সিলেট ভ্রমণ: ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের পথে (অষ্টম পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১৬ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আমরা যেহেতু তিন দিনের জন্য সিলেট ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম, তাই আমাদের প্রথম দিন সিলেটের বিখ্যাত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এবং ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে যাওয়ার একটি টার্গেট ছিল। যাইহোক, আমরা আমাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রথম দিন সকাল বেলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এবং ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্যেশে রওনা দেই। প্রথমে আমরা ঠিক মতো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছিলাম। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার বেশ কিছু পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, আপনারা হয়তো সকলেই তা দেখেছিলেন। যাইহোক, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এবং ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর একই রাস্তায় হ ওয়ায় আমরা একদিনে দুটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করার জন্য বেছে নিয়েছিলাম।
আমরা যখন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের মধ্যে চলে আসি, তখন আমাদের অনেক টা ক্ষুধা লেগে যায়। তখন আমরা সাদা পাথরের একটি বিখ্যাত হোটেলের মধ্যে সকলেই মিলে একত্রিত হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। তখন বিকাল দুই টা বেজে গিয়েছিল। যাইহোক, এরপর আমরা সাদা পাথরের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য নদীর মধ্যে নেমে পড়লাম। আসলে এই নদীটির নাম হচ্ছে ধলাই নদ ।এই নদী টি মেঘালয়ের পাহাড়ি ঝর্ণা গুলো থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আমাদের কে সাদা পাথর যাওয়ার জন্য যে কোন ধরনের নৌকায় করে যেতে হবে।তাই আমরা আমাদের গ্ৰুপের সকলেই মিলে একত্রিত হয়ে একটি নৌকার টিকিট কেটে নিলাম।
নৌকার টিকিট গুলো ক্রয় করার জন্য টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। একবার টিকেট কেটে রাখলে যাওয়া এবং আসা হয়ে যাবে।তাই আমরা একটি নৌকার টিকিট কেটে নিলাম। টিকিট কাটা শেষে আমরা আমাদের নৌকার মধ্যে উঠে পড়লাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে নৌকায় একজন মাঝি চলে আসে। আসলে এই নৌকা গুলো ছিল মেশিন চালিত নৌকা।মাঝি নৌকার মেশিন টি স্টার্ট করে সাদা পাথরের উদ্যেশে রওনা দেয়।নৌকা ঘাটি থেকে সাদা পাথরের দুরুত্ব খুব একটা বেশি ছিল না। তবে, নদী হ ওয়ার কারণে আমাদের কে নৌকায় করে যেতে হয়েছিল।
নদী টি বেশ বড় আকারের ছিল। নদীর পানি গুলো একদম চকচকে ছিল। নদীর পানি গুলো হাত দিয়ে তুলে খাওয়ার মতোই উপযোগী ছিল। নৌকা চলা অবস্থায় আমি নদী থেকে পানি নিয়ে অনেক মজা করেছিলাম।আর এরকম নদীর মধ্য থেকে মেঘালয়ের পাহাড় গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আর এই পাহাড় গুলো আসার সময় অনেক দুর থেকে দেখেছিলাম। আসলে জীবনে সামনাসামনি কখনো এর আগে এতো বড় বড় পাহাড় দেখা হয়নি।তাই সেদিন এই পাহাড় গুলো সামনাসামনি দেখে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আগে মানুষের কাছে থেকে শুনেছিলাম, সিলেটের সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর। কিন্তু নিজের চোখে সিলেটের সৌন্দর্য দেখে মনে হয়েছে আরো বেশি সুন্দর।
আসলে আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় জেলা, সিলেটের সৌন্দর্য কখনো লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। যাইহোক, আমরা নৌকার মধ্য থেকে মেঘালয়ের পাহাড় গুলোর সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করছিলাম। পাহাড় গুলো যে, এতো বেশি সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে তা আসলে লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। আপনারা যারা ইতোমধ্যে সিলেটের সাদা পাথরের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাননি, তারা অবশ্যই ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আসলে এরকম সৌন্দর্যের মাঝে ঘোরাঘুরি করলে মন মস্তিস্ক একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে নদীর ওপারে চলে আসি। আমরা এখানে সকলেই নেমে পড়ি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি অনেক সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণ করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই স্থান ভ্রমণ করতে দেখে। আপনার জন্য অনেক অচেনা জায়গা দেখতে পারলাম। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট করে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
সিলেটের এই চমৎকার স্থানটার নাম শুনেছি অনেকবার। তবে এখনো যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি আমার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চলতি পথের ফটো ধারণ করেছেন। ভ্রমণ পথের এই চিত্রগুলো দেখার পাশাপাশি আপনার লেখা পড়ে অনেক জানার সুযোগ হলো। আশা করব আরো অনেক সুন্দর কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়ে যাবেন।
আসলে সিলেটের প্রতিটি জায়গা অনেক বেশি সুন্দর।