁত দিয়ে নির্মিত মহামায়ার মূর্তি । মহাদেবের বুকের উপরে জিব্বা বের করে দন্ডায়মান শ্যামামায়ের এই মূর্তিটিই সর্ব-পূজনীয় । হাতির দাঁতের তৈরী এই মূর্তিটি অসম্ভব ভালো দেখতে । একেবারে নিখুঁত ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ব্রোঞ্জ নির্মিত রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি । মূর্তিদ্বয়ের সামনে দুটি ব্রোঞ্জ নির্মিত গাভীর মূর্তি দন্ডায়মান । আর পিছনে কারুকার্যয়ময় একটি অর্ধচন্দ্রাকার কাঠামো । দুই পাশে ২ টি দুটি করে মোট ৪টি শুক-শারি অর্থাৎ তোতা পাখি, সবার উপরে একটি হাঁ করা ও জিব্বা বের করা দানবের মুখ । আর তার নিচে ফণা তোলা মহা সর্প ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী দূর্গা প্রতিমা, লক্ষী প্রতিমা, সরস্বতী প্রতিমা, কার্তিকেয় এবং গণেশ প্রতিমা ।সঙ্গে আছে মহিষাসুর এবং দেবী দুর্গার বাহন সিংহ । প্রাচীন কলকাতার খুবই বিলাস বহুল জীবনে অভ্যস্ত কোলকাত্তাইয়া বাবুদের নানান সব শখের জিনিসের মধ্যে পড়ে এই ধরণের ঠাকুর দেবতার মূর্তি গুলোও । প্রচুর দামি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা আজকের পর্বের সবগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দেখতে খুবই মনমুগ্ধকর। কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রাচীন সিন্দুক ও হাতির দাঁতের নির্মিত মহামায়ার মূর্তি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ সব অ্যান্টিক ভাস্কর্য আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা,এন্টিক জিনিসপত্রগুলো আমার খুবই পছন্দের।আমি মাঝেমধ্যে এন্টিক কিছু জুয়েলারি ব্যবহার করি। আর এই ছবিগুলোর মধ্যে আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রাচীন সিন্দুকটি।এটির কারুকাজ বেশ দারুণ হয়েছে। অন্যান্য ছবিগুলোও বেশ ভালো লাগলো দাদা।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
দাদা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর অনেকগুলো স্টাফ করা ফটোগ্রাফি উপভোগ করলাম এবং সেইসাথে বিস্তারিত এবং নাম না জানা অনেক কিছু নাম জানলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আবারো আমাদের মাঝে নিয়ে এলেন 34 তম এপিসোড, এপিসোড এসে খুবই অবাক হলাম যে এত সুন্দর হুক্কার সংস্কার এবং দারুণ দারুণ কাঠের মূর্তি উপভোগ করার মত। আর আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেন প্রতিটি স্থাপনার ডেট তারিখ নাম অনেক সুন্দর করে লিখেন যা জানার জন্য খুবই সহজ। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর স্টাফ ফটোগ্রাফি গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন এবং ভালোবাসা অবিরাম।
দাদা মিউজিয়ামটিতে যে পরিমাণ অ্যান্টিক দ্রব্যাদি রয়েছে আর্থিক মূল্য বিচার করলে এর দাম কত হবে চিন্তা করি আর অবাক হই। শুনেছি একটি হাতির দাঁতের মূর্তির দামই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা। সে হিসেবে এগুলো যে আমলের নির্মিত তাতে অ্যান্টিক ভ্যালু হিসাব করলে কি পরিমাণ দাঁড়াবে চিন্তা করলে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। কাঠের গুড়ি খোদাই করে যে শিল্পকর্মটি তৈরি করা হয়েছে না জানি কত কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে এই শিল্পকর্মটি তৈরি করতে। আপনার কল্যানে এগুলো ঘরে বসেই দেখার সুযোগ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই কথাগুলো শোনার পরে মনে হলো হাতি দেখেছি, হাতির দাঁত দেখেছি, হাতির দাঁত দিয়ে যে এত সুন্দর প্রতিমা শিল্প তৈরি করা যায় এটা কখনো চিন্তাও করিনি। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এধরণের অজানা বিষয় জানানোর জন্য।
বাহ কি সুন্দর তৈরি করা হতো মূর্তি গুলো চমৎকার ছিল। হাতির দাঁত এর মাধ্যমে তৈরি মহামায়া মূর্তি আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবগুলো তথ্য মূলক বিষয় বস্তু অসাধারণ ছিল। পরর্বতী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর অনেক অ্যান্টিক প্রাচীন অ্যান্টিক সামগ্রী দেখতে পেলাম।কাঠের গুড়ি দিয়ে এত আগে তৈরি এরকম সুন্দর কারুকার্য কিভাবে করেছে সেটা দেখে অবাক হচ্ছি।হাতির দাঁতের তৈরি মূর্তিটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
দাদা,ভারতীয় মিউজিয়ামের 34 তম পড়বে আপনি আমাদের মাঝে প্রাচীন বস্তুর ফটোগ্রাফির শেয়ার করেছেন।দাদা, এই এপিসোডের প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে এবং প্রাচীনকালে ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুলো দেখতে পেয়ে সত্যিই খুবই ভালো লাগছে। তখনকার মানুষের আসবার পত্র গুলো দেখলেই বোঝা যায় তারা কতটা সৌখিন ছিলো। প্রতিটা আসবাবপত্রে রয়েছে অসাধারণ এবং নিখুঁত ভাবে করা কারুকার্য। ভারতীয় মিউজিয়ামের ৩৪ তম পর্বের ফটোগ্রাফির গুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে একটি কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রাচীন সিন্দুকটি।ধন্যবাদ দাদা।
দাদা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণে আপনি কিছু ঐতিহ্যগত ফটোগ্রাফি দেখিয়েছেন, আসলে আমি আপনার সমস্ত ফটোগ্রাফি পছন্দ করি, কারণ প্রতিটি ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।