সিলেট ভ্রমণ: সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১৫ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
আমি আপনাদের সাথে ইতোমধ্যে সিলেট ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছি। আপনারা চাইলে লিংকে ক্লিক করে সিলেট ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব টি দেখে আসতে পারেন। যাইহোক, আমি তৃতীয় পর্বের মধ্যে সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার গল্প শেয়ার করছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান থেকে চা কেনাকাটা এবং চা বাগানের উচু উচু পাহাড় গুলোর মধ্যে উঠার অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। সিলেটের প্রতিটি চা বাগানের মধ্যে রয়েছে বড় বড় ধরনের পাহাড়।আর এই পাহাড়ের বুকে দিয়ে রয়েছে চা বাগান। আসলে এমন দৃশ্য দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যারা ইতোমধ্যে সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত এই চা বাগানের মধ্যে ঘুরতে যাননি, তারা অবশ্যই ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমার জীবনের প্রথম আমি সিলেটের মধ্যে এতো বড় চা বাগান দেখেছি। তবে, আমি এর আগে আঙ্গরপোতা দহগ্রামে একটি চা বাগান দেখেছিলাম, সেই চা বাগান টি ছিল খুবই ছোট।এক থেকে দেড় বিঘা জমি হবে। আমি ছোট বেলা থেকেই পাঠ্য বইয়ের মধ্যে এবং মানুষের মুখে শুনেছিলাম যে, সিলেটের চা খুবই বিখ্যাত এবং সেখানকার চা বাগান গুলো বিশাল বড় বড়। কিন্তু এবছর নিজের চোখে সিলেটের চা বাগান গুলো দেখে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আসলে চা বাগান এতো বড় হয়, তা আসলে সিলেটের চা বাগানের মধ্যে ঘুরতে না আসলে জানতাম না। সিলেটের সৌন্দর্য ও অনেক বেশি সুন্দর। আপনারা হয়তো অনেকেই সিলেটের সৌন্দর্য সম্পর্কে অবগত আছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে সিলেট অনেক টা এগিয়ে রয়েছে অন্যান্য সব জেলার থেকে।
যেহেতু আমরা এই চা বাগানের মধ্যে একজন গাইডলাইন প্রণয়ন লোক নিয়ে প্রবেশ করছিলাম।তাই, সেই লোক আমাদের কে এই চা বাগানের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত জায়গার মধ্যে ঘোরাঘুরি করে।আর বিশেষ করে আমরা বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মধ্যে উঠানামা করেছিলাম।আর এই পাহাড় গুলোর মধ্যে উঠানামা করতে করতে আমাদের টিমের অনেকের শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।তাই আমরা ভাবলাম যে নিচের সমতল জায়গায় ঘোরাঘুরি করবো।সমতল জায়গার মধ্যে ঘোরাঘুরি করা অবস্থায় এক জায়গায় গিয়ে দেখতে পারলাম একটি চায়ের দোকান। সেখানে তারা মূলত প্যাকেট চা বিক্রি করছেন। সেখানে আমরা বেশ কয়েক প্রকার চা দেখলাম। দোকান ওয়ালা প্রতিটি চায়ের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।
এরপর চায়ের দোকান ওয়ালার কাছে থেকে একটি চায়ের প্যাকেট খুলে চা তৈরি করতে বললাম, সে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের কে চা তৈরি করে দেন। আমরা আমাদের টিমের সকলেই মিলে এক কাপ করে চা টেস্ট করে দেখলাম।চা গুলো খেতে আমাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এরপর আমরা সকলেই মিলে একটি করে চায়ের প্যাকেট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা চায়ের দোকানদার এর কাছে থেকে দাম ঠিক করে সকলেই একটি করে চায়ের প্যাকেট কিনে নিলাম। যেহেতু আমরা চায়ের দেশের মধ্যে ঘুরতে এসেছি, তাই যদি আমরা চা নিয়ে বাসায় পৌঁছাতে না পারি তাহলে চায়ের দেশে ঘুরতে আসা একদম বেকার হয়ে যাবে।তাই আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে কম টাকায় চা কিনে নিয়েছিলাম। চায়ের দোকানদারের ব্যবহার অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
চা কেনাকাটা শেষ করে আমরা আবার বেশ কিছুক্ষণ সময় রেস্ট করে আমরা চা বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা শুরু করলাম। এই চা বাগানের মধ্যে প্রতিনিয়ত আমাদের মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসেন। সিলেটের প্রতিটি স্থানীয় মানুষ পর্যটকদের সাথে খুবই সুন্দর ও সাবলীল ব্যবহার করে থাকেন। তাদের এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।আমি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছি, তার মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সিলেটের মানুষের ব্যবহার। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় চা বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে চা বাগান থেকে বের হয়ে পড়ি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
x promotion
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান ভ্রমণ শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পোস্ট পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমিও বেশ কিছুদিন আগে সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম জায়গা গুলো সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন ছিল। এত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আমরা চা বাগানের কথা শুধুমাত্র বইয়ে পড়েছি। তবে আপনি সামনাসামনি দেখে ফেলেছেন। খুবই ইচ্ছা আছে চা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার।আপনাদের চা দেখে বেশ লোভ লেগে গেল। চা বাগানে এমন মুহূর্ত কাটানোর সত্যিই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ চা বাগানের ভ্রমণের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
চা বাগানে ঘুরতে যেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আসলে আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ, তাই উত্তরবঙ্গে চা বাগান যেতে ভালো তো লাগেই। আপনি সিলেটের চা বাগানে দারুন সুন্দর কিছুটা সময় কাটিয়েছেন। চা বাগানের বৈশিষ্ট্যই হল ঢালু জমি। তাই পাহাড়ে চা চাষ খুব সুন্দর হয়। সিলেট খুব সুন্দর জায়গা বলেই শুনেছি। আপনার ভ্রমণ পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সিলেট ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো দেখছি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করছেন। আর এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোষ্ট দেখে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।