সিলেট ভ্রমণ: সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ০৯ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
আমাদের মনের মধ্যে সিলেটের নাম টি চলে আসলেই প্রথমেই সিলেটের চা বাগান গুলোর কথা মনে পড়ে।আর আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন, যে সিলেট জেলা মানেই চায়ের দেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত জিনিস রয়েছে, ঠিক অনুরুপ ভাবে সিলেট জেলা টি চা দিয়ে বিখ্যাত। সিলেটের চা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। সিলেট জেলার চা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর আরো বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে সিলেটের চায়ের একটি বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। সিলেট জেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রজাতির চা চাষ করা হয়ে থাকে।আর সিলেটের প্রতিটি চা বাগানের দৈর্ঘ্য বিশালাকার।
আমরা যেহেতু বেশ কয়েকজন মিলে একত্রিত হয়ে সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম।আর আমাদের সিলেট ভ্রমণের প্রথম দিন সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানে ঘুরতে যাওয়া হয়েছিল। যেহেতু আমরা ঢাকা থেকে সিলেটে সকাল বেলা পৌঁছে ছিলাম, তাই আমরা হোটেলে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম। নাস্তা সেরে নেয়ার পর আমরা সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি লেগুনা ঠিক করতে চলে আসলাম হযরত শাহজালাল মাজার রোড। আসলে, হযরত শাহজালাল মাজার রোডের মধ্যে সব সময় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি পাওয়া যায়।আর এই গাড়ি গুলো শুধু মাত্র টুরিস্টদের জন্য। টুরিস্টরা চাইলে যে কোন সময় এই জায়গা থেকে গাড়ি ঠিক করে বিভিন্ন ধরনের টুরিস্ট প্লেচের মধ্যে ঘুরতে যেতে পারবেন। যাইহোক, আমরা সিলেট ভ্রমণের প্রথম দিন সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি লেগুনা ঠিক করলাম।
সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান মাজার রোড থেকে কিছু টা দূরে।প্রায় আট থেকে দশ কিলোমিটার হবে। লেগুনা ওয়ালা আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানে পৌঁছে দেয়। এরপর আমরা সকলেই মিলে চলে গেলাম চা বাগানের গেইটের সামনে। সেখানে গিয়ে চা বাগানের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা চা বাগানে ঘোরাঘুরি করার জন্য আমাদের সাথে একজন লোক পাঠিয়ে দেন।যাতে করে আমরা চা বাগানের মেইন মেইন পয়েন্ট গুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে পারি। যেহেতু চা বাগান টি আয়তনে বিশালাকার, চা বাগান টি আয়তনে ২৯৩ হেক্টর বা প্রায় ৩২০০ একর জমি।তাই আমাদের পক্ষে এতো পরিমাণ জায়গার মধ্যে ঘোরাঘুরি সম্ভব ছিল না বলেই আমরা একজন প্রতিনিধি নিয়েছিলাম।
চা বাগানের প্রতিনিধি আমাদের কে সর্বপ্রথম চা বাগানের একদম মাঝখানে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি বিশাল বড় পাহাড়ের মধ্যে উঠে পড়ি আমরা।পুরো চা বাগান টি কোথায় উঁচু উঁচু বিশালাকার পাহাড় আবার কোথাও সমতল জমি। আমরা বেশ কয়েকটি পাহাড় অতিক্রম করে চা বাগানের মাঝে এসেছিলাম।আর এই সব পাহাড়ের মধ্যে উঠানামা করা খুবই কষ্টকর একটি ব্যাপার। যাদের শরীর কিছুটা ভারী তাদের জন্য এই চা বাগানে ঘোরাঘুরি করা অনেক টা কষ্টকর একটি ব্যাপার। তারা চাইলে খুব সহজেই এই চা বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। যাইহোক, আমাদের চা বাগানের প্রতিনিধি আমাদের কে বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মধ্যে উঠানামা করে চা বাগানের চারদিকে ঘোরাঘুরি করে দেখান।চা বাগানের ভিতরের পরিবেশ টা অনেক বেশি সুন্দর। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কত বেশি সুন্দর তা আসলে আমি সেদিন সিলেটের চা বাগানে ঘুরতে গিয়ে বুঝতে পারছিলাম।
চা বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে কষ্টকর হলেও সুন্দর পরিবেশের মাঝে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমাদের সকলের কাছে।আর সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগানের চা গাছ গুলো অনেক বেশি পুরনো।তা গাছ গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছিল। আমরা আমাদের চা বাগানের প্রতিনিধি কে চা বাগানের বয়স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, চা বাগানের প্রতিনিধি আমাদের কে এই চা বাগানের বয়স প্রায় একশো থেকে দেড়শ বছর বলে দেয়।এতো পুরনো চা বাগানের সৌন্দর্য এখনো মানুষ কে আকৃষ্ট করে তুলছেন, এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু কিছু চা বাগান অল্প কিছু সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান টি যুগ যুগ ধরে একদম সতেজ রয়েছে।চা গাছের পাতা গুলো এখনো অনেক বেশি সতেজ রয়েছে। সিলেটের এই চা বাগানের সৌন্দর্য গুলো এখনো আমার মনে নাড়া দিচ্ছে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্য দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। যদিও কখনো সিলেট যাওয়া হয়নি। তবে আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। জায়গাগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে।
X promotion
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে সিলেটের বিখ্যাত লাক্কাতুরা চা বাগান ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতি যে এতো সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর তা আমি আপনার সিলেট ভ্রমণের ফটোগ্ৰাফি গুলো না দেখলে বুঝতাম- এ না। পরবর্তী বছরে সিলেটে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আসলে আমিও যখন বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু সিলেটের এই চা বাগান গুলোতে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে এই জায়গার আবহাওয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গরমের সময় এই চা বাগান গুলোতে তেমন একটা বেশি গরম থাকে না। আপনার এই ঘোরার অনুভূতিগুলো আমার খুব ভালো লাগলো।
সবসময়ই আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর কিছু ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করে আসছেন৷ আজকের এই অসাধারণ ভ্রমণের পোস্ট পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি সিলেটের বিখ্যাত চা বাগান ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আজকে এর তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন৷ পরবর্তীতে আরো পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
আপনি বরাবরই অনেক সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেন ভাই। আপনার শেয়ার করা ভ্রমণ পোস্টগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যদিও কখনো সিলেট ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে যদি তেমন কোনো সুযোগ পায় তাহলে অবশ্যই ঘুরতে যাব। জায়গাটি অসম্ভব সুন্দর। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।