সিলেট ভ্রমণ: হযরত শাহজালাল মাজার ভ্রমন (বারো তম পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
আমাদের দেশের মধ্যে বেশ কয়েকজন বড় বড় পীর রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হযরত শাহজালাল। এই লোকের নামে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। এছাড়া ও আমার অজানা আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হযরত শাহজালাল বাংলাদেশের সিলেট জেলার মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাংলাদেশ এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ তার সাথে পরিচিত। তবে, আমরা তাকে কখনো দেখিনি কোনদিন। আমরা তার ইতিহাস গুলো আমাদের পাঠ্যবইয়ের মধ্যে পড়েছিলাম।তার ইতিহাস অনেক রয়েছে।
আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে বেশ কিছুদিন আগে আমরা সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সেখানকার সব গুলো দর্শনীয় স্থান গুলো পরিদর্শন করার চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে আমি আপনাদের সাথে সিলেটের সুন্দর সুন্দর কয়েকটি জায়গা ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করেছি। যাইহোক, আমরা সেদিন দিনের বেলা সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর আমাদের হোটেলের মধ্যে চলে আসি। হোটেলের মধ্যে চলে এসে আমার খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফ্রেশ হয়ে যাই। এরপর ভাবলাম যে হযরত শাহজালাল মাজার ভ্রমন করতে যাবো। আমাদের হোটেল থেকে শাহজালাল মাজার দেখা যায়। আসলে শাহজালাল মাজারের আশেপাশের পুরো জায়গা টি ছিল আবাসিক হোটেল এলাকা।এই জায়গার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। যারা সিলেট ভ্রমণ করতে আসে তারা প্রত্যেকেই এই সব হোটেলের মধ্যে উঠে।
আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম শাহজালাল মাজার যাওয়ার জন্য। যখন আমরা হোটেলের বাইরে বের হয়ে পড়লাম, তখন দেখতে পারলাম এই জায়গাটা টি দেখতে একদম উন্নত দেশের মতোই। আসলে বাংলাদেশের অন্যান্য সব জেলার থেকে সিলেট জেলার সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর এবং উন্নত। বিশেষ করে রাতের বেলা সিলেট শহরের সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। আমাদের হোটেল থেকে শাহজালাল মাজারের দুরুত্ব ছিল খুবই অল্প। আমরা সকলেই হেটে হেটে যাচ্ছিলাম শাহজালাল মাজারে। রাতের বেলা মাজার রোডের সামনে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড় জমে যায়। আমরা সকল ধরনের ভীড় উপেক্ষা করে মাজারের ভিতরে প্রবেশ করি।
মাজারের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম মাজারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড়। আসলে যারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে চলে আসেন, তারা রাতের বেলা সকলেই হযরত শাহজালাল মাজারের মধ্যে ঘুরতে আসে। সেজন্য রাতের বেলা শাহজালাল মাজারের মধ্যে একটু বেশি ভীড় জমে যায় । যাইহোক, আমরা ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখতে পারলাম একপাশে একটি বিড়াল বড় ঘর।আর এই ঘরের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির কবিতর।আর এই কবিতর গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। আমরা সকলেই মিলে ঘরের সামনে গিয়ে কবুতর গুলোর সাথে অনেক মজা করছিলাম।পুরো ঘরের মধ্যে অনেক ধরনের কবুতর ছিল। আসলে আমি এর আগে এতো বেশি কবুতর এক সাথে দেখিনি।
এরপর আমরা চলে গেলাম হযরত শাহজালাল মাজারের মধ্যে। মাজারের মধ্যে গিয়ে দেখলাম পারলাম বেশ কয়েকজন পাহারাদার মানুষ তার মাজার পাহারা দিচ্ছেন। আমরা সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম। আসলে মাজারের মধ্যে ছবি তোলা নিষেধ ছিল, তাই আমরা ছবি তুলতে পারিনি। যাইহোক, আমরা চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম। চারদিকে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আবার অনেকেই মাজারের মধ্যে মান্নত করছিল। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে ঘোরাফেরা করে আবার চলে আসি হোটেলের মধ্যে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Riyadx2P/status/1892600313598595205?t=hSaXTHPGR_nOYvzHinOPnw&s=19
আসলে আমি যখন বাংলাদেশ ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এই মাজারে গিয়েছিলাম। এই মাজারের পরিবেশটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এছাড়াও এই মাজারে এসে কিছু সময় কাটানোর পর আমার বেশ ভালো লাগছিল। আর আপনার এই মাজারের কাটানো সময় গুলো পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো।
আপনি আজকে আপনার ঘুরাঘুরি করার আরো একটা সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এরকম ভাবে ঘুরাঘুরি করলে অনেক ভালো লাগে। হযরত শাহজালাল মাজার ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এই মুহূর্তটা কিন্তু অনেক বেশি দারুন ছিল। ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।