কৃষি খাতে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য কে মানুষ ভুলে গিয়েছে।
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ০১ ই আগষ্ট ২০২৪ ইং
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে যারা গ্ৰাম অঞ্চলের মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তাদের বেশিরভাগই কৃষি খাতের উপর নির্ভরশীল। অন্যান্য দেশের তুলনায়, বাংলাদেশ কৃষি খাতের দিক দিয়ে অনেক টা এগিয়ে রয়েছে।আর প্রাচীন কালের থেকে বর্তমান সময়ের কৃষি কাজ অনেক টা সহজতর হয়ে উঠেছে। প্রাচীন কালে কোন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার ছাড়াই কৃষি কাজ হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই কাজের অনেক টা পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখন কৃষি কাজ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে করা হয়।আর আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে বাংলার পরিশ্রমী কৃষক ভাইয়েরা অনেক কঠিন কাজ খুবই সহজ ভাবে সম্পন্ন করতে পারছেন। এটা আমাদের সকল কৃষকদের জন্য খুবই সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। আশা করছি আমরা ভবিষ্যতে কৃষি খাতে বর্তমানের থেকে আরো বেশি দুর এগিয়ে যাবো।
প্রাচীন কালে মানুষ গরু দিয়ে হাল চাষ করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে গরুর হাল আর তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। কেননা, বর্তমান সময়ে সবাই আধুনিক যন্ত্রপাতির দেখা পেয়ে অতীতের সব কিছু ভুলে গিয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কিছু কিছু গ্ৰামের মধ্যে গরুর হাল এবং গরুর গাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। যাদের কাছে এখন পর্যন্ত গরুর হাল কিংবা গরুর গাড়ি রয়েছে, আসলে তারা অতীত কালের একটি ঐতিহ্য কে টিকিয়ে ধরে রয়েছে। অতীত কালে বাংলার মানুষ গরুর গাড়ি ব্যবহার করে যে কোন ধরনের ফসল ফলাদি ঘরে তুলতেন, কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে, বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন ব্যবহার করে ফসল ফলাদি ঘরে তুলেছেন কৃষকেরা।
বর্তমান সময়ের বেশ কয়েকটি আধুনিক যানবাহনের মধ্যে, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ও পিকাপ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাদি ঘরে তোলার জন্য। প্রাচীন কালে গরুর গাড়ি ব্যবহার করে যে সময় লাগতো, কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে সেসব কাজ গুলো সম্পন্ন করা যাচ্ছে। এটা আসলেই আমাদের কৃষক ভাইদের জন্য খুবই উপকারী হয়ে উঠেছে।
অতীত কালে মানুষ গরু দিয়ে হাল চাষ করতো, কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রাক্টর এবং পাওয়ার টিলার ব্যবহার করে জমি চাষ করছে কৃষকেরা। এতে করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জমি চাষ সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। প্রাচীন কালে ধরুন, এক বিঘা জমি গরুর হাল দিয়ে চাষ করতে প্রায় একদিন লেগে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করতে সময় লাগছে শুধুমাত্র পনেরো থেকে বিশ মিনিট।এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে আমরা কৃষি খাতে কতদূর এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের দেশের কৃষি খাত যত বেশি আধুনিক হবে, আমরা আমাদের দেশ কে তত বেশি এগিয়ে যেতে পারবো। ভবিষ্যতে কৃষি খাত আমাদের দেশ কে আরো অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে আমি আশা করছি।
প্রাচীন কালের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের কুয়ার মাধ্যমে জমিতে সেচ দিতো। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে জমি সেচ দিতে পারছে বাংলার কৃষক। চারদিক দিয়ে বর্তমান সময়ের কৃষকেরা অনেক টা এগিয়ে গিয়েছে।আর প্রতিটি কৃষক স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরে ঘরে সোনার ফসল তুলতে পারছেন।আর প্রাচীন কালে কৃষকদের কে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাতে হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের তেমন কোন পরিশ্রম হয় না। তবে, আমরা বাঙালিরা প্রাচীন কালের কৃষি যন্ত্রপাতি কে এখন উপেক্ষা করে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছি। এতে করে আমাদের কৃষি প্রযুক্তি অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছে। আশা করছি সামনের দিনে আমাদের দেশের কৃষি প্রযুক্তি আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগেকার কৃষির ধরন এবং এখন এর কৃষি কাজের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। মানুষ আগে অনেক কষ্ট করে গরু দিয়ে চাষের কাজ করতো জমিগুলো ভাঙ্গাতো। তাছাড়া নিজেরাও অনেক কষ্ট করে ফসলের মাঠগুলো ভাঙ্গাতেন কোদাল দিয়ে। সেই আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় আজকে অনেক কিছু সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে কৃষির ক্ষেত্রে এত সুন্দর বিপ্লব আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। মানুষ অনেক সহজে কৃষি কাজ করতে পারে জমি ভাঙ্গাতে পারে। আর ধান গুলো খুব সুন্দর করে মাড়াই করতে পারে। অনেক সুন্দর কিছু তথ্য আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আজকে।
পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো! খুব সুন্দরভাবে বাংলাদেশের কৃষি খাতের বিবর্তন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার তুলে ধরেছেন। প্রাচীন কালের গরুর হাল থেকে শুরু করে বর্তমানের পাওয়ার টিলার এবং ট্রাক্টর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কৃষিতে যে বিশাল পরিবর্তন এসেছে, তা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দনভাবে ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়।
আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার যেমন কৃষকদের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে, তেমনি এটি আমাদের দেশের কৃষি উৎপাদনশীলতাও অনেক বাড়িয়েছে। আপনার পোস্টে তুলে ধরা এসব তথ্য এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সবাইকে আরও বেশি সচেতন করে তুলেছে আমাদের দেশের কৃষির অগ্রগতি সম্পর্কে। আশা করছি, ভবিষ্যতেও এমন আরও সুন্দর ও তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ!
[@redwanhossain]
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া কিসে ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে প্রাচীন কৃষি কে মানুষ এখন ভুলে গিয়েছে। আর এই কারণেই তো তারা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে ফসল কে আরো মানুষের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে তৈরি করে ফেলছে। যদিও উৎপাদন বেশি হচ্ছে তারপরও সেই উৎপাদনকৃত ফসল এর মধ্যে থাকছে অনেক ভেজাল।
কৃষিক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যবহৃত হওয়া বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে অসাধারণ লিখলেন। অনেককিছু জানার অবকাশ পাওয়া গেল। বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে এইসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার ফসলের ফলনের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। টেকনোলজি এগোবেই। আর আমরাও ধীরে ধীরে তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব, এটাই তো পৃথিবীর নিয়ম। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করলেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।এখন আর গরুর হাল দেখাই যায় না।আমাদের বাচ্চাদের জন্য গরুর হাল একটি অজানা বিষয়।
ভাই আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আস্তে আস্তে সব কিছু দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।আগেরকার মানুষ গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করতো।কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি বের হয়েছে।আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আগের দিনের কৃষি প্রধান দেশের সাথে বর্তমান কৃষিচাষ অনেক হাজার গুন পার্থক্য আগের দিনে মানুষ কষ্ট করে গরু দিয়ে হাল চাষ করতো খুব কষ্ট করে জমিতে পানি দিত। এমন কি নিজেরা কোদাল বা লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ করতো। কিন্তু এখন দেশ অনেক আধুনিক হয়েছে মানুষের অনেক কষ্ট লাগব হয়েছে। কৃষকের অনেক সপ্নও পূরন হয়েছে। আপনি আজ আমাদের মাঝে খুবি সুন্দর করে আধুনিক কৃষি খাতে আধুনিকতার ছোঁয়া খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।