গরম আর ভালো লাগে না
Copyright Free Image Source: PixaBay
এ বছরের গরম সত্যি অসহ্য লাগছে আমার কাছে । এই রকম এক টানা অসহনীয় গরম বিগত কোনো বছরগুলোতেই পড়তে দেখিনি । কোলকাতায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ ডিগ্রী । আর গরমের দিনগুলিতে এভারেজ ৪০-৪২ ডিগ্রী অলটাইম ছিল । মাঝে কিছুদিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা ছিল । তবে সেটাও মাত্র অল্প কিছুদিনের জন্য । ৩-৫ দিন । তারপরেই ব্যাস, আবার শুরু হলো অসহনীয় গরম ।
এই গরমে বাইরে বের হওয়া বেশ কঠিন । দিনের বেলায় অফিসিয়াল কোনো কাজ না থাকলে একটি দিনও বের হই না আমি । আর বাড়িতেও সেই রকম ভয়াবহ গরম । এই গরমে কোনো কাজেই মন বসে না । শুধু তেষ্টা পায় আর ঘুম আসে । তীব্র গরমে মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগে, ব্রেনের গ্রে সেল গুলি ঠিকভাবে সক্ষম থাকতে পারে না, আর তাই বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে ।
এবার যে গরম পড়েছে তাতে বাইরে কিছুক্ষণ রোডের মধ্যে থাকলে জ্বর, সর্দি-গর্মি, সান-স্ট্রোক এসব হতে বাধ্য । আমি একদিন রোদ লাগিয়ে সেটা টের পেয়েছি । এই গরমে ক্ষিদেও পায় না তেমন । আগের তুলনায় আমাদের সবারই খাওয়া কমে গিয়েছে । ভাত খাওয়ার বদলে জল খেয়ে খেয়ে পেট ভর্তি করছি আমরা সবাই ।
এমনিতেই আমি জল বেশি খাই, তার ওপর আবার তীব্র গরম পড়েছে, ফলে বুঝতেই পারছেন আমার অবস্থাটা । ঘন ঘন শুধু জল খেয়েই যাচ্ছি । জল খেতে খেতে পেট ফুলে ঢোল, তাও তেষ্টা মিটছে না । এমন তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে এবার পাখি মৃত্যুহার বিগত বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি । এমনিতেই গাছপালার পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তার ওপরে এমন ভয়াবহ গরমের দাপট, পাখিরা বাঁচবে কী করে ?
এই গরমে হিট-স্ট্রোক, হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি খুব বেশি । প্রত্যেকদিন এমন কিছু কিছু ঘটনার কথা হামেশাই শোনা যাচ্ছে । বিশেষ করে এই তীব্র গরমে বৃদ্ধ আর শিশুরা ভয়ঙ্কর কষ্ট পাচ্ছে । এমন গরম যে বাইরে বেরোলেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই চোখ-মুখ পুরো ঝলসে যাচ্ছে । শরীরের অনাবৃত অংশে কিছুক্ষণ রোদ লাগালে এমন জ্বলুনি শুরু হয় যে সেখানে জল ঢালতে ঢালতে জীবন শেষ ।
সব মিলিয়ে এই ভয়াবহ গ্রীষ্মের দাবদাহে আমরা কেউই ভালো নেই । শ্রাবণের অপেক্ষায় দিন গুনছি সবাই । বর্ষার নবধারায় তাপিত হৃদয়, তৃষ্ণার্ত কণ্ঠ জুড়িয়ে শীতল হোক, তৃষ্ণা মিটুক ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঠিক বলেছেন দাদা। যদিও কলকাতার তুলনায় বাংলাদেশে একটু গরম কম থাকলেও এর প্রভাব কিন্তু আমরাও অনেকটাই টের পাচ্ছি। এত গরমের কারণে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া হচ্ছে কিন্তু তারপরও গতকাল থেকেই খুবই অসুস্থ অনুভব করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 41.02% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
This is an interesting post you have shared Dada.
It is true that the heat this period is unbearable, many claims that the ozone layer has been depleted or is being depleted.
I'm really sorry that this heat is affecting you, you can easily put on your air conditioner so you won't feel the effect so much.
Thank you for sharing this post with us 😊❤️❤️❤️
এই গরম আর ভালো লাগে না এই কথা যেমন সত্য। তেমনি করে এই ভয়াবহ গ্রীষ্মের দাবদাহে আমরা কেউই ভালো নেই এটাও সত্য। আসলে আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না কবে পাবো এই ভয়ংকর গরমের হাত থেকে রেহাই। বাহিরের রোদের দিকে তো তাকানোই যায় না। আজকাল আবার বাতাসও বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ খারাপ অবস্থা যাচ্ছে আমাদের।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
জি দাদা এই বছরের মত অসহ্য গরম আর কোনো বছর সহ্য করি নাই। জরুরী কাজ ছাড়া দিনের বেলা কেউ বাসার বাইরে যায় না। আমাদের বাসায় ছোট বাচ্চা আছে, আর আমরা চারতলা বাসার ৪ নম্বর তলাতে থাকি। সারাদিন রোদে ছাদ গরম হয়ে বিকালের দিকে এমন একটি ভাবসা গরম লাগে যা সহ্য করা খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কখন যে এ গরম থেকে মুক্তি পাবো আল্লাহই জানে। ধন্যবাদ দাদা।
অস্থির গরম নিয়ে পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে দাদা। আপনি একদম ঠিক বলেছেন, এই গরমে মানুষ "মানসিক অবসাদে ভোগে, ব্রেনের গ্রে সেল গুলি ঠিকভাবে সক্ষম থাকতে পারে না, আর তাই বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে"।কোন কাজেই ঠিক মত করা হয় না। আসলেই এবার গরমের রেকর্ড ভঙ্গ হচ্ছে নিকট অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায়।বৈশ্বিক আবহাওয়ার যে পরিবর্তন হচ্ছে তারেই প্রামাণ এবারের গরম। গরম নিয়ে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা আপনার জন্য।