হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা ও প্রদর্শনী - ২০২৪(শেষ পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২২ ই আগষ্ট ২০২৪ ইং
আপনারা যারা নিয়মিত আমার ব্লগ গুলো দেখেন, তারা হয়তো ইতোমধ্যে সকলেই অবগত আছেন যে, আমাদের মিঠাপুকুর উপজেলা হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত।আর আমাদের এলাকার মানুষদেরা এই হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করার মাধ্যমে অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছে। এটা আমাদের এলাকার প্রতিটি আম চাষী কৃষকের একটি ছোট সফলতা।আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা ও প্রদর্শনী - ২০২৪ দুটি পর্ব শেয়ার করেছি। আপনারা হয়তো সকলেই আমার বিগত শেয়ার করা পর্ব গুলো ভালো ভাবে পড়েছেন। আশা করছি আপনারা আজকের শেষের পর্ব টি ও পড়ার চেষ্টা করবেন।আমি আমি পর্বের মাধ্যমে হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা ও প্রদর্শনী - ২০২৪ এর আয়োজনের বেশ কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা প্রদর্শনীতে শুধু মাত্র হাঁড়িভাঙ্গা আম কেই প্রদর্শন করা হয় নি। এই প্রদর্শনীর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গা আম ব্যতীত আরো বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রযুক্তি ও ফসল প্রদর্শন করা হয়েছিল। আপনারা উপরের চিত্রের মাধ্যমে যে চিত্র টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত একটি ডাগ ওয়েল পদ্ধতি।এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন ধরনের জমিতে সেচ দেয়া যায়। বিশেষ করে পাহাড়ী এলাকায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন ধরনের ফসল ক্ষেতে সেচ দেয়া যায়।আর এই পদ্ধতিতে যে কোন ধরনের ফসল ক্ষেতের মধ্যে সেচ দিলে ফসল ক্ষেতের অনেক উপকার হয়।আর এই সেচের মাধ্যমে পরিমাণ মতো পানি দেয়া যায়। কিন্তু অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করে জমিতে সেচ দিলে, কোন কোন সময় পানির পরিমাণ একটূ বেশি হয়ে যায়, এতে করে ফসল ক্ষেতের ক্ষতি হতে পারে।
আপনারা হয়তো জানেন, বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় কয়েক প্রজাতির বড়ই রয়েছে। আমি সেদিন হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা ও প্রদর্শনী - ২০২৪ এর প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখতে পারলাম নতুন এক প্রজাতির বড়ই।আর এই বড় ই টি শুকনো ছিল। সেদিন এই প্রদর্শনীর মধ্যে প্রায় কয়েকশত প্রজাতির ফলের প্রদর্শন করেছিল। আমার কাছে কিছু কিছু ফল পরিচিত মনে হয়েছিল, আবার কিছু কিছু ফল অপরিচিত মনে হয়েছিল। তবে, প্রতিটি ফলের সাথে একটি পেপারের মাধ্যমে সেই ফলের বিস্তারিত তথ্য লিখে দেয়া হয়েছিল। এজন্য অপরিচিত ফল গুলোর সাথে ও পরিচিত হতে তেমন একটা সমস্যা হচ্ছিল না। আমি সেদিন বেশ কয়েকটি অপরিচিত ফলের সাথে পরিচিত হতে পারছিলাম।
আর শুধু মাত্র এই প্রদর্শনীর মধ্যে ফল প্রদর্শন করা হয়নি। ফলের পাশাপাশি প্রতিটি ফলের জন্মগত ইতিহাসের বই পুস্তক বিভিন্ন ভাবে প্রদর্শন করা হয়েছিল সেদিন।আমি সেদিন হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্মগত ইতিহাস পড়ে দেখলাম, এই হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্ম আমাদের এলাকার একদম পাশেই।আর এই হাঁড়িভাঙ্গা আমের শুরু টা খুব একটা বেশি সময়ের নয়।আমি এর ইতিহাস পড়ে জানতে পারলাম, এই হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্ম প্রায় সতের থেকে বিশ বছর হবে। সময় টা অল্প হলেও, এই অল্প সময়ের মধ্যে এই হাঁড়িভাঙ্গা আম অনেক টা খ্যাতি অর্জন করেছে।আর এর পুরো সম্ভব করেছেন আমাদের এলাকার কৃষক ভাইয়েরা। আশা করছি আমরা ভবিষ্যতে এই হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষের মাধ্যমে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো।
আর আমাদের এলাকায় শুধু হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করা হয় , এমনটা নয়। আমাদের এলাকায় হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করা বাদেও আরো বিভিন্ন ধরনের আম চাষ করা হয়।আর আমি সেদিন প্রদর্শনীর মধ্যে বেশ কিছু পরিচিত ও অপরিচিত আম দেখতে পারছিলাম।আর আমার কাছে সব থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আম টি সেরা মনে হয়েছিল। বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আমের সাইজ ও কালার সব আমের থেকে একটু বেশি সুন্দর। আর আমাদের এলাকার পাঁচ ভাগের চার ভাগ জমির মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করা হয়।আর অন্যান্য আমের তুলনায় হাঁড়িভাঙ্গা আমের ফলন একটু বেশি। বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করে কৃষকরা একটু বেশি লাভবান হন। আশা করছি সামনের দিকে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে উঠবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি অনেক দিন ধরে এই আমের মেলা সুন্দর কিছু ব্লগ শেয়ার করে চলেছেন আমাদের মাঝে। আমি এর আগেও ফলো করেছি আপনার পোস্টগুলো। আজকে হাড়িভাঙ্গা আমের শেষ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বেশি খুবই ভালো লাগলো।
বাহ দারুন একটা বিষয় জানতে পারলাম। হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলা ও প্রদর্শনীর বিভিন্ন ফটোগ্রাফিও দেখলাম। আসলে আপনাদের দিকে বিভিন্ন আম বাগান আছে তো, তাই এত সুন্দর বিষয় গুলো উপভোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।