সিলেট ভ্রমণ: রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (পর্ব পাঁচ)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ২৫ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় দর্শনীয় স্থান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।এটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।এটি সিলেট শহর থেকে অল্প কিছু দূরে অবস্থিত। তবে, সিলেট শহর হতে খুব সহজেই এই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে ঘুরতে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মিঠা পানির জলাবন রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।এটি আয়তনে অনেক বড়।আর এই বনের মধ্যে প্রায় সকল ধরনের পশু প্রাণি রয়েছে। তবে, বিশেষ করে এই বনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাখি গুলো একটু বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ধরনের পশু প্রাণি রয়েছে। যেগুলো সারাবছর ধরে এই বনের মধ্যে বসবাস করে থাকে।
আমরা সিলেট মাজার রোড থেকে একটি লেগুনা ভাড়া করে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে গিয়েছিলাম। সিলেট শহর হতে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যাওয়ার ভাঁড়া খুবই অল্প। তবে, ভাড়া ঠিক করার সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে ভাড়া ঠিক করতে হবে। কেননা, প্রতিটি লেগুনা ওয়ালা এবং সিএনজি ওয়ালা প্রথম অবস্থায় অনেক বেশি ভাড়া চেয়ে বসে। তাই একটু সতর্কতার সাথে ভাড়া ঠিক করতে হবে। যাইহোক,আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে চলে গেলাম সিলেটের বিখ্যাত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম একটি টিকেট কাউন্টার রয়েছে। সেখানে থেকে আমাদের কে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
এখানে প্রতিটি নৌকার পুরো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার জন্য ভাড়া হচ্ছে সাতশত টাকা করে।আর প্রতিটি নৌকার মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে উঠতে পারবে।আর আমরা যেহেতু ছয়জন ছিলাম, তাই আমাদের কে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়েছিল। আমরা একটি বড় নৌকা নিয়েছিলাম।আর সে নৌকার মোট ভাড়া ছিল একহাজার টাকা। শুধু মাত্র একজন বেশি থাকায় আমাদের একটু বেশি খরচ হয়েছিল। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ পরে নৌকার মধ্যে উঠে পড়লাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে নৌকার মাঝি চলে আসে। এরপর আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে প্রবেশ করলাম। নৌকার মাঝির ব্যবহার খুবই সুন্দর ছিল।
নৌকার মাঝি আমাদের কে খুবই সুন্দর সুন্দর শুনাচ্ছিলেন। আমরা তার কন্ঠে গাওয়া গান গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। এছাড়া আমরা নিজেরাও তার সাথে গান গাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। বেশ দারুন মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। যাইহোক, আমরা যেহেতু সকলেই সমবয়সী ছিলাম সেখানে, তাই আমরা সকলেই সমান ভাবে মজা করতে পারছিলাম। আমাদের টিমের প্রতিটি ছেলে বিভিন্ন ভাবে মজা দেয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা যেহেতু শীতকালে এই ফরেস্টের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম, তাই তেমন একটা পানি ছিল না এই বনের মধ্যে। তবে, যা পানি ছিল তাতে নৌকা গুলো খুব সুন্দর ভাবে চলছিল। তবে, গোসল করার মতো পানি ছিল না এই ফরেস্টের মধ্যে।
তবে, যা পানি ছিল তার সব ই ছিল নোংরা পানি। তবু ও আমি হাত দিয়ে পানি গুলো ধরার চেষ্টা করছিলাম। বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে হাত নিয়ে পানি গুলো ধরতে। তবে, আমার ইচ্ছা আছে যে, সামনের বছর বর্ষা মৌসুমে এই জায়গার মধ্যে আবার ঘুরতে যাবো। এবছর শীতকালে গিয়ে সিলেটের তেমন একটা সৌন্দর্য দেখার সুযোগ হয়নি। আবার বর্ষার মৌসুমে এই জায়গার মধ্যে ঘোরাঘুরি করে সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করবো। আপনারা যারা সিলেটের মধ্যে ঘুরতে আসতে চান, তারা অবশ্যই বর্ষা মৌসুমে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে আসবেন। তাহলে আপনারা খুবই সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Riyadx2P/status/1871766674959155287?t=BXrFG1n-DlEU3ahEtcQSSw&s=19
আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে সত্যি বেশ ভালো লাগলো। আসলে রাতারগুল জায়গাটি দেখতে বেশ সুন্দর। আমিও গত বছর সিলেট ঘুরতে গিয়েছিলাম। নৌকায় চড়ে খালের মধ্য দিয়ে যখন রাতারগুল যেতে হয় সেই অনুভূতিটা সত্যি বেশ দারুন। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সবার ভ্রমণ পোস্ট গুলো দেখি। খুবই সুন্দর একটি জায়গা সিলেট। তবে ভ্রমণের ইচ্ছে ছিল কিন্তু এই বছর অসুস্থতার কারণে যেতে পারলাম না। আপনি তো খুব সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করলেন। ফটোগ্রাফির সাথে আপনার সুন্দর বর্ণানা পড়ে ভালো লাগলো।