জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে সতর্ক অবলম্বন করা জরুরি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ২৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
বর্তমান সময়ে আবাদি জমির মধ্যে কীটনাশকের ব্যবহার অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতে আবাদি জমির মধ্যে তেমন একটা কীটনাশক ব্যবহার করা হতো না। কিন্তু সময়ের সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। অতীতে যখন মানুষেরা জমির মধ্যে ফসল উৎপাদন করতো, তখন কৃষকেরা সব সময় নিজেরাই শ্রম দিয়ে জমির সকল ধরনের কাজ করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষি কাজ অনেক টা সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন আগের মত আর তেমন একটা শ্রম ব্যয় করতে হয় না। এখন জমির আগাছা দমন থেকে শুরু করে সকল ধরনের পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। আগেকার মানুষেরা তেমন একটা কীটনাশক ব্যবহার করতেন না।
আসলে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ থেকে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের পশু প্রাণি সম্পদ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা চাইলে আর এই সব প্রাণী সম্পদ গুলো কে রিকভার করতে পারবো না। আসলে এক সময় আমাদের এই গ্ৰামীন পরিবেশ গুলো অনেক বেশি শখের ছিল। কিন্তু যত বেশি দিন যাচ্ছে ততই বেশি পরিবেশের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।এসব কিছুর মুলে আমরা কৃষকেরাই দায়ী। আমরা ধীরে ধীরে আমাদের পরিবেশের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো হারিয়ে ফেলছি।
আসলে আমরা যদি কীটনাশক ব্যবহার করার সময় যদি সতর্কতা অবলম্বন করি, তাহলে আমরা আমাদের সুন্দর পরিবেশ কে রক্ষা করতে পারি। আমরা যখন আমাদের জমির মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করবো, তখন কীটনাশকের বোতল এবং কীটনাশকের প্যাকেট গুলো মাটির নিচে পুঁতে রাখার চেষ্টা করবো। আসলে কীটনাশকের বোতল এবং কীটনাশকের প্যাকেট গুলো থেকে পরিবেশ দুষিত হয়।তাই এই সব কীটনাশকের বোতল এবং কীটনাশকের প্যাকেট মাটির নিচে পুঁতে রাখা উত্তম।এতে করে আমাদের ভালো থাকবে।আর আমাদের আশেপাশের পরিবেশ সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
কীটনাশক ব্যবহার করার সময় আমাদের পুরো শরীর কোর্ট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে।যাতে করে আমাদের শরীরের মধ্যে কোন ধরনের কীটনাশক প্রবেশ না করে। আমরা আমাদের জমির মধ্যে এমন কিছু কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি, যেগুলো খুবই বিষাক্ত।আর এই সব পদার্থ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে অনেক বেশি ক্ষতি করে। এমনকি এই সব পদার্থ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে মানুষ মারা যাওয়ার ও আশংকা রয়েছে। এই সব বিষয়ে আমাদের কে সচেতন হতে হবে। জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের থেকে আমাদের জীবনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
ধীরে ধীরে আমাদের কে কীটনাশক ব্যবহারের থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা, কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আমাদের ফসলের জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে আনছে। এরফলে আমরা অনেক ধরনের ফসল থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছি। আমাদের কে ফসল চাষে পোকা মাকড় দমনের জন্য বিকল্প উপায় বের করতে। আমরা যদি দীর্ঘ দিন ধরে আবাদি জমির মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করি, তাহলে আমরা অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবো।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালো শাকসবজি উৎপাদন অথবা ফসল উৎপাদনের জন্য আমাদের কৃষক ভাইয়েরা তাদের ফসলের জমিতে অধিক পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু একই নাশক একদিন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটা তারা বুঝতে পারে না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। কারণ কীটনাশক মানুষের শরীরে গেলে খারাপ পর্যায়ের রোগ সৃষ্টি করে।
ভাইয়া এখন এখন তো বাজার থেকে কোন সবজি বা কাঁচা খাবার খেতে ভয় লাগে। কেননা এখন সকলের জমি এমন হয়ে গেছে অতিরিক্ত সার, বিষ ব্যবহার করলে কিছুই হচ্ছে না। আর এই সার ,বিষ ব্যবহার করার সময় কৃষককে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। তবে আমার মতে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করাই উচিত। এতে ফসলের জমিরও ক্ষতি হয় তার সাথে মানুষেরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।