টিনটিন বাবুর প্রি-বার্থডে উদযাপনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত
গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১, আমাদের টিনটিন বাবুর প্রি-বার্থডে উদযাপন করা হয় । এই রকম উদযাপন আমাদের ফ্যামিলিতে প্রায়শই হয়ে থাকে, কারণ বাচ্চারা জন্মদিন উদযাপন বলতে পাগল একেবারে । আমার ভাইঝি তো প্রায় প্রত্যেক মাসে এক বার করে তার প্রি-বার্থডে, পোস্ট-বার্থডে সেলেব্রেশন করে থাকে । আমার ছেলে এখনো অত ভালো করে কিছু বোঝে না কিন্তু জন্মদিন পালন করতে ভীষণই ইচ্ছুক । টিভিতে হ্যাপি বার্থডে সং চললে হাঁ করে তাই শোনে । আর কেক কাটতেও দারুন লাইক করে ।
টিনটিনবাবু এই সামনেই দুই ছাড়িয়ে তিনে পা দেবে । এখন থেকে সব ব্যাপারে ভীষণ কৌতুহল । সারাদিন এ ঘর ও ঘর ঘুরঘুর করে আর এটা ওটা জিনিসপত্র এলোমেলো করে বেড়ায় । সারাক্ষন টো টো করে বেড়াতেই তার যত মজা, যত আনন্দ ।
১২ই সেপ্টেম্বর, রোববার, ছুটির দিন, ভোর বেলা থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেলো । আগের দিন শনিবার মার্কেটে গিয়ে টিনটিনবাবুর জন্য তার কাকা পা'জামা-পাঞ্জাবী কিনে এনেছিল । একবারে সেগুলো পরিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হলো । একটু বড় বড় হলেও মোটামুটি সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল । এরপরে দীপ্র এলো আমাদের বাড়িতে ।
দীপ্র আর টিনটিন বাবুর কাকা গেলো বাজারে । ঘন্টা দুই পরে পাহাড় প্রমান বাজার করে নিয়ে এলো । তনুজা দু'রকমের বিরিয়ানি করবে । চিকেন আর মটন । সাথে ডাক রোস্ট । সকালবেলা থেকেই তনুজা রান্নার তোড়জোড় শুরু করে দিলো , তাকে হেল্প করছিলো আমাদের বাড়ির রান্নার লোক । মা পুজো দিতে ঠাকুর ঘরে ঢুকে গেলো, বাবা শেভ করতে বাথরুমে ঢুকে গেলো । আমার ভাই আর দীপ্র আবার বেরোলো কেক অর্ডার করতে । বেরোনোর সময় আমি ওদের বেশ কয়েকটা খাবারের প্যাকেট আর হরেক রকমের কোল্ড ড্রিংকসের ক্যান আন্তে বলে দিলাম ।
সন্ধ্যা ৭ টায় টিনটিনবাবুকে সাজুগুজু করে রেডি করিয়ে ওর মা নিজে সাজগোজ করতে বসে গেলো । দীপ্র আর আমার ভাই মিলে বেলুন গুলো ফুলিয়ে লিভিংরুম সাজিয়ে ফেললো । করোনা টাইমে আমরা কাউকেই ইনভাইট করিনি । তবে আমাদের বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার আর তার ছেলে, আমার ভাই এর কিছু ফ্রেন্ড ছাড়া আর কেউ ছিলো না প্রি-বার্থডে তে । অবশ্য আসল বার্থডে তে সবাইকেই ইনভাইট করা হবে ।
রাত ঠিক ৯টার সময় টিনটিন বাবু তার মাম্মা, ঠাকুমা আর দাদা (ঠাকুরদা) -র সাথে মিলে কেক কেটে ফেললো, টিভিতে তখন বাজছে হ্যাপি বার্থডে টু ইউ সংটি । কেক কাটার পরে সবাইকে দেয়া হলো । ড্রাইভার এর ছেলেটি টিনটিনবাবুর সাথে বেশ কিছুক্ষন খেললো তার সদ্য পাওয়া বার্থডে গিফট এর খেলনা গুলি নিয়ে ।
এরপরে একে একে সব অতিথিকে বিরিয়ানি আর ডাক রোস্টের প্যাকেট ধরিয়ে দেয়া হলো ।এরপরে টিনটিনবাবুকে তার মাম্মা খাওয়াতে শুরু করলো, আর আমরা সবাই ডাইনিং টেবলে বসে গেলাম এক পেট খিদে নিয়ে । রাত ১১ টা অব্দি জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হলো । দারুন একটা দিন কাটলো আমাদের সবার ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ ও সময় : ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১, সন্ধ্যা ৮ টা বেজে ৪৫ মিনিট থেকে ৯ টা বেজে ২৫ মিনিট পর্যন্ত
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
টিনটিন বাবু যে কত আনন্দিত হয়েছে তার ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়। টিনটিন বাবু কে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন টিনটিন বাবু।
টিনটিন বাবুর জন্য অনেকগুলো ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল তার জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ যেন সুন্দর হয় এটাই কামনা করি।
আপনার টিনটিন বাবুর জন্য শুভকামনা রইল দাদা।আমার পক্ষ থেকে জানাই হ্যাপি বার্থডে টিনটিন বাবু।বেঁচে থাকো দাদার রত্ন তোমার ভবিষ্যৎ শুভ হোক। টিনটিন বাবুর বার্থডে কাটানো মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর দিন উপভোগ করেছেন দেখছি। ধন্যবাদ দাদাকে আপনার সুন্দর মুহুর্তটা শেয়ার করার জন্য।
টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইল।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
পোস্ট পড়তে পড়তে আর ছবি পরিচিত হতে হতে, আমারো এক পেট খিদে জমে গেল।
টিনটিন বাবুরে, দোয়া করতে লাগলাম। মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতার দীর্ঘায়ু দান করুন। আমিন।
এমন দারুন একটা দিন আমাদের সাথে ভাগাভাগির জন্য আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ।
"টিনটিন সোনা"
অনেক অনেক শুভকামনা রইল। উপর ওয়ালা তোমাকে দীর্ঘায়ু দান করুন। এই কামনা করছি। ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল ♥️। টিনটিন সোনার মুখে একটা মিষ্টি হাসি ছিল। যা সত্যিই এক অমূল্য সম্পদ।
সুন্দর হোক টিনটিন বাবুর আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। হাসি খুশিতে ভরে উঠুক টিনটিন বাবুর প্রতিটি দিন। 12 ই সেপ্টেম্বর এর মত হাসি খুশিতে এবং পিতা-মাতার ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কেটে যাক সারাটি জীবন।
অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা, প্রীতি এবং শুভেচ্ছা রইল প্রিয় টিনটিন শোনার জন্য।।
ছোট বাচ্চারা সব সময় আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে বেশি পছন্দ করে। তারা সব সময় অপেক্ষায় থাকে তাদের জন্মদিনের জন্য। টিনটিন বাবুকে পাঞ্জাবি পড়ে খুবই সুন্দর লাগছে। আমার মনে হচ্ছে টিনটিন বাবু সেই দিনটি খুবই উপভোগ করেছে। বাচ্চাদের উৎসাহ দিতে এবং তাদেরকে সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে মাঝে মাঝে বাসায় ছোটখাটো অনুষ্ঠান করলে অনেক ভাল হয়। টিনটিন বাবুর জন্য রইলো অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা।
বাচ্চারা তাদের জন্মদিনের উৎসব এ অনেক বেশি মজা করেন কারণ অনেক গুলো গিফট পায়, অনেক এটেনশন পায় সব মিলিয়ে তারা খুব স্পেশাল ফিল করে। অবশ্য আমি নিজেও খুব এক্সাইটেড থাকি।
দাদা আপনার একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগে এইযে ড্রাইভার এর ছেলেকেও কতো সুন্দর ভাবে গ্রহণ করে নিলেন।
টিনটিন বাবুকে পাঞ্জাবিতে একদম জামাই বাবু লাগছে দাদা।