বন্ধু সহ রংপুর জেলা পরিষদে একদিন
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ১৫ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আমরা বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছিলাম যে, রংপুর জিলা পরিষদে যাবো। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কাজের ব্যস্ততার কারণে আর যাওয়ার সুযোগ হচ্ছিল না। যাইহোক, গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে আমার বন্ধু রংপুর জিলা পরিষদে যাওয়ার জন্য বলে। সেদিন আমি ও ফ্রি ছিলাম।তাই আমি তার সাথে রংপুর জেলা পরিষদ যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলাম। আমার বন্ধু অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তার বাইক নিয়ে আমার বাসায় চলে আসে। আমিও অল্প কিছু সময়ের মধ্যে রেডি হয়ে তার সাথে চলে গেলাম রংপুর জেলা পরিষদের দিকে। আমাদের বাসা থেকে রংপুর জেলা পরিষদের দুরুত্ব ছিল খুবই কম।প্রায় আট থেকে দশ কিলোমিটার হবে। আমরা প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ মিনিটের মধ্যে রংপুর জেলা পরিষদের মধ্যে পৌঁছে গেলাম। আমরা যখন জেলা পরিষদের মধ্যে পৌঁছে যাই তখন দুপুর বেলা।
আসলে আমাদের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেয়া। আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, প্রতিটি জেলার মধ্যেই একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যে গুলোর মধ্যে খুবই অল্প পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যাইহোক, আমাদের রংপুর জেলা পরিষদের মধ্যে "কম্পিউটার আলোর পথে " নামক একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ আরো অনেক ধরনের প্রশিক্ষণ সেবা প্রদান করে। আসলে আমার বন্ধু আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বিদেশে পাড়ি দিবেন, তাই সে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে চাচ্ছেন।আর সেই উপলক্ষে আমাদের এই জায়গার মধ্যে আসা।
আমার বন্ধুর "কম্পিউটার আলোর পথে" প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হ ওয়ার জন্য ভর্তি সংক্রান্ত সকল কিছু তথ্য জানার জন্য আমরা সর্বপ্রথম অফিসের মধ্যে প্রবেশ করি । সেখানে প্রবেশ করে আমরা অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিষয়ে আলোচনা করলাম। আলোচনা শেষ করে আমরা ভর্তি হ ওয়ার জন্য একটি ফর্ম নিয়ে নিলাম এবং ফর্ম টি অল্প কিছু সময়ের মধ্যে পূরণ করে জমা দিলাম।এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভর্তি ফি ছিল খুবই অল্প পরিমাণ। যাইহোক, আমরা ভর্তি নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে আসি। অফিসের প্রতিটি মানুষের ব্যবহার ছিল খুবই সুন্দর। যাইহোক, হয়তো আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।
ভর্তি শেষে আমরা খাওয়া দাওয়া করার জন্য চলে গেলাম রুপক রেস্তোরাঁ। আসলে রুপক রেস্তোরাঁর মধ্যে প্রায় সব ধরনের উন্নয়ন মানের খাবার পাওয়া যায়।এটি রংপুর জেলা পরিষদের একদম পাশেই। যেহেতু আমাদের কাছে বাইক ছিল, তাই আমরা বাইকে করে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম মুরগির গ্ৰিল গুলো খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে।মুরগির গ্ৰিল গুলো দেখে আমার অনেক টা লোভ লেগে যায়। অবশেষে মুরগির গ্ৰিলের লোভ সামলাতে না পেরে ওর্ডার দিয়ে দিলাম দুজনে মুরগির গ্ৰিল। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের অর্ডারকৃত মুরগির গ্ৰিল চলে আসে। পরবর্তীতে আমরা মুরগির গ্ৰিলের সাথে নান রুটি ও অর্ডার দিয়ে দিলাম।
আসলে নান রুটি দিয়ে মুরগির গ্ৰিল খেতে অনেক মজা লাগে আমার কাছে। আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা আসলে আমার জানা নেই। যাইহোক, আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম রংপুর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট। আসলে সুপার মার্কেটের মধ্যে আমাদের বেশ কিছু কাজ ছিল। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের কাজ গুলো সম্পন্ন করি। কাজ গুলো সম্পন্ন শেষে আমরা বাসায় ফিরে আসি। যাইহোক, আমরা সেদিন শহরের মধ্যে দিনের পুরোটা সময় কাটিয়েছিলাম। সেদিন আমরা বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছিলাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধুকে নিয়ে রংপুর কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে এখন যুগ পালটিয়েছে আর কম্পিউটারের কাজ ছাড়া এখন সবাই অচল। যেকোনো কাজে কম্পিউটার কাজ জানা থাকতে হয়। আপনি কম্পিউটারের কাজ জানা থাকলে আপনার ও আপনার পরিবারে কাজগুলো করে দিতে পারবেন। যাইহোক আপনার এই উদ্যোগটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
বন্ধুসহ রংপুর জেলা পরিষদে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হতে গিয়েছিলেন। বেশ ভালই করেছেন ভর্তি হয়ে প্রতিটি জেলায় এরকম প্রশিক্ষণের জায়গা আছে। উনারা কম বেতনে বেশ ভালো শেখায়। ভর্তি হবার পর বন্ধুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রংপুর জেলা পরিষদ ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু দেখারও জানার সুযোগ করে দিয়েছেন ভাই। আপনার এ ব্লগ থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম আর তার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে দেখতে পারলাম।
বন্ধুকে সাথে নিয়ে রংপুর জেলা পরিষদে ভর্তির উদ্দেশ্যে গিয়েছেন এবং আপনার বন্ধু ভর্তি ও হয়েছে শুনে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা ভর্তি শেষে রুপক রেস্তোরাঁয় নানরুটি গ্ৰিল দিয়ে খেয়েছেন। আসলে নানরুটি আমার ও প্রিয়। আপনারা অনেক ভালো মুহূর্ত পার করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধুদের সাথে রংপুর জেলা পরিষদে উপস্থিত হয়েছেন। এখানে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে নিয়ে। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জানে।