আমন ধান ঘরে তুলে কৃষকদের উল্লাস
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ১৮ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করে তাদের বেশির ভাগই কৃষির ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন পরিচালনা করে থাকে।আর গ্ৰামের খেটে খাওয়া মানুষেরা অন্যের জমির মধ্যে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গ্ৰামের বেশিরভাগ মানুষই মাঠের মধ্যে কাজ করে থাকে। এই বিষয়ে হয়তো আপনারা সকলেই অবগত আছেন।কেউ নিজের জমিতে কাজ করে, আবার কেউ অন্যের জমিতে কাজ করে।সব কিছু মিলিয়ে সকলেই কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। আবার গ্ৰামে এমন কিছু কৃষক রয়েছে, যারা অন্যের জমি ফিক্সিং করে জমি চাষ করার চেষ্টা করে।
প্রায় এক মাস জুড়ে আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ চলছে। এখন প্রায় ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ শেষ। সকল কৃষক, শ্রমিক ও জনতা একত্রিত হয়ে এবছর ঘরে তোলার কাজ সম্পন্ন করেছে। যাইহোক, এখন কম বেশি সকলেরই ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ শেষ। এখন কৃষকরা ধান বিক্রি করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকলেই উৎসবের সাথে তাদের উৎপাদিত ধান গুলো বিক্রি করছেন।ধান ব্যবসায়ীরা ও এবছর উৎসবের সাথে ধান কেনা বেচা করছেন। আসলে গ্ৰামের মধ্যে থাকলেই এমন দৃশ্য গুলো দেখা যায়। যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।
আমার দেখা মতে, এবছর সব থেকে ধানের দাম বেশি। এবছর ধানের ফলন ও অনেক বেশি হয়েছিল, আবার ধানের দাম ও অনেক বেশি। এজন্য আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষক অনেক বেশি। তবে, বন্যার কারণে বেশ কিছু জায়গার মধ্যে ধানের ফলন তেমন একটা হয়নি, এজন্য তাঁরা এবছর খুব একটা লাভবান হতে পারেনি। আশা করছি পরবর্তী সময়ে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদ গুলো রিকভার করতে পারবে। তবে, আমাদের উত্তর বঙ্গের মানুষ ধান চাষে অনেক বেশি লাভবান হতে পেরেছে। উত্তর বঙ্গের মধ্যে কম বেশি প্রায় প্রতিবছরই ধানের ফলন অনেক ভালো হয়।আর উত্তর বঙ্গের মানুষ ধান চাষে অনেক বেশি পারদর্শী।
আমরা যারা চাকরিজীবী কিংবা ব্যবসায়ী মানুষ রয়েছি, তারা হয়তো প্রত্যেকেই শীতকালের শুরুতেই শীতকালীন পোশাক কেনা কাটা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকদের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি ভিন্ন। আমাদের দেশের কৃষকেরা তাদের ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ শেষে তাদের শীতকালীন সকল ধরনের কেনাকাটা করে থাকে। কৃষকেরা তাদের ধান গুলোর উপর নির্ভর করে থাকে। যখন ধান কাটা এবং মাড়াই করে ঘরে তোলা হয়, তখন সেই ধান গুলো বিক্রি করে সকল ধরনের খরচ করে থাকে।আর এমনটি বছরের পর বছর হয়ে আসছে। প্রতিটি কৃষক ঘরের ছেলে মেয়েরা এই বিষয়ে খুবই সুন্দর ভাবে অবগত আছেন। আসলে কৃষক ঘরের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা ও এক ধরনের ভাগ্য।
আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা আমাকে প্রতি বছর নতুন ধান ঘরে তুলে ধান বিক্রি করে টাকা হাতে নিয়ে আমাদের কে কেনাকাটা করে দিতেন। ঈদের সময়ে ইরি ধান ঘরে তুলে ঈদ করতাম।আর এখন পর্যন্ত এমনটাই হয়ে আসছে। যুগের পর যুগ এভাবেই চলবে। তবে, এখন আরো অনেক নতুন নতুন ফসল চাষ হচ্ছে।এদিক দিয়ে কৃষকেরা অতিরিক্ত লাভবান হতে পারছে।আমি গর্বিত, কারণ আমি ও একজন কৃষকের ছেলে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এই অঞ্চলে আমন ধান হয় না। এক সময় এই ধানটা আমাদের এদিকে দেখা যেত। যায় হোক ভাল লাগল এই সিজেনের ধান সম্পর্কে পোস্ট দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। সত্যি এবার ধানের দাম অনেক বেশি।
কত দিন হলো আমন ধান দেখি না। অনেক আগেই এই ধান চাষ করা বাদ হয়ে গেছে। ফসল ঘরে উঠলেই কৃষকের মুখে হাসি ফোটে। কারন অনেক পরিশ্রম আর কষ্ট করে বাংলার কৃষক ফসল ফলায়। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো সুন্দরভাবে আপনি আমন ধান এর মূল্য নিয়ে আলোচনা করেছেন দেখে। কৃষকরা ধান বিক্রয় করে বেশ লাভবান হয়েছে জানলাম। গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন ফসল নিয়ে আলোচনা শুনেছি। তবে প্রথমত ধান ১২-১৩০০ টাকা মনে বিক্রয় করেছে এখন তার দাম বেড়ে গেছে অনেক এটা শুনলাম। যাহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি পোষ্টের আলোচনা করেছেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে তারা ধান লাগানো থেকে শুরু করে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ বিষয়টাই জানে। তবে এবছর ধানের দাম বেশ ভালোই ছিল তাই কৃষক এবং যারা ধান এর ব্যবসা করে সবাই এরই বেশ ভালোই হয়েছে। তবে আমাদের এলাকাতে অনেক দিনে হয়ে গেল সবার ঘরে ঘরে ধান উঠে গেছে।আপনি খুবই সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমন ধান যখন সুন্দর ভাবে ঘরে তুলে কৃষকদের উল্লাস আর আনন্দের কোন শেষ থাকে না। তারা কঠোর পরিশ্রম এবং আশা নিয়ে ফসল ফলায়। ঐ ফসল যখন ঘরে তুলে তখন তারা বেশ আনন্দ উপভোগ করে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।