দীর্ঘ দিন পর মাছ ধরার দৃশ্য দেখার অনুভূতি

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে দীর্ঘ দিন পর মাছ ধরার দৃশ্য দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ।বাংলায় বহুকাল ধরে আসছে এই ঋতু বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রকম বৈচিত্র্য নিয়ে আমাদের এই বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিন গ্ৰীষ্মের তীব্র গরম সহ্য করার পর আমাদের নিকট চলে এসেছে বর্ষা মৌসুম।আর এই বর্ষা মৌসুমে গ্ৰামের মানুষদের বিভিন্ন ধরনের খাল বিলের মধ্যে মাছ ধরার ধুম পড়ে যায়।আপনারা যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর আপনারা যারা বর্ষার পানিতে মাছ ধরেছেন তারা হয়তো নিশ্চয়ই মাছ ধরার মজা উপভোগ করতে পেরেছেন। বিশেষ করে যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করে প্রত্যেকেই বর্ষার পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করেন। অনেকের কাছে মাছ ধরা একটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে।আর বর্ষার নতুন পানির মধ্যে মাছ ধরার মজা একটু আলাদা রকম।

বেশ কিছুদিন গ্ৰীষ্মের তীব্র গরমের পর আবার চলে আসলো আমাদের মাঝে বর্ষা কাল।আর এই বর্ষা কালে সৃষ্টিকর্তা তার রহমতের পানি বর্ষণ করে থাকেন। বর্ষা কাল চলে আসলেই গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে মাছ ধরার একটি আমেজ চলে আসে। অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছে এই বর্ষা কালের জন্য।তারা মাছ ধরার জন্য ইতোমধ্যে অনেক কিছু সরঞ্জাম তৈরি করেছে । দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর তারা অবশেষে একটি সুন্দর মৌসুম‌ পেয়ে গিয়েছে।তারা এই পুরো মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের খাল বিলের মধ্যে মাছ ধরবে এবং সেই মাছ গুলো বাজারজাত করবে। আবার অনেকেই আছে, যারা শুধু মাত্র এই মাছ বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বেশ কয়েকদিন ধরে, আমাদের এলাকার মধ্যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টির মধ্যে আমাদের এলাকার সকল খাল, বিল, নদী-নালা একদম ভরাট হয়ে গিয়েছে।আর সেই খাল বিল গুলোর মধ্যে নতুন নতুন মাছের আগমন ঘটেছে।আর সেই নতুন মাছের আগমন উপলক্ষে গ্ৰামের কিছু মানুষ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আসলে প্রাচীন কালে আমাদের দেশে যে পরিমাণ মাছ ছিল, কিন্তু বর্তমান সেই তুলনায় মাছের পরিমাণ একদম কম। যতই দিন যাচ্ছে আমাদের দেশ থেকে ততই মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। প্রাচীন কালে আমরা বাঙালিরা মাছে ভাতে বাঙালি ছিলাম, কিন্তু বর্তমানে এটি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন আলু ভাতে বাঙালি।

বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছিলাম গ্ৰামের অনেক মানুষ মাছ ধরার জন্য খাল বিলের মধ্যে বেশ কিছু সরঞ্জাম তৈরি করছে।তাই ভাবলাম আমি তাদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখবো। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন, আমাদের বাড়ির পাশেই একটি ছোট নদী রয়েছে, এই নদীর মধ্যে প্রতি বছর বেশ ভালো পরিমাণ মাছ হয়।তো আমি ভাবলাম এই নদীর মধ্যে ঘুরতে যাবো।তো হঠাৎ করে আমি এই নদীর মধ্যে ঘুরতে চলে আসি। ঘুরতে এসে দেখতে পারলাম, এই নদীর মধ্যে বেশ কয়েকজন মানুষ নেট দিয়ে মাছ ধরছে।আমি তাদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখে বেশ খুশি হয়ে গেলাম। আসলে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।

এরপর আমি তাদের নেটের কাছে গিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখছিলাম। তাদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে দেখতে আমার ও ইচ্ছে করছিল, যে আমিও এভাবে মাছ ধরবো। এরপর আমি নেট ওয়ালার কাছে থেকে নেট টি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মাছ ধরার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু তেমন একটা মাছ ধরতে পারিনি। আসলে আমার তেমন একটা অভ্যাস নেই আমার মাছ ধরার। তবে ছোট বেলায় একটু মাছ ধরেছিলাম। এরপর আমি নদীর চারদিকে ঘোরাঘুরি করলাম। দীর্ঘ দিন পর নদীতে পানি দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগছিলো। আবার অনেকেই দেখছিলাম, জমির মধ্যে হাত দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছিল। সকলের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগছিলো। দীর্ঘ দিন এরকম মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পেরে মনের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ কাজ করছিল।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।