ট্রাভেল ফোটোগ্রাফি পোস্ট : কক্সবাজারের ইনানী সী বীচে কাটানো আমাদের বিশেষ কিছু মুহূর্ত
গত পোস্টে আমি বলেছিলাম যে বাংলাদেশের কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়া এবং সেখানকার সী বীচ থেকে সংগ্রহ করা শঙ্খ ও ঝিনুক ও মুক্তার নেকলেস, কানের দুল, ব্রেসলেট প্রভৃতি সম্পর্কে । আজ শেয়ার করতে চলেছি কক্সবাজারের ইনানী সী বীচে আমাদের কাটানো উপভোগ্য লম্বা সময়ের কিছু অংশ বিশেষ ।
ইনানী সী বীচ চমৎকার একটা সী বীচ । কক্সবাজার শহর ছাড়িয়ে ক্রমাগত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বেশ অনেকটা পথ পাড়ি দিলে তবেই দেখা মিলবে ইনানী সী বীচ । এই দীর্ঘ পথটাই একদম সমুদ্রের তীর ঘেঁষে । কী চমৎকার মেরিন ড্রাইভ ! দারুন উপভোগ করেছিলাম সারাটা পথ ।
যাওয়ার পথে আবার একটা নদী পড়ে । এই নদীটি পার হতে গিয়ে দেখলুম নদীর জল একদম স্বচ্ছ নীল জলের । অপূর্ব সুন্দর এই নদীটি । ইনানী সী বীচে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগে বিশাল একটা ডাব আর চিংড়ি-কাঁকড়া ফ্রাই খেয়ে নিলাম । খাওয়া দাওয়া শেষ করে দেখি সবাই আমাকে ফেলে সী বীচে চলে গেছে । তাই দ্রুত দৌড় দিলাম সেদিকে ।
এই ডাবের দোকান থেকে সমুদ্র সৈকত প্রায় ৩০০ মিটার হবে । প্রথম ১৫০ মিটার শুধু বালি আর বালি । এরপরে ছোট্ট একটা খাল । তাতে জল জোয়ারের সময়ও হাঁটুর উপরে ওঠে না । একদম স্বচ্ছ আর ঘন নীল জলরাশি এই খালের জল । খাল পার হয়ে ওপারে আবার বালুকাতট । তাও প্রায় ১৫০ গজ প্রশস্ত তো হবেই । সেটি পার হলে তবেই একদম সমুদ্রের তট ।
গিয়ে দেখি সবাই জলে নেমে গিয়েছে । অগত্যা আমিও জুতো খুলে রেখে এক দৌড়ে গিয়ে সমুদ্রের জলে নেমে পড়লাম । তবে জল বেশ ঠান্ডা থাকায় খুব একটা বেশি দূর নামিনি । এক একটা ঢেউ এসে ভিজিয়ে দিচ্ছিলো আমাদের । যখন একটা ঢেউ আছড়ে পড়ে টিনটিনবাবু হাততালি দিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে । যখন ঢেউ নেমে যায় পায়ের নিচে বালি সরে যাওয়াতে বেশ একটা আরামের সুড়সুড়ি টের পাওয়া যায় ।
এরপরে অনেক্ষণ সমুদ্রের জলে কাটিয়ে মোটর সাইকেলে করে একটা শর্ট ট্যুর দিয়ে এলাম । লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি দেখলাম । ডিম-কলা, ঝালমুড়ি, জল কিনলাম । খেয়েদেয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের জলে হুটোপুটি করলাম । তারপর কেনা কাটার পালা । সৈকত থেকে অনেক কেনাকাটা করলাম যেটা নিয়ে গতকালই একটা পোস্ট লিখেছি । এরপরে সবাই মিলে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ।
সমুদ্র সৈকত এমনই একটা জায়গা যেখানে এলে মন নিমেষেই ফুরফুরে হয়ে ওঠে । মনখারাপের অসুখ একমাত্র সারাতে পারে সমুদ্র । এর বিশালতা মুগ্ধ করে চলে আমাদের সারাটাক্ষন জুড়ে । সমুদ্রের নোনা জল মাখা দখিনা হাওয়ায় উদাস করে তোলে মনটাকে । এর স্বচ্ছ নীল জলরাশির বুকে ফসফরাস মাখা সাদা ঢেউ যখন জন্ম নেয় সেদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না ।
ইনানী সী বীচে ডাব খাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
মূল সমুদ্র সৈকতে প্রবেশের ঠিক ১৫০ গজ আগে এই ছোট্ট খালটা পার হয়ে যেতে হয় ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
সমুদ্র সৈকত । টিনটিনবাবু ভীষণ খুশি ।
"এই বালুকা বেলায় আমি লিখেছিনু,
একটি সে নাম আমি লিখেছিনু
আজ সাগরের ঢেউ দিয়ে তারে যেন মুছিয়া দিলাম ।"
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
সমুদ্র সৈকতে তনুজা ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
সমুদ্রের নীল জলরাশির বুকে ফেননিভ ঢেউ ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
অনেকগুলো সমুদ্রের ঢেউয়ের ফোটো দিলাম ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৪৯ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 65f58aff24358caafddca604430f22678d5ddaf08c0d4d9b05e0892c3e921c2e
টাস্ক ১৪৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সমুদ্রের জলে স্নান দাদা সত্যি বলতে আমাকেই ইচ্ছে করছে কক্সবাজারে যেতে ৷ যা হোক চাইলে তো আর সম্ভব না ৷ তবে কোনো একদিন আপনার মতোই ভ্রমন করবো ৷ এমনটাই স্বপ্ন প্রতিনিয়ত দেখি ৷
আপনার সমুদ্রে কাটানো মুহূর্ত গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷
ইনানী বিচে আপনারা খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দাদা। সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। আপনাদের সবার ছবিগুলোও খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে টিনটিন বাবুকে খুব কিউট লাগছে দেখতে। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ইনানী বীচের সৌন্দর্য অতুলনীয় সেখানে গেলে আর আসতে মন চায় না। আসলে সমুদ্রের বিশালতার কাছে আমরা খুবই নগণ্য। আমরা যতই মন খারাপ নিয়ে যাই না কেন সমুদ্রের পাশে দাঁড়ালে আর মনে খারাপ লাগা থাকে না। ইনানী বীচের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। আমাদের দেখেই বুঝতে পারছি আপনারা সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
দাদা সেন্টমার্টিন ঘুরে আসলে আরো ভালো করতেন। সেখানে সমুদ্রের সৌন্দর্য আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
আপনাদের ভালো লাগার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফিতে বুঝতে পারছি। ইনানী বীচে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আমিও যখন গিয়েছিলাম, ডাব খেয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলাম খালি পায়ে। খুব সুন্দর এক অনুভূতি বলে বোঝানো যাবেনা।তবে আপনি ঠান্ডার কারনে সমুদ্রে বেশি দূর যাননি। আমি জুনে গিয়েছিলাম অনেক বছর আগে,ওই সময় সমুদ্র আরো বেশি উত্তাল থাকে।হে, এটা ঠিক বলেছেন পায়ের নীচে বালি সরে গেলে কেমন এক অনুভূতি হয়।টিনটিন বাবু খুব মজা পেয়েছে দেখে ভাল লাগলো। দিদিকে খুব সুন্দর ও সজীব লাগছে।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
বাংলাদেশ সফরে কষ্টের পাশাপাশি কিছু ভালো সময় ও অতিবাহিত করেছেন যেটি কক্সবাজারে দেখা যাচ্ছে। যদিও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল হোটেলে সেটা পড়েছিলাম। তবে ইনানী সী বীচে আমরা যখন গিয়েছি তখন পাথর ছিল এখন দেখছি পাথর নেই। তবে দাদা সেন্টমার্টিন গেলে মনে হয় আরো ভালো লাগতো আপনার। ৮ কিলোমিটার এর দ্বীপের মধ্যে খুব চমৎকার পরিবেশ। সেখানে গেলে ইনানী বীচের চাইতে আরো বেশি মজা পেতেন। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ইনানী সি বিচে গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা । আসলে এই জায়গাটিতে আমরাও গিয়েছিলাম এই ছোট্ট নদীর নীল পানি যেটা সত্যি দেখতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যায় এখানে। কক্সবাজারের ভালো মুহূর্তটা যদি হয় সেটা হল ইনানী সি বিচ খুব সুন্দর করে উপভোগ করেছেন অনেক ভালো লাগলো।