ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের গ্রাম -০৩"
২৪ তারিখের সন্ধ্যেবেলা । মঙ্গলবার । দশমীর দিন । বিসর্জন হয়ে গিয়েছে । তাই আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম "রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের এরিয়ায়" ঘুরে আসার । সেই মতো দুটো ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ভাড়া করে সন্ধ্যের সামান্য আগে বের হলুম । টিনটিন বাবু এই সাইকেল ভ্যানে করে গ্রামের রাস্তায় ঘুরতে দারুন পছন্দ করে । তাই সে ভীষণ এক্সসাইটেড ছিল ।
রাস্তায় বের হয়েই দেখলুম পশ্চিমাকাশে সিঁদুর রাঙা মেঘের ভীড় । ডুবন্ত সূর্যের শেষ রশ্মির আলোয় পশ্চিমাকাশ অপূর্ব রঙ ধারণ করেছে । পাওয়ার প্ল্যান্টের সুউচ্চ চিমনি থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়ে সেই সিঁদুর রাঙা মেঘে মিশে যাচ্ছে । গাছপালা সব এখন গোধূলি বেলায় ছায়া ছায়া কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করছে । রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য চিংড়ি মাছের ভেড়ি । সর্বত্র নোনা জলের পুকুর । এই সব পুকুরে বারো মাসই বাগদা-গলদা, ভেটকি, পার্শে, ট্যাংরা, রুই-কাতলা আর তেলাপিয়া মাছের চাষ হয় । কিছু কিছু পুকুরে কাঁকড়া চাষ হয় ।
আমরা কিছুটা পথ মোরাম বিছানো রাস্তায় যাওয়ার পর কালো পীচের রাস্তা পেলুম । চমৎকার রাস্তা, সেই সাথে মন মাতানো উথাল পাথাল দখিনা হাওয়া । রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য জোনাকি পোকা দেখলাম হাওয়ায় পাখা মেলেছে । কিছুটা পথ আসার পরে শুরু হলো কাশফুলের বন । অন্ধকার রাতে শুভ্র কাশফুল হাওয়ায় ডানা মেলেছে । দখিনা হাওয়া কাশফুলের বনে একটা অদ্ভুত শোঁ শোঁ আওয়াজ তুলেছে । শুনতে বেশ লাগে । পাওয়ার প্ল্যান্টের আশে পাশে দারুন আলো ঝলমলে পরিবেশ । এই প্ল্যান্টটা পশুর নদীর তীরে ১২০০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত । ভারতের মালিকানাধীন বাংলাদেশের সরকারের সাথে মৈত্রী-বন্ধনের একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই "রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট" ।
রওনা দিয়েছি আমরা পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্দেশ্যে । চারিদিকের মাছের ভেড়ী । দূরে ওই দেখা যায় থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের চিমনী ।
তারিখ : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে । এখন গোধূলি বেলা ।
তারিখ : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৪ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।
গোধূলি বেলার রূপ দেখে আমি অবাক বিস্ময়ে মুগ্ধ আত্মহারা হয়ে গেলুম ।
তারিখ : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ১৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।
অপূর্ব অপূর্ব !!!
তারিখ : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।
অবশেষে রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ।
তারিখ : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ০০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চমৎকার ফটোগ্রাফি আর সুন্দর বর্ননায় ভীষণ ভালো লাগলো। ঐ ভ্যানগুলোতে চড়ে ঘুরে বেড়াতে টিনটিন বাবুর মতো আমার ও ভীষণ ইচ্ছে করে।আপনি রক্তিম সূর্যের ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে শেয়ার করলেন দাদা।দখিনা হাওয়ায় কাশফুলের শোঁ শোঁ আওয়াজ খুব সুন্দর উপভোগ করলেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতির অপরূপের দারুণ একটা দৃশ্য ক্যাপচার করেছেন আপনি দাদা, সত্যি শেষ বিকালের বেশ মুগ্ধকর একটা দৃশ্য এটা। হ্যা, শুনেছি চারপাশে অসংখ্য মাছের ঘের এবং বেশ খোলা পরিবেশ। যদিও শুরুর দিকে টানা পাঁচ বছর আমরা এর অডিটর ছিলাম। ধন্যবাদ দাদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ! অনেক সুন্দর চমৎকার আপনি বর্ণনা দিলেন। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। সত্যি বলতে গ্রামের দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। এত সুন্দর দৃশ্য গুলো যদি গ্রামে যাওয়া হয় তাহলে দেখার সুযোগ হয়। তাছাড়া নদীর কিনারে দেখা যায় সূর্যের এমন রত্তিম বর্ণ ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন কাশফুল বাগানের শোঁ শোঁ আওয়াজে। বিশেষ করে বাচ্চারা যদি এমন খোলামেলা পরিবেশ পাই তাহলে বেশ আনন্দে মেটে উঠে। তো আপনারা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা।
অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনি আমাদের দেশ ভ্রমণ করে গেছেন এবং খুলনার সুন্দর কিছু জায়গা ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। যেখানে রাস্তার পাশ দিয়ে পুকুরের দৃশ্য খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্পর্কে বেশ সুন্দর তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেখানে 1200 বিঘা জমির ব্যবহার হয়েছে এর তথ্যটা জানতে পারলাম।
গোধূলি বেলার রূপ দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। মাছের ভেড়ীর ফটোগ্রাফিটাও চমৎকার হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সবসময়ই দুর্দান্ত হয় দাদা। কাশফুল বনে ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি, তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গোধূলি বিকেল পশ্চিম আকাশে সূর্য একেবারে রঙিন হয়ে রয়েছে। পাওয়ার প্লান্ট এর চুল্লি দিয়ে ধোয়া উঠছে কী অসাধারণ লিখলেন দাদা। এই লেখাটুকু পড়েই যেন ঐ জায়াগাটা অনূভব করতে পারলাম। রামপাল থর্মাল পাওয়ার প্লান্ট যাওয়া এবং ফটোগ্রাফি করা। বেশ চমৎকার ছিল। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সঙ্গে আমাদের দেশের এইরকম ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
অসাধারণ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সুন্দরই আলাদা। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। কাশ ফুলের শো শো শব্দের কথা শুনে আমারও ইচ্ছে করছে কাশফুলের বনে গিয়ে শব্দটা শুনে আসি। গোধূলি বেলার ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সত্যিই অপূর্ব এমন দৃশ্য নিজের চোখে দেখলে সত্যিই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
গোধূলি বেলার সৌন্দর্য জাস্ট অপরূপ। কয়েকটি ছবিতে সূর্যের রক্তাক্ত ছবি দেখে আমি জাস্ট মুক্ত হলাম। আর মাছের ভেড়িগুলো অনেক সুন্দর ছিল একদম ফাঁকা। খুলনায় তো বেশ ভালই ইনজয় করেছেন। দাদা এখন কোথায় আপনি, নোয়াখালীতে দাওয়াত রইলো৷