গ্ৰামীন পরিবেশ ধ্বংসের মুল কারণ জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ০৬ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আজ থেকে ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর আগে আমাদের গ্ৰাম গুলো যেরকম সুন্দর ছিল, কিন্তু আজ আর সেরকম নেই। এখন গ্ৰাম গুলো অনেক টা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন গ্ৰাম এলাকা গুলো থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই বেশি গ্ৰাম এলাকা গুলোর সৌন্দর্য মাটির সাথে মিশিয়ে যাচ্ছে। এটা আসলেই আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।অতীতে আমরা গ্ৰামের মানুষেরা গ্ৰাম কে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর তা পারিনা। কেননা বর্তমান সময়ে গ্ৰামের এলাকার সুন্দর সুন্দর পরিবেশ গুলো এখন আর নেই। সুন্দর সুন্দর পশু পাখি ও প্রাণী গুলো এখন আর গ্ৰামের মধ্যে নেই। এখন সব কিছু প্রায় বিলুপ্তির পথে।
আজ থেকে বিশ থেকে পঁচিশ বছর আগে আমাদের গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে কতরকম সুন্দর সুন্দর পশু পাখিরা বসবাস করতো।আর এই সব পশুপাখিদের জন্য গ্ৰামের সৌন্দর্য উপভোগ করতেন মানুষেরা । বর্তমান সময়ে সে সকল পশু পাখিরা প্রায় বিলুপ্তির পথে।আগে সকাল এবং বিকাল বেলা গ্ৰামের মাঠে ঘাটে কতরকম সুন্দর সুন্দর পাখির দেখা মিলতো, কিন্তু এখন আর তা দেখা যায় না।এই পশু পাখি গুলো বিলুপ্তির মূল কারণ হচ্ছে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার। বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের যে কোন ধরনের ফসলের জমির প্রচুর পরিমাণে কীটনাশকের ব্যবহার করছি। কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ থেকে সুন্দর সুন্দর পশু পাখি গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা কীটনাশকের ব্যবহার কে আরো বেশি বৃদ্ধি করছি। আসলে ক্রমে ক্রমে আমাদের ফসলে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করছে। কিন্তু আমরা আমাদের বাবা দাদাদের কাছে থেকে শুনেছিলাম যে, আগে ফসলের জমিতে এতো পরিমাণ রোগ বালাই ছিল না। কিন্তু এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগ তৈরি হচ্ছে।আর এই সব রোগ বালাই দমন করার জন্য প্রতিটি কৃষক বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন তাদের ফসলের ক্ষেতের মধ্যে।আর কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে যতটুকু সৌন্দর্য রয়েছে, ভবিষ্যতে এতটুকু ও থাকবে না। কেননা, প্রতিবছর কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কীটনাশক ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর আমাদের গ্ৰাম এলাকা গুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পশু এবং পাখিরা মরে যাচ্ছে।এক সময় এই পশু পাখি গুলো ছিল গ্ৰামের একমাত্র সৌন্দর্য। আগেরকার সময়ে আমাদের দেশের মাঠে ঘাটে বিভিন্ন ধরনের পাখির ঝাঁক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর তা নেই।আগে যখন ভোর বেলা হয়ে যেত, তখন বিভিন্ন ধরনের পাখির কিচিরমিচির শব্দে আমাদের গ্ৰামের মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যেত। এখন সকাল বেলা মানুষের শব্দ ব্যতীত অন্য কোন পাখির শব্দ শোনা যায় না।এটা থেকেই খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, আমাদের সুন্দর পরিবেশ ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
এখন আমরা চাইলে ও আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে ফিরিয়ে আনতে পারবো না। আসলে পশু পাখিরা ছিল আমাদের একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ কে ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেছি। আগেরকার সময়ে পশু পাখি গুলো গাছে গাছে বাসা বেঁধে বংশ বিস্তার করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে পাখিদের বাসা বাঁধার মতো তেমন কোন পরিবেশ নেই। আমরা ধীরে ধীরে নিকট থেকে সকল ধরনের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছি। এখন গ্ৰামীন সৌন্দর্য বলতে শুধু মাত্র মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক। শুধু মাত্র বর্তমান গ্ৰামের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক টিকে রয়েছে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিভিন্ন প্রয়োজনে কৃষকেরা ফসলের মাঠে কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকে। কিন্তু সামান্য একটা উপকারের জন্য অনেক বড় অংশের ক্ষতি হয়ে যায় এই বিষয়ে তারা সজাগ থাকে না। এই বিষয়গুলো প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের সজাগ করা প্রয়োজন। কারণ আমাদের পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার করার ফলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। জমির উর্বরতা হ্রাস পায়। যা ফসল উৎপাদন করতে সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেক সুন্দর ভাবে লেখাগুলো উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
দারুন সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন ভাই। অত্যধিক কীটনাশকের ব্যবহার প্রকৃতির ভারসাম্য নাড়িয়ে দিচ্ছে। এর সাথে বিভিন্ন পশু পাখির এবং মানব জীবনের প্রভূত ক্ষতিসম্পাদন হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে অত্যধিক কীটনাশকের ব্যবহার আমাদের বিশাল ক্ষতি করে দিচ্ছে। কিন্তু তবুও এর কোন প্রতিকার নেই। এভাবেই আমরা দিনের পর দিন ক্ষতির শিকার হচ্ছি।
বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার এত সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখে আমার ভাল লেগেছে। ফসলের মাঠে কীটনাশক ব্যবহার করলে ফসলের হয়তো সামান্য লাভ হতে পারে কিন্তু এই কীটনাশকের পরিণতি বেশ ভয়াবহ। এতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কীটনাশক থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে।
অতিরিক্ত ফসলের জন্য না জেনেই আমরা কীটনাশক এর ব্যবহার বৃদ্ধি করছি। আর এর ফলাফল সরাসরি পড়ছে একেবারে পরিবেশের উপর। এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো এখন আমরা বুঝতে পারলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না কীটনাশক এর ব্যবহার। এটা আমাদের পরিবেশের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর।
আগেকার কৃষকেরা বেশি বেশি জৈব সার ব্যবহার করত। যার ফলে ফসল এবং মাটির গুনাগুন বজায় থাকতো। কিন্তু এখন আধুনিকতার যুগে কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে জমির পাশাপাশি জমি সব ফসল আমরা নষ্ট করে ফেলছি।কীটনাশক দিয়ে তৈরি যে কোন জিনিস আমাদের জন্য বিষের সমান। আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।