অনুগল্প "ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


Copyright Free Image Source : PixaBay


সামনের অঘ্রাণে অর্ক'র বিয়ে । ব্যস্ততার চূড়ান্ত । প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় অফিস ফেরতা অর্ক তার হবু বধূর সাথে কখনো শাড়ী-গয়নার দোকানে, কখনোবা ফুলের দোকানে ঢুঁ মারছে । প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু কেনাকাটা করছেই তারা ।

অর্কর হবু বধূ পারমিতা বেশ ধনী পরিবারের মেয়ে । বাবা শহরের নামকরা ব্যবসায়ী । অর্কর বাবার ছোটবেলাকার বন্ধু পারমিতার বাবা । বিয়ের সম্বন্ধটা অর্কর পরিবার থেকেই গিয়েছিলো । পারমিতার বাবা এই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন । অর্কর ফ্যামিলি স্ট্যাটাস তাঁদের মতো না হলেও অর্কর মতো ভালো ছেলে এই দুনিয়ায় বিরল । এই কথাটি পারমিতার বাবা জানতেন । বন্ধু পুত্র হওয়াতে ছোটবেলা থেকেই তো তিনি অর্ককে দেখে আসছেন । তাই, দুই পরিবারে সানাইয়ের সুর বেজে উঠতে দেরি হলো না ।

পারমিতা, সুন্দরী, উচ্চ শিক্ষিতা এবং সব চাইতে বড় কথা অর্ককে সে লাইক করে । অতএব, কোনো দিক থেকেই কোনো বাধা ছিল না এতটুকু ।

আজকে সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক নামকরা রেস্তোরাঁতে দু'জনে ডিনার করে, কিছু হালকা প্রসাধনীর মার্কেট করে অর্ককে তার বাড়ির সামনে ড্রপ করে দিয়ে গেল পারমিতার বিশাল সাদা গাড়িটা । সারাদিন অফিস করে এরপরে পারমিতার সাথে ঘোরাঘুরি করে আজকে বেশ বিধ্বস্ত লাগছিলো । তাই, অর্ক অফিসের ড্রেস ছেড়েই অমনি বেডে এসে শুয়ে পড়লো ।

হালকা নীল রঙের দ্যুতিহীন আলোয় ভরে আছে বেডরুমটা । অর্ক গলা একটু হালকা উঁচু করে এলেক্সা-কে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত চালাতে বললো । "আমারো পরাণও যাহা চায় ....." । সুরের মূর্ছনায় ঘর ভরে গিয়েছে । চোখ বন্ধ করে অর্ক শুনছে । এই গানটি তার অসম্ভব প্রিয় । যতবার শোনে মন ভরে না ।

এমন সময় হঠাৎ, অর্কর মোবাইলে হোয়াটসআপ থেকে একটি মেসেজ ঢোকার টুং টাং শব্দ হলো । হালকা ঘুমচোখে মোবাইলের স্ক্রীনে চোখ রাখলো অর্ক । না, পারমিতা নয় । একটি ভীষণই চেনা নাম্বার থেকে একটি ক্ষুদ্র মেসেজ এসেছে । কতকাল পরে এলো ? পাঁচবছর ? হয়তোবা ।

হঠাৎ, চোখ জ্বালা করে উঠলো অর্কর । একটা চাপা কষ্ট বুকের মধ্যে সহসা অনুভব করলো সে । এই নম্বরটা তার ভীষণই চেনা । কন্টাক্ট লিস্টে এখন আর সেভ নেই, কিন্তু নাম্বারটা মুখস্থ । মেসেজটা বারবার পড়লো অর্ক । খুবই ছোট্ট একটি মেসেজ । খুবই সাধারণ একটি কথা । দুটি মাত্র ওয়ার্ডের ছোট্ট একটি মেসেজ ।

"কেমন আছো ?"

এ পাহাড়সম বেদনা অনুভব করলো অর্ক যতবার মেসেজটি পড়তে লাগলো । আজ এতকাল পরে বৈশাখী জানতে চাইছে অর্ক কেমন আছে । একটা বোবা অবরুদ্ধ কান্না সহসা জমা হলো অর্কর হৃদয়ে । কষ্টের অভিঘাতে মুখ বিকৃত করে ফেললো সে ।

বৈশাখী যদি আরেকটু কিছু লিখতো তার মেসেজে তবে, এতটা কষ্ট পেতো না আজ অর্ক; কিন্তু, ওই ছোট্ট মেসেজটা "কেমন আছো ?" দিয়ে বৈশাখী আজ বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে আসলে ভালো নেই ।

বৈশাখী । একমাত্র নারী, যাকে অর্ক সত্যিকারের ভালোবেসেছিলো । না ভুল হলো, এখনো ভালোবাসে । যে বৈশাখী একদিন শ্রাবণ সন্ধ্যায় তার বুকে মাথা রেখে কথা দিয়েছিলো অর্কর জন্য পৃথিবীর সে সব কিছু ছাড়তে রাজি, সেই বৈশাখী সবার আগে তাকেই ছেড়ে দিলো ।

অনেক গভীর সম্পর্ক ছিল তাদের দুজনের মধ্যে । হাতে হাত রেখে এক সাথে বাঁচার স্বপ্নে বিভোর ছিল দুটি তরুণ হিয়া । হঠাৎ, কি যে হলো ! একদিনের সামান্য একটা মন কষাকষি থেকে অভিমানের বাষ্প জমলো দুজনেরই মনে । অর্ক ব্লক করে দিলো হোয়াটসআপ-এ বৈশাখী-কে । মাত্র একটি দিনের জন্য । পরের দিন ভোরেই সে ঘুম থেকে উঠেই আনব্লক করে বৈশাখীকে মেসেজ দিলো । মেসেজ সেন্ড হলো না । কল করলো, গেলো না । মেসেঞ্জার-এ, ফেসবুকে ব্লকড পেলো নিজেকে । বৈশাখী তাকে ব্লক করেছে ।

পাগলের মতো অর্ক ডিরেক্ট কল করলো, ঢুকলো না । Truecaller দিয়ে অর্কর নাম্বারটাই ব্লক করেছে বৈশাখী । এরপরে বহু চেষ্টা করেছে অর্ক যোগাযোগ করার । পারেনি, অন্য নাম্বার দিয়ে কল করে দেখেছে । অর্কর গলা শোনা মাত্রই ফোনটা রেখে দিয়েছে বৈশাখী ।

ফিজিক্যালি যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছে অর্ক বহুবার । কিন্তু, কেউ যদি কারো সাথে দেখা করতে না চায় তবে তার সাথে দেখা করা কি সম্ভব ? না, সেটা সম্ভব নয় ।

একদিন মুহূর্তের রাগের বশে অর্ক যেটা করেছিল বৈশাখী সেটিকে পাঁচটি বছর ধরে রেখেছে । আজ এতকাল পরে সে জানিয়েছে অর্ককে যে সে আসলে ভালো নেই একটুও ।

বুকের বাঁ পাশটাতে একটা ব্যাথা অনুভব করলো অর্ক ।

দ্রুত কাঁপা হাতে নাম্বারটাতে কল করলো সে ।

মাত্র একবার রিং হতেই কল একসেপ্টেড হলো । দুজনেই নীরব, নিস্তব্ধ । শুধুমাত্র হালকা শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শোনা যেতে লাগলো । দীর্ঘ দুই মিনিটের নীরবতার পরে অর্কই বললো - "কেমন আছো তুমি ?"

সহসা কান্নায় ভেঙে পড়লো বৈশাখী । ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে একে একে সব কিছুই জানালো সে অর্ককে । এক নির্বাক শ্রোতা হয়ে, নীরব কান্নার অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে অর্ক শুনলো সব কথা বৈশাখীর ।

অর্কর সাথে বিচ্ছেদ করেছে বৈশাখী এক সমুদ্রসম অভিমান আর পাহাড়সম জেদের বশে । এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে এরপরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সে । অর্ককে কষ্ট দিতে, অর্ককে উচিত শিক্ষা দিতে গিয়ে সে নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনে । বিয়ের পর পরই আমেরিকা পাড়ি দেয় সে । ততদিনে অর্কর প্রতি রাগ অভিমান কিচ্ছু নেই । কিন্তু, কোনো অধিকারও যে নেই আর । অর্কর কাছে ফেরার পথ সে নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে । আর কোনো পথ খোলা নেই ।

বিয়ের পরে আমেরিকা এসে স্বামীর আসল চরিত্রের সাথে পরিচিত হলো বৈশাখী । মদ্যপ, লম্পট আর চরম অত্যাচারী । শারিরীক নির্যাতন সে করতো, তবে তার চাইতে হাজার গুন বেশি কষ্ট দিয়ে বৈশাখীকে মানসিক নির্যাতন করে সে পৈশাচিক আনন্দ পেতো । কতবার বৈশাখী অর্ককে মেসেজ দিতে গিয়েও দেয়নি । সে যে ভুল করেছে তার জন্য তার এমনটা সাজা হওয়াই উচিত । তার কষ্টটাকে তাই তার প্রাণের মানুষটার সাথে ভাগ করে নিতে মন সায় দেয়নি ।

একটি কন্যা সন্তানের জন্মের পর পরেই স্বামীর অত্যাচার এখন আরো বেড়ে গিয়েছে । বৈশাখী তাই এখন বাঁচতে চায় । নিজের সন্তানের একটি সুস্থ জীবন দিতে চায় । বিদেশে একটা জিনিস ভালো । আইনের সঠিক প্রয়োগ আছে এদেশে । সহজেই ডিভোর্স পেয়েছে বৈশাখী । প্রবাসী কিছু ভারতীয় তাকে অনেক সাহায্য করেছে । মূলত তাঁদের সাহায্যেই ডিভোর্সের পরে দেশে ফিরতে পেরেছে সে ।

স্তব্ধ হয়ে সব কিছু শুনছে অর্ক । গাল বেয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ছে তার । বৈশাখীকে শুধু বললো তুমি বাড়িতেই থেকো, আমি এখুনি আসছি ।

তাদের ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি বৈশাখী ভঙ্গ করেছে । কিন্তু, অর্ক তো করতে পারে না । শ্রাবনের এক সন্ধ্যায় বৈশাখীকে বুকে নিয়ে সে কথা দিয়েছিলো বৈশাখীর জন্য সে পৃথিবীর সব কিছু ছাড়তে রাজি আছে । আজকে সেই কথা রাখার দিন ।

কাঁপা কাঁপা হাতে পারমিতাকে মেসেজ করলো অর্ক - "পারো, আমাকে ক্ষমা কোরো ।"

Sort:  

Thank You for sharing Your insights...

 2 years ago 

একদিনের সামান্য একটা মন কষাকষি থেকে অভিমানের বাষ্প জমলো দুজনেরই মনে ।

এই অভিমান পুষে রাখা- খুবই কষ্টদায়ক আর ভয়ঙ্কর এক শেষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।কিন্তু সেই কথা রাখার প্রেক্ষিতে অন্য একজনকে বিনা কারণে হয়তো কষ্ট পেতে হবে। তবে খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার আজকের এই লেখা পড়ে।

 2 years ago 

এই জন্যই যতই অভিমান হোক , যতই রাগ হোক দ্রুত তা নিস্পত্তি করে নেয়া উচিত । আর জেদের বশে কোনো কঠোর ডিসিশন নেয়া মোটেও উচিত কর্ম নয় ।

 2 years ago 

গল্পের লেখক এর কাছে কে উচিত কাজ করেছে জানিনা।তবে আমার চোখে বৈশাখী এবং অর্ক দুজনেই সমান অপরাধী।বৈশাখী যেমন অর্ককে কষ্ট দিলো ঠিক তেমন অর্ক ও।বৈশাখী যদি সুখে থাকতো বিয়ের পর তাহলেও হয়তো অর্কের জন্যে আর এতো বেকুলতা আসতোনা।একটি গল্পে এতো টুইস্ট !ভাবা যায়না দাদা!একমাত্র আপনার দ্বারাই সম্ভব লেখার মাধ্যমে পাঠক-পাঠিকাকে অনেক ভাবানো।
অসম্ভব ভালো হয়েছে দাদা,আরো লেখা চাই।

 2 years ago 

আমার দৃষ্টিতে অর্ক মোটেও অপরাধী নয় । তবে, বৈশাখীর জেদ আর অভিমানের কাছে তার ভালোবাসা হেরে গিয়েছিলো । অথচ, অর্ক বৈশাখীকে দেওয়া কথা ঠিকই রাখলো অবশেষে ।

 2 years ago 

কিন্তু অর্কের কারণেও একজন কষ্ট পেলো,যেমনটা অর্ক পেয়েছে। আপনার লেখার এই ই মজা,সবাই ভিন্ন রকম করে ভাবতে পারে।

 2 years ago (edited)

দাদা এরকম ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে আমি অনেককে দেখেছি। আমার সম্পর্কে নানা হয় সেও ৫ বছর পর ২টা বাচ্ছা সহ বিয়ে করেছে তার ভালবাসার মানুষকে। আসলে সত্যিকারের ভালবাসা হলে কোন বাধাই আটকায় না দুটি হৃদয়কে এক করতে। তবে পারমিতা কি নিয়ে বাচবে সেটাই ভাবছি। ভাল থাকুক সবার ভালবাসার মানুষ।

 2 years ago 

ও আপনি তাহলে বাস্তব একটি সত্যিকারের ভালোবাসার ঘটনার সাক্ষী আছেন । জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলে । সত্যিকারের ভালোবাসা দেশ, কাল, বয়স, ধর্ম, ধনী-গরীব কিছুই মানে না ।

 2 years ago 

অশ্রুসিক্ত নয়নে বলছি অর্ক তার প্রথম ভালবাসাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে,,কথা রাখতে গিয়ে, বর্তমানকে জলাঞ্জলি দিল।আরো একবার প্রমাণিত হলো আপনার গল্প থেকে,,জীবনে প্রথম প্রেম কখনো ভোলা যায়না।
গল্পটি পড়তে পড়তে দু চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে যাচ্ছিল কেন জানিনা।♥♥

 2 years ago 

পারো'কে ছাড়তে অর্করও খুবই কষ্ট হয়েছিল, এবং সে জানতো কাজটা অনুচিত । কিন্তু, সে শুধু নিজের ভালোবাসার প্রতিশ্রতি রক্ষা করতে চেয়েছিলো ।

 2 years ago 

কি বলবো!! এমন একটা গল্প লেখার আইডিয়া কোথায় পেলেন উপরওয়ালাই জানে। সুন্দর একটা নাটক হয়ে যাবে এই গল্প নিয়ে। সামান্য অভিমান বা রাগ যে মানুষের কত বড় ক্ষতি করতে পারে এই গল্পটি তার আদর্শ উদাহরণ। আবারো আপনার লেখার প্রশংসা না করে পারলাম না। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

অভিমানে দোষ নেই । দোষ হোলো অভিমান পুষে রেখে জীবনে কোনো বড় ধরণের ডিসিশন নেওয়া । সারা জীবনটাই শেষ হয়ে যায় শেষে ।

 2 years ago 

সব ভালোবাসা উজার করে দিয়ে নিয়েছো আমার মন
তবে কেন ছেড়ে গেলে প্রিয়া তুমি ভেঙ্গে আমার মন
ক্ষুব্দ মনে প্রতিশোধের জ্বালায় দিয়েছে পাড়ি বিদেশ
যন্ত্রণা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে না পেরে মনে পড়লো আমায়
আমি যে এক ভাকরূদ্ধু মানুষ জবাব দিতে পারেনি তোমায়
সহজ সরল অবলা একটি মানুষকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি আজ
তবুও তোমাকে পাওয়া টাই এই হৃদয়ের কাজ
কথা দিয়েছিলাম তোমায় চিরোদিন থাকব আমি তোমার
বাকরুদ্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে সত্যি কারের ভালোবাসার।

দাদা আপনার গল্পটি পড়ে বুকের এক কোণে কেন জানি চিনচিন করে ব্যথা করছে। মনে হয় যেন পুরনো ভালোবাসাটা আবার জেগে উঠেছে। সত্যিই অসাধারণ গল্প লিখেছেন। এমন ভালোবাসা হাজারো হয়ে থাকে। হয়তো আমার বেলায়ও হয়েছিল। তবে হয়তো আপনার গল্পে সত্যি কারের একটা গল্প ভেসে উঠেছে, কিন্তু আদৌ সত্য হয়নি। ব্যথার যন্ত্রনা প্রতিনিয়ত কাতরাচ্ছে আমার এ হৃদয়। যাইহোক আমাদেরকে এত সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য এবং গভীর ভালবাসার জানান দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

দারুন লিখেছেন কবিতাটি । মন ছুঁয়ে গেলো, একটা অন্যরকমের অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে গেলো হৃদয় ।

 2 years ago 

দাদা প্রাউড অফ ইউ, ধন্য হয়ে গেলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে। আমার মনে হয় আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হতে পারে নাই। আই লাভ ইউ দাদা।

 2 years ago 

দাদা আপনার লেখা গল্পটি পড়ে খুব ভাল। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে এখন প্রায়ই ঘটে। আসলে রাগের মুুহুর্তের সিদ্ধান্তে কখনো ভাল কিছু আনেনা। রাগের বশে একটি সিদ্ধান্তে আজ দুজনার জীবন জীবন্ত লাশ। এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? বৈশাখী নাকি অর্ক? নাকি কেউনা? আমি বলব ভাগ্যই তাদের এক হতে দিলনা।
এক সময় সমরেশ, সুনিল, রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসে ডুবে থাকতাম। এখন তত সময় পাইনা। তবে ছোট গল্প কখনো মিস করিনা। এখনো রবীন্দ্রনাথ ছোট গল্প সময় পেলে পড়ি। পাশাপাাশি শার্লোক হোমস পড়া হয়।

 2 years ago 

হ্যাঁ, রাগের বশবর্তী হয়ে কখনোই কোনো ডিসিশন নিতে নেই । তাহলে, সেটা সারা জীবনের জন্য কান্নায় রূপান্তরিত হতে পারে ।

 2 years ago (edited)

এটা কি হলো দাদা? অসময়ে এভাবে পুরনো প্রেম হৃদয়ের নির্জীব ঝড়কে আবার জাগ্রত করে তুললো?

একটা ভুলের জন্য, পুরনো স্মৃতিগুলোকে জাগ্রত করার জন্য পারমিতাকে এভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়াটা কি নতুন কোন অন্যায়ের জন্ম দিলো না? শুরুটা ভালো ছিলো, দারুণ একটা গল্পের আমেজ পাচ্ছিলাম, কিন্তু হুট করে দিলেন তো পুরো দৃশ্যপটটা পরিবর্তন করে, দেখা যাক পরবর্তীতে আর কি চমক অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

হঠাৎ কোন এক ভালো লাগার মুহুর্তে
তুমি জাগ্রত করলে নিস্তেজ হৃদয়
তুমি ঝড় তুললে নির্জীব হৃদয়ে
তুমি স্মৃতিগুলোকে আলোকিত করলে

আমিতো বেশ ছিলাম, হৃদয়ে লুকিয়ে রেখেছিলাম
স্তব্দ হয়ে যাওয়া, একটা বোবা কান্নার মায়া
নতুন ভাবে নতুন করে, হৃদয়ের স্বপ্নের মোহে
সীমান্তের ওপারের কামনা, ক্ষতগুলোকে মুছে ফেলার আকাংখা

পুরনো স্মৃতিগুলোর আস্ফালন, যন্ত্রণার বীভৎস চিৎকার
অদৃশ্য মায়ার আহবান, আমি কিভাবে ছিন্ন করি বলো?
সীমান্ত পাড়ি দেয়ার বাসনা, আমি ছিন্ন করি বন্ধন
তোমাতে ফিরতে চায় হৃদয়, নিস্তের হৃদয়ের হিল্লোল।

 2 years ago 

আপনার কয়েকটি লাইন জাস্ট মনটাকে একেবারে বিবশ করে দিলো । সত্যিকারের গভীর প্রেমের অনুভব না থাকলে তাকে হারানোর যন্ত্রনাটা উপলব্ধি করতে পারা যায় না । আপনার কবিতার লাইনগুলো সেই সাক্ষ্য দিচ্ছে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57621.01
ETH 3094.14
USDT 1.00
SBD 2.32