জেনারেল রাইটিং: ভালোবাসা মানে না কোন বাঁধা (দ্বিতীয় পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ২৮ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
মেয়ের বাবার পরিবারের মানুষেরা ছেলের বাসা থেকে জোর করে নিয়ে যায়। কিন্তু মেয়েটি বাসায় যাওয়ার জন্য মোটেও রাজি ছিলেন। মেয়েটি ছেলেটিকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। আসলে আমি এর আগে এরকম কাহিনী কখনো দেখিনি। কেননা বেশিরভাগ সময়ই ছেলেরা মেয়েদের প্রতি একটু বেশি আকৃষ্ট থাকে।আর সেই জায়গা থেকে একজন মেয়ে হয়ে ছেলের প্রতি এতো এতো আকৃষ্টতা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যাইহোক, তবুও মেয়েটি কে জোর করে বাসায় নিয়ে যায় এবং বেশ কয়েক দিন মেয়ের পরিবার মেয়েটি কে ঘর বন্দি করে রাখে। এরকম ভাবে কয়েক মাস মেয়েটির কাটে ঘরেই মধ্যেই।
মেয়েটি কয়েক মাস বাইরের কোথাও বের হতে পারেননি। একটি ঘরের মধ্যে সকল ধরনের খাওয়া দাওয়া সহ যাবতীয় কাজ। বেশ কিছু দিন পর মেয়ের বাবা চলে যায় তার কর্মক্ষেত্রে। যেহেতু সে একজন চাকরিজীবী মানুষ, তাই তাকে চাকরির মধ্যে জয়েন করতে হবে, এটা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। মেয়ের বাবা যখন চাকরির মধ্যে জয়েন করেন, তখন মেয়েটি কে মেয়ের মা এবং মেয়ের দাদি সব সময় চোখে চোখে রাখতেন।একা একা কোথাও যেতে দেন না।সব সময় তার সাথে তার মা এবং দাদি লেগেই থাকত। যাইহোক, এভাবে আস্তে আস্তে করে সে আবার তার মোবাইল টি তার মায়ের কাছে থেকে নেয়।
মেয়েটি মোবাইল হাতে পাওয়ার পর আবার সেই ছেলেটির সাথে যোগাযোগ শুরু করে দেয়। আসলে সত্যিকারের ভালবাসা বাধা দিয়ে কখনো আটকানো যায় না। যাইহোক, এক পর্যায়ে তারা আবার এক সাথে সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে শুরু করে একদম আগের মতোই। মেয়েটি সব সময় ছেলেটির সব ধরনের খরচ করতেন। কেননা মেয়েটির ছিল প্রচুর পরিমাণে টাকা।আর অপরদিকে ছেলেটির খুব একটা বেশি টাকা পয়সা ছিল না। আসলে ভালোবাসা কখনো টাকা দিয়ে হয় না। যাইহোক, একদা মেয়ের মা মেয়ে কে এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যায়। মেয়ের বাসায় মেয়ে টি এবং মেয়ের দাদি ছিলেন।
রাতের বেলা যখন মেয়েটির দাদি ঘুমিয়ে পড়েন, তখন মেয়েটি তাদের বাড়ির প্রাচীরের উপর দিয়ে পার হয়ে ছেলের বাসায় চলে আসে। মেয়ের বাসা থেকে ছেলের বাসার দুরুত্ব ছিল খুবই অল্প পরিমাণ। বেশ কয়েকটি বাড়ি ফাঁক।এটা ছিল তার তৃতীয় বারের মতো পলায়ন। রাতের বেলা তাদের পলায়নের খবর টি তেমন একটা মানুষ জানতেন না। কিন্তু সকাল বেলা আমাদের এলাকার প্রতিটি মানুষ জেনে যায় বিষয় টি।ছেলের বাবা মা মেয়েটি কে প্রতিবার বাসায় জায়গা দিয়েছিলেন। যাইহোক, অল্প কিছু সময়ের মধ্যে মেয়ের বাবা বিষয় টি জেনে যায়। মেয়ের বাবা আমাদের উপজেলা থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ছেলেটির বাসায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য চলে আসে। যখন পুলিশ গুলো মেয়েটি কে নেয়ার জন্য বাসায় প্রবেশ করে তখন ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই একটি রুমের মধ্যে দরজা লাগিয়ে বসে থাকেন। পুলিশ সদস্য গুলো তাদের সাথে জানালা দিয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু তারা দরজা খুলতে আগ্ৰহী ছিলেন না। পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে তাদের কে রুম থেকে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের কোন চেষ্টাই সফল হয়নি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ছেলেটির বাসায় অনেক মানুষের ভীড় জমে যায়। পুলিশ সদস্যরা যখন কোনভাবেই তাদের কে রুম থেকে বের করতে সক্ষম হননি, তখন তারা চলে যেতে বাধ্য হন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও কোনো কিছুর পরোয়া করে না। তারা সব বাঁধা পেরিয়ে একসাথে হবেই। তাইতো মেয়েটিকে তার পরিবার বারবার নিয়ে যাওয়ার পরেও আবারও সেই ছেলের কাছেই ফিরে আসলে। তাদের এমন ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছে এটা সত্যিকারের ভালোবাসা। মেয়ের পরিবারের উচিত ছিল মেনে নেওয়া। তাহলে হয়তো দুই পরিবারের কাউকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। আমার মনে হচ্ছে পুলিশ ও তাদের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন এবং গত সময়েও এর প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম। আজকে এর আরো একটি পর্ব দেখে খুব ভালই লাগছে৷ আসলে ভালোবাসা কোন বাধা মানে না৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়ের পরিবারের ক্ষেত্রে ভালোবাসা গুলো মেনে নিতে চায় না৷ এক্ষেত্রেও ঠিক সেরকম একটি ঘটনা ঘটেছে৷ যদি মেয়ের পরিবার এই ভালোবাসা মেনে নিত তাহলে অনেক ভালো কিছুই হয়ে যেত৷ তবে দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়৷