দিনাজপুর রাজবাড়ী পুরাতন মন্দির ভ্রমণ (১ম পর্ব) (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে দিনাজপুর রাজবাড়ী পুরাতন মন্দিরের কিছু প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
অনেক দিন থেকেই আমরা কয়েকজন বন্ধু দিনাজপুরের রাজবাড়ী পুরাতন মন্দির দেখতে যাওয়ার জন্য আমরা চিন্তা ভাবনা করি। কিন্তু কোন ভাবেই আমাদের সময় নির্ধারণ করা হয় না। একদিন আমরা কয়েকজন বন্ধু একজায়গায় বসে গল্প করতেছি, হটাৎ এক বন্ধু বললো,চলো আমরা কোথাও একদিন ঘুরতে যাবো,তো এক বন্ধু বললো দিনাজপুর রাজবাড়ী পুরাতন মন্দির দেখতে যাবো বললো। আমাদের তো আগে থেকেই সেখানে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে রেখেছি, পরে আমরা সকলেই দিনাজপুর রাজবাড়ী যাওয়ার জন্য মত পোষণ করলাম, এবং সকলে মিলে একটা তারিখ ঠিক করে ফেললাম। দিনটি হচ্ছে শনিবার, আমরা সকলে বের হয়ে দিনাজপুরের রাজবাড়ী পুরাতন মন্দিরে চলে আসলাম।
এই গেটটি হচ্ছে দিনাজপুর রাজবাড়ী পুরাতন মন্দিরে ঢুকার জন্য প্রথম এবং প্রধান গেট।এই গেটটি ও অনেক পুরাতন একটি গেট। গেটটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং উজ্জ্বল। গেটটি দেখার পর আমরা সকল বন্ধুরা সহ ভিতরে ঢুকে পড়লাম। তারপর আমরা রাজবাড়ির দ্বিতীয় স্তরে চলে আসলাম, ভিতরে এসে আমি দেখতে পারলাম যে অনেক গুলো মহিলা মানুষ রুটি বানিয়ে বিক্রি করতেছে, দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো বিষয়টি। বর্তমান খুব একটা বেশি লোকের ভিড় ছিল না, দুই ঈদের দিন এবং বিভিন্ন পূজার সময় প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে, এছাড়াও অন্যান্য দিনেও এখানে প্রচুর ভিড় জমায় মানুষ। দিনাজপুরেল রাজবাড়ির মূল আকর্ষণ হলো এখানে ঢুকতে কোন রকম টাকা পয়সা লাগে না। এটা আমাদের মতো জনগণের জন্য খুবই ভালো একটি দিক। রাজবাড়ীর এই জিনিসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশে যেসব শক্তিশালী রাজ বংশের উদ্ভব হয়েছিল তার মধ্যে দিনাজপুর রাজবাড়ী অন্যতম। দিনাজপুর শহর প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে পূর্বে নিরিবিলি এক গ্ৰাম্য পরিবেশে এই রাজবাড়ী পুরাতন মন্দির অবস্থিত। হিন্দু, মুসলিম ও ইংরেজ এই শ্রেনীর মানুষের চিত্রাপত্তের এই দিনাজপুর রাজবাড়ী, কিন্তু বর্তমানে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই রাজবাড়ীতে বসবাস করতেছেন।
মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকাল শেষে এক নতুন ব্রান্ম বংশের উদ্ভব হয়।এই ব্রান্মচারীর ঠাকুরের নাম ছিল কাশিঠাকুর।এই কাশিঠাকুর ছিলেন এই দিনাজপুর রাজবাড়ীর আদি পুরুষ।মুলুত কাশিঠাকুরের হাতেই এই রাজবাড়ী টি নির্মিত হয়,প্রায় চারশো বছর আগে।বাড়িটির বয়স খুবই দীর্ঘ সময় হওয়ায় বাড়িটি ঢসে পড়ে যাচ্ছে। কাশিঠাকুর মৃত্যু গ্ৰহনের তার ছেলে এই রাজবাড়ী রাজত্ব করেছিলেন, এভাবে কাশিঠাকুরের পরিবার কয়েক যুগ এই রাজবাড়ী রাজত্ব করেছিলেন। অনেক লেখক বলেছেন,এই রাজবাড়ীতে চারশো বছরে প্রায় এগারো জন রাজা শাসন করছিলেন।
এক সময় এই রাজবাড়ী গুলোতে বিভিন্ন বড় ধরনের আচার অনুষ্ঠান, রাজত্ব চললেও এখন তা বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তবে আশা করা যায়,আর কিছু দিন পর এই রাজবাড়ী আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন ইট গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। রাজবাড়ী পুরাতন মন্দিরের কাজ গুলো প্রাচীন কালের শিল্পীদের দিয়ে করানোর জন্য এখনো অনেক সুন্দর রয়েছে। এখনো এই রাজবাড়ী পরিচর্যা করলে অনেক বছর টেকসই দিতে পারে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Category | Visiting |
---|---|
Device | Redmi 10C |
Camera | 48 MP |
Photographer | @riyadx2 |
Location | Dinajpur, Rajbari |
দিনাজপুরের এই পুরাতন রাজবাড়ীটিতে আমিও গিয়েছিলাম। আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মন্দিরটি বেশি ভালো লেগেছিল। আপনি সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনিও গিয়েছিলেন শুনে আমার অনেক ভালো লাগলো।
মন্দির ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন। মন্দির ভ্রমণের অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ ছিলো। ভাই আপনার। মন্দিরে ঘুরাঘুরের মুহূর্ত বেশ অসাধারণ ছিলো । এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া রাজবাড়ীতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিক্রম করেছি
দিনাজপুরের এই ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এ সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এই পোস্টের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন একটি স্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারলাম আপনার মাধ্যমে।
জী ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।