সিলেট ভ্রমণ: সিলেট শহরের মধ্যে অল্প টাকায় লাক্সারিয়াস হোটেলে উঠার গল্প (পর্ব দুই)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে সিলেট ভ্রমণে গিয়ে হোটেলে উঠার গল্প শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আপনার যারা ইতোমধ্যে আমার সিলেট ভ্রমণের প্রথম পর্ব টি দেখেছেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই আমার সিলেট ভ্রমণ সম্পর্কে অবগত আছেন। যেহেতু আমরা সেদিন রাতের বেলা সিলেটের উদ্যশ্যে রওনা দিয়েছিলাম, তাই আমাদের সিলেট শহরের মধ্যে পৌঁছাতে প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আমরা একদম নিরাপদ ভাবেই সিলেটের মধ্যে পৌঁছাতে পারছিলাম। আমরা সিলেট শহরের মধ্যে পৌঁছানোর পর হোটেলের মধ্যে উঠার জন্য হযরত শাহজালাল (রহ) মাজার রোড যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছিলাম। কেননা, হযরত শাহজালাল রহ মাজার রোড টী শুধু মাত্র টুরিস্টদের জন্য আবাসিক হোটেল এলাকা। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে সিলেট শহরের মধ্যে ঘুরতে চলে আসলে সিলেটের হযরত শাহজালাল মাজার রোডে চলে আসে হোটেলে উঠার জন্য।

আমরা সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ফজরের সময় পৌঁছে যাই। এরপর আমরা একটি সিএনজি ভাড়া করে মাজার রোডের উদ্যেশে রওনা দেই। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাজার রোডের দুরুত্ব খুব একটা বেশি দূর নয়। আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে মাজার রোডের মধ্যে পৌঁছে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পারলাম চারদিকে শুধু হোটেল আর হোটেল। আমরা যেহেতু সকলেই ছাত্র মানুষ, তাই আমাদের কে মাধ্যমিক পর্যায়ের একটি হোটেলের মধ্যে উঠতে হবে।আর আমাদের পক্ষে লাক্সারিয়াস হোটেলের মধ্যে উঠার সামর্থ্য ছিল না।তাই আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে হোটেল দেখা দেখি শুরু করে দিলাম। সেখানে দেখতে পারলাম বেশিরভাগ হোটেল গুলোই লাক্সারিয়াস হোটেল।

বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে হোটেল খোঁজাখুঁজি করার পর আমরা একটি মাধ্যমিক পর্যায়ের একটি হোটেল খুঁজে পেয়ে গেলাম। আমরা মূলত একসাথে ছয় জন বন্ধু গিয়েছিলাম।তাই আমরা ছয় সিট ওয়ালা একটি রুম খুজেছিলাম। আমরা আমাদের মনের মতো একটি রুম পেয়ে যাই। হোটেল টি দেখতে ও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। রুমটি দেখার পর আমরা চলে গেলাম হোটেলের ক্যাশ কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে আমরা দাম ঠিক করলাম। এই রুমের যে প্রাইস ছিল, সেটি আমাদের একদম বাজেটের মধ্যেই ছিল। আমরা হোটেল রুম কনফার্ম করি। এরপর আমাদের ভেরিফিকেশন করার জন্য সকলের একসাথে ছবি উঠিয়ে নেয় ক্যাশ কাউন্টারে।

আমরা হোটেলের বিল পেমেন্ট করে দিলাম। এরপর চলে গেলাম আমাদের রুমের মধ্যে।রুম টি বেশ সুন্দর ছিল। রুমের মধ্যে দুটি বড় বড় বেড ছিল। আমরা ছয়জন একদম নিশ্চিন্তে এই রুমের মধ্যে থাকতে পারবো। হোটেলের পরিবেশ পরিস্থিতি বেশ সুন্দর ছিল। এছাড়াও এই হোটেলের সার্ভিস ম্যানের ব্যবহার অত্যন্ত সুন্দর ছিল। আমার কাছে এই হোটেলের সার্ভিস ম্যানের ব্যবহার অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এরপর আমরা এক এক করে সকলেই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। যেহেতু আমরা দীর্ঘ এক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি, প্রায় ৬০০ কিলোমিটার হবে।আর জার্নি করলে শরীরের অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যায়, এই বিষয়ে হয়তো আপনারা সকলেই অবগত আছেন।আর এটাই ছিল আমার জীবনের দীর্ঘ তম একটি জার্নি। তাই প্রথম অবস্থায় একটু খারাপ লাগছিল। যাইহোক, আমরা এক এক করে সকলেই ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

সকলেই ফ্রেশ হয়ে সকাল বেলার নাস্তা করার জন্য হোটেল রুম থেকে বাহিরে বের হয়ে পড়লাম। বাহিরে বের হয়ে দেখতে পারলাম, শহর টি একদম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। শহরের পরিবেশ টা ও ছিল একদম মনোরম এবং কোলাহল মুক্ত।আমি আমার জীবনে এ পর্যন্ত যত গুলো শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছি, তার মধ্যে আমার দেখা সব থেকে সুন্দর শহর ছিল সিলেট শহর। যাইহোক, আমরা সকলেই মিলে সকালের নাস্তা করার জন্য একটি হোটেলের মধ্যে প্রবেশ করলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম, সকালের নাস্তা করার জন্য বেশ কয়েকটি আইটেম রয়েছে। আমরা সকালের নাস্তা করার জন্য পরোটা অর্ডার করি। পরোটা গুলো বেশ মজাদার ছিল।নাস্তা সেরে চলে গেলাম আমাদের হোটেলের মধ্যে। সেখানে গিয়ে আমরা সাদা পাথর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।