যাত্রী বোঝাই ট্রেনে ট্রেন ভ্রমণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২৬ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আসলে ট্রেন ভ্রমণ আমার একটি শখের ভ্রমণ। আসলে আমি শখের বশেই ট্রেন ভ্রমণ করে থাকি। ট্রেন ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয় ট্রেন ভ্রমণ একটি নিরাপদ ভ্রমণ। তবে, কিছু কিছু সময় আমরা নিজেরাই এই নিরাপদ ভ্রমণ কে একদম ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলি। বিশেষ করে দুই ঈদে এবং আরো বড় বড় বিভিন্ন ধরনের উৎসবের সময় আমাদের দেশের ট্রেন গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জ্যাম লেগে যায়।আর এই জ্যামের কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করে থাকেন। এটা আসলেই আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। আসলে প্রতিটি জিনিসের একটি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। আর এই ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঠিক অনুরুপ ভাবে ট্রেনের ধারণ ক্ষমতা যখন সম্পন্ন হয়ে যায়, তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
গত কয়েক দিন আগে আমাদের উত্তর বঙ্গের লালমনিরহাট জেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের বাংলাদেশের আলোচিত বক্তা ডাঃ মিজানুর রহমান আজহারীর একটি প্রোগ্রাম ছিল। এই প্রোগ্রাম উপলক্ষে আমাদের উত্তরবঙ্গের সব কয়টি জেলা থেকেই প্রচুর পরিমাণে মানুষ এসেছিল। আসলে তারা সকলেই মিজানুর রহমান আজহারী কে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একজন আলোচিত বক্তা। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে তার সুনাম রয়েছে। যাইহোক, তার কথা গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি ও গিয়েছিলাম এই জায়গার মধ্যে তার ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম।
মাহফিল টি লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সাথেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।তাই, মাহফিল যখন শেষ হয়ে যায় তখন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমে যায়। মূলত সকলেই ট্রেনের করে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্টেশনের মধ্যে ভীড় জমায়।আর সেদিন উত্তর বঙ্গের প্রায় সব কয়েকটি ট্রেনের সিডিউল পরিবর্তন করেছিল। কেননা, সিডিউল পরিবর্তন না করলে হয়তো আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো তাদের কে। যাইহোক, আমরা ও বাসায় যাওয়ার জন্য রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলে আসি। স্টেশনের মধ্যে এসে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড়।
যাইহোক, আমরা ও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেন টি আসার সময় একদম ফাঁকা চলে আসে। যখন ট্রেন টি লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায়, তখন ট্রেনের মধ্যে একদম পিঁপড়ার মতো মানুষের জ্যাম লেগে যায়। আসলে এই ট্রেন টি পাটগ্রাম গামী একটি ট্রেন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ট্রেনের মধ্যে একদম মানুষ উঠে সম্পন্ন হয়ে যায়। অনেকেই ট্রেনের মধ্যে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ছাদের উপর উঠে যায়। আসলে ট্রেনের ছাদের উপর উঠে ট্রেন ভ্রমণ করা খুবই রিক্সি একটি বিষয়। তবুও অনেক মানুষ ট্রেনের ছাদের উপর উঠে গিয়েছিল। তবে, আমার কাছে ট্রেনের ছাদের উপর উঠে ট্রেন ভ্রমণ করা তেমন একটা পছন্দের না।
আমরা রংপুরের ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের রংপুরের ট্রেন টি চলে আসে। ট্রেন টি চলে আসার পর ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো টি একদম লোড হয়ে যায়। আমরা বেশ কয়েকজন এক সাথে ছিলাম। তাই আমরা একটি মালবাহী বগির মধ্যে উঠে পড়ি। তবে, উঠার সময় অনেক ঠেলাঠেলি করে উঠতে হয়েছিল। আমরা ট্রেনে উঠার বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে ট্রেন ছাদ টি একদম ভর্তি হয়ে যায়। ট্রেনের পুরো ছাদের মধ্যে শুধু মানুষ আর মানুষ। আমার কাছে মনে হয় এটাই এই লাইনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল সেদিন। যাইহোক অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের ট্রেন টি ছেড়ে দেয়। ট্রেন টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লোড থাকায় ট্রেন টি খুবই আস্তে আস্তে এগুচ্ছিল। যাইহোক, আমরা খুবই কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাসায় চলে আসি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হুজুরকে অনেকে পছন্দ করেন ভালবাসেন আলহামদুলিল্লাহ, তাই বলে ট্রেন বোঝাই করে এভাবে চলাচল টা বেশ রিক্স। সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ কথায় আছে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। উনি দেশে এসে শান্তিতে ইসলাম প্রচার করতে পারছেন এটা কিন্তু আমাদের সকলের জন্য একটা অন্যরকম পাওয়া।
ভিড় ট্রেনে যাতায়াত করতে সত্যিই খুব অসুবিধা হয়। সেই দিক থেকে আপনার এই ট্রেনটি অত্যন্ত বেশি ভিড় ছিল বলেই মনে হচ্ছে। ছবি দেখে বুঝতে পারছি কত তাড়াতাড়ি ট্রেনটি পুরো লোড হয়ে যায়। আর শেষ পর্যন্ত আপনাকে মালবাহী কামরায় চড়ে যাত্রা করতে হয়। সম্পূর্ণ ঘটনাটি বেশ কষ্টের হলেও পরবর্তী সময়ে এগুলো কিন্তু স্মৃতির মধ্যে থেকে যায়।
মাহফিল শেষে রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ভীড় জমে যাওয়া সত্যিই একটি স্বাভাবিক ঘটনা।হুজুরকে বহু মানুষ ভালোবাসেন, আলহামদুলিল্লাহ, যা সত্যিই একটি আনন্দের বিষয়। কিন্তু একসাথে এত মানুষ ট্রেনের মধ্যে সেভাবে চলাচল করা নিঃসন্দেহে বিপদজনক হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিকে আরও খেয়াল রাখা দরকার।কারণ একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য দুঃখের কারণ হতে পারে। হুজুরের দেশে এসে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম প্রচার করার সুযোগ আমাদের জন্য সত্যিই এক বিরল এবং মহামূল্যবান দান।
মিজানুর রহমান আজহারী যেখানে ওয়াজ মাহফিল করতে যাচ্ছেন সেখানেই এমন হাজার হাজার মানুষের সমাগম। অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ট্রেনে চড়ে তার ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে আসেন। ঠিক তেমন আপনারাও গিয়েছেন। বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম। ট্রেন ভ্রমন করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে এভাবে রিক্স নিয়ে চলাটা বেশ কঠিন।
এরকম উপচে পড়া জনাকীর্ণ জনসাধারণের মধ্যে আমিও একবার ট্রেন ভ্রমণ করেছিলাম আলমডাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। আর এরকম ট্রেন ভ্রমণ করা সত্যিই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এরকম ট্রেন ভ্রমনে। যাহোক এরকম খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও আপনি ট্রেন ভ্রমণের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আপনার বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন-- এটা জেনে ভালো লাগলো।
এমন ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে উঠা অনেক কষ্ট। মিজানুর রহমান আজহারী সেখানে গিয়েছিল বলেই এমন ভিড় হয়েছিল। যাইহোক ট্রেন ভ্রমণ আমারও খুব পছন্দ। তবে কোনো অবস্থাতেই ট্রেনের ছাঁদে উঠা যাবে না। কারণ এতে করে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।