আলুর ফলন চোখ জুড়ানোর মতে হলেও এবছর আলু চাষীরা হতাশাগ্রস্থ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ২৪ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে একদম কোন রোদ নেই। শুধু মাত্র কুয়াশা পড়ছে।আর এই কুয়াশার সাথে সাথে হালকা পরিসরে ঠান্ডা বাতাস ও বয়ছিল।সব কিছু মিলিয়ে একদম খারাপ সময় যাচ্ছে কিছু দিন ধরে। মানুষ মাঠের মধ্যে গিয়ে খুব একটা কাজ করতে পারছেন না। সকল কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে এক বিড়ম্বনার মধ্যে।এর আগে ও শীত পড়ছিল, কিন্তু ঠান্ডার পরিমাণ এতো বেশি ছিল না। কিন্তু এবার ঠান্ডার পরিমাণ অনেক টা বেশি।আর মাঘ মাসে একটু ঠান্ডা হবেই।এটা আসলেই একটি স্বাভাবিক বিষয়। যাইহোক, তবুও অনেক কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা মাঠের মধ্যে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন। কেননা এই শীতের মধ্যে আমাদের দেশের আলু ক্ষেত গুলোর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যেমন আলুর গোড় পচা রোগ, আলুর পাতা পচন রোগ ও এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করে আলু ক্ষেতের মধ্যে। শীতের চাপ বেড়ে গেলেই এসব ধরনের রোগ আক্রমণ করে থাকে। যাইহোক, গত দুই দিন ধরে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ছে, তাই আমি আমাদের আলু ক্ষেত গুলো দেখার জন্য চলে যাই আমাদের আলু ক্ষেত গুলোর মধ্যে। আমাদের আলু ক্ষেত গুলো আমাদের বাড়ি থেকে কিছু টা দুরে।তাই আমি হেঁটে হেঁটে চলে যাই আমাদের আলু ক্ষেত গুলো দেখার জন্য। আমাদের মাঠের মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে দেখতে পারলাম, বেশিরভাগ মানুষের আলু ক্ষেতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করছে।
অনেকেই তাদের আলু ক্ষেত গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছে। কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আলুর বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। আমরা ও গতকাল আমাদের আলু ক্ষেত গুলোর মধ্যে কীটনাশক স্প্রে করেছি। তবে, আমি গতকাল স্প্রে করার সময় আমাদের আলু ক্ষেতের মধ্যে ছিলাম না।তাই আজকে আমাকে আলু ক্ষেতে যাওয়া হয়েছিল। এই বছর আমাদের আলু ক্ষেতের মধ্যে তেমন একটা পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই। এবছর আমরা একদম শুরু থেকেই আলু ক্ষেতের মধ্যে কীটনাশক ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।
আসলে এবছর আমাদের এই আলু ক্ষেত গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তবে, আমরা এই সব আলু ক্ষেত থেকে কত টুকু লাভবান কিংবা লসের সম্মুখীন হবো, তা আসলে আমার জানা নেই। তবে, এই বছর লসের ভাগ একটু বেশি রয়েছে। কেননা, অন্যান্য সব বছরের তুলনায় এবছর আলুর দাম অনেক বেশি কম।গত বছর এই সময়ে আলুর দাম ছিল প্রায় বিশ টাকার উপরে। কিন্তু সেই অনুপাতে এই বছর সেই আলুর দাম আট থেকে দশ টাকা মাত্র।এ দিক দিয়ে হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, এবছর আমাদের দেশের আলু চাষীরা অনেক লসের সম্মুখীন হবে। অনেক আলু চাষী ইতিমধ্যেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
আমরা তবুও আশা করছি কিছু পরিমাণ লাভ করতে পারবো। তবে, ইতোমধ্যে আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন কৃষক আলু বিক্রি করে দেখতে পারেন, তার আলু চাষে অনেক টা লস হয়ে গিয়েছে। আমরা যদি হিসাব করি, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের প্রতি কেজি আলুর দাম ১৫ টাকা করে খরচ পড়ে গিয়েছে।আর সে জায়গায় এ বছর দশ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।এটা আসলেই খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। তবে, আলুর দাম যদি বিশ কিংবা তার বেশি হয়, তাহলে আমাদের আলু চাষীরা কিছু টা লাভবান হতে পারবেন। তবে, আশা সামনের দিকে কৃষকেরা অন্যান্য সব ফসল চাষে , আলু চাষের লস গুলো রিকভারি করতে পারবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
আমি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় বাস করি বলে আলু ক্ষেত সম্বন্ধে ধারণা আছে। হুগলি জেলা আলুর জন্য বিখ্যাত। তাই সেখানে চোখের সামনে থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং তাদের ব্যবসায়ের পদ্ধতিগুলো দেখি। আপনি দারুণ সুন্দর করে কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি ফুটিয়ে তুললেন। আসলে খেতে যতই ফসল হোক কৃষকদের দুরবস্থা যেন শেষই হয় না। আমাদের মত দেশগুলিতে কৃষকদের এই সমস্যা এক দীর্ঘমেয়াদি জায়গায় পৌঁছে গেছে।
চাষ করলেই যে সব সময় লাভবান হয় চাষিরা তা কিন্তু নয়। দেখতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই হয় প্রাকৃতিক সমস্যা নয় কোনো না কোনো কারণে লোকসান হয়েই থাকে তবে আমি মন থেকে চাইবো আপনি আলু চাষ করে লাভবান হন কারণ একটা চাষাবাদ করতে অনেক পরিশ্রম লাগে শুধু যে টাকা খরচ হয় তা তো নয় দৈনন্দিন পরিশ্রম কম নয়। শীত বাড়লে রোদের তাপ কম থাকলে অনেক সমস্যা হয় চাষের ক্ষেত্রে এটা আমিও দেখেছি আমার যেহেতু গ্রামে বাড়ি এইগুলো সম্পর্কে আমি বেশ পরিচিত।
আমি মনে করি অতিরিক্ত মাত্রায় কোন কিছু ভালো নয়। আমাদের দেশের কৃষকেরা যখন দেখে কোন কিছুর দাম বেড়ে গেছে তখন অতিমাত্রায় সেটা আবাদ করে। এরপর বেশ লসে পড়ে যায়। এমনই হয়েছে ফুলকপি আলু সহ বিভিন্ন সবজির অবস্থা।
সবকিছুর যত্ন নিতে হয় এবং পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে হয়। প্রায় সব সময় শোনা যায় আলু ক্ষেতের মধ্যে গোড়া পচা রোগ ধরেছে পোকা ধরেছে এমন অবস্থা। তবে যারা আগে থেকে পরিচর্যা করেন তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয় না। মাশাল্লাহ আপনাদের আলু ক্ষেত দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। পুরো খেতের মধ্যে যেন এক সৌন্দর্য বিরাজ করছে।
আসলে সবকিছুর ফলন ভালো হলেও কিছু কিছু অসৎ ব্যক্তিদের জন্য চাষিরা আজ এতটা কষ্টে আছে। কেননা তারা চাষীদের কাছ থেকে এইসব আলু কম দামে কিনে নিয়ে তারা কিন্তু ঠিকই বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। আর চাষীদের সাথে যদি সরাসরি ক্রেতাদের কেনা বেচার কোন মাধ্যম থাকে তাহলে কিন্তু তারা অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে।
বর্তমান দেশে আলুর চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বিভিন্ন সময় কৃষক ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তবে আলু চাষে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির দিক লক্ষ রাখতে হয়। আগাম ফসলে কিছুটা দাম পাওয়া যায়। এই বছর ফুলকপি ও আলুর ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আলু চাষীরা হতাশাগ্রস্থ দেখে খুবই খারাপ লাগলো ভাই।
এ বছরে অতিরিক্ত দামে আলুর বীজ ক্রয় থেকে শুরু করে আলু চাষে অনেক বেশি টাকা খরচ করেছে আমাদের দেশের চাষীরা। কিন্তু সেই অনুসারে এ বছর আলুর দাম একেবারেই কম। আর আলুর দাম এরকম কম হওয়ার কারণ আমার মতে, হয়তো অধিক উৎপাদন হয়ে গেছে আলু এবং অনেক বেশি পরিমাণে আলু চাষ করা হয়েছে। যাহোক এরকম লোকসান আমাদের দেশের চাষীরা কিভাবে কাটিয়ে উঠবে সেটা আমার জানা নেই। যাহোক বর্তমান সময়ে কৃষকদের আলু চাষ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লেখা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।