ভ্রমণ পোস্ট: রমনা ফেরি ঘাট ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ২৩ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং
আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে রমনা ফেরি ঘাট ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি । আপনারা হয়তো সকলেই ইতিমধ্যে আমার শেয়ার করা প্রথম পর্ব টি দেখেছেন। আসলে আমাদের রমনা ফেরি ঘাটে ভ্রমণ করতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল নৌকা ভ্রমণ করা। আসলে আমার কাছে নৌকা ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর ব্রহ্মপুত্র নদী টি যেহেতু আকারে অনেক টা বিশাল।তাই এই নদীর মধ্যে নৌকা ভ্রমণ করতে একটু বেশি ভালো লাগবে। আমরা মূলত সেদিন প্রায় দশ থেকে পনের জন ছেলে গিয়েছিলাম এই ফেরি ঘাটের মধ্যে।আর এই ফেরি ঘাটে সব সময় বিভিন্ন রকম লেগেই থাকে।প্রায় সময় গেলেই দেখা যায়, ফেরি ঘাটের চারদিকে অনেক মানুষ লেগে রয়েছে। অনেকেই অনেক জায়গা থেকে এই ফেরিঘাট দেখার জন্য আসে। তাই এই জায়গার মধ্যে একটু ভীড় জমে থাকে সব সময়।
আমরা নৌকায় করে রমনা ফেরি ঘাট থেকে রৌমারী ফেরি ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আসলে রমনা ফেরি ঘাট থেকে রৌমারী ফেরি পর্যন্ত মানুষ চলাচল করার জন্য শুধু মাত্র নৌকা ব্যবহার করা হয়। তবে, সেখানকার প্রতিটি নৌকা আকারে অনেক টা বড়। যেটা আমার দেখা অন্যান্য সব নৌকার থেকে বড়। যাইহোক আমরা প্রথমে নৌকায় করে রৌমারী ফেরি ঘাট যাওয়ার জন্য নৌকা গুলোর নিকটে পৌঁছে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম পরপর বেশ কয়েকটি নৌকা রৌমারী ফেরি ঘাটে যাচ্ছে।আর প্রতিটি নৌকার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ থেকে একশত জন যাত্রী নিয়ে রৌমারী ফেরি ঘাটে যাচ্ছিল। এরপর আমি একটু সামনের দিকে এগিয়ে দেখতে পারলাম একটি নৌকা লোড করা হচ্ছে।
আমরা সকলে গিয়ে এই নৌকার মধ্যে উঠে পড়লাম। আমরা উঠার পর আরো বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আমাদের নৌকাটির মধ্যে উঠে পড়ে। এভাবেই আস্তে আস্তে নৌকার মধ্যে প্রায় সত্তর থেকে আশি জন মানুষ আমাদের এই নৌকার মধ্যে উঠে পড়ে। আমার মনের মধ্যে একটু খানি ভয় কাজ করছিল। কেননা, আমার জীবনে সেদিন প্রথম এতো পরিমাণ যাত্রী সহ নৌকা ভ্রমণ করেছিলাম। নৌকা টি আকারে অনেক টা বড়।তাই একটু বেশি পরিমাণে মানুষ উঠেছিল। আমাদের টিম সহ আমরা নৌকার একদম সামনের দিকে বসেছিলাম আমরা। আমাদের টিমের প্রতিটি ছেলে ছিল অনেক বেশি সাহসী।
যাইহোক, নৌকা তার নিজ গতিতে চলতে শুরু করে দেয়। নৌকা চলার প্রথম অবস্থায় আমার মনের মধ্যে অনেক বেশি ভয় করছিল। পরবর্তীতে কিছু সময় অবিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর আমার মনের মধ্য থেকে সকল ধরনের ভয় ভেঙ্গে যায়।আমি নৌকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্টাইল দিয়ে ছবি তুলেছিলাম। ছবি গুলো ও বেশ অসাধারণ হয়েছিল। রমনা ফেরি ঘাট থেকে রৌমারী ফেরি ঘাটের দুরুত্ব অনেক বেশি ছিল।তাই দীর্ঘ সময় ধরে নৌকা ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছিল সেদিন আমাদের। আসলে এর আগে এতো বেশি সময় নিয়ে কোনদিন নৌকা ভ্রমণ করা হয়নি। যাইহোক, নৌকা ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। নৌকা ভ্রমণ করার সময় চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করছিলাম।
নৌকা ভ্রমণ করার সময় নদীর সৌন্দর্য গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আপনারা যারা ইতোমধ্যে নদী ভ্রমণ করেছিলেন, তাঁরা হয়তো সকলেই নদীর সৌন্দর্য সম্পর্কে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত নদী ভ্রমণ করতে পারেননি, তারা অবশ্যই নদী ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন। আসলে নদীর সৌন্দর্য কখনো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নদীর কোথাও উচু আবার কোথাও নিচু। আবার কোথাও বড় আকারের চর। বিশেষ করে চরের সৌন্দর্য গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। কেননা, কিছু কিছু চরের মধ্যে বাড়ি ঘর পর্যন্ত তৈরি করেছে মানুষ। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সময় ধরে নৌকা ভ্রমণ করার পর আমাদের কে রৌমারী ফেরি ঘাটে পৌঁছে দেয়।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X promotion
ইতোমধ্যেই আপনার রমনা ফেরিঘাটের প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম বেশ ভালো ছিল তবে আজকে যে পর্বটি শেয়ার করেছেন এটি একদম দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে নৌকা ভ্রমন আমার কাছেও ভীষণ পছন্দের। এরকম ফেরিঘাট গুলোতে একটু জ্যাম লেগেই থাকে। তারপরেও আপনার প্রিয় নৌকা ভ্রমন করতে পেরেছেন এটা জেনে খুশি হলাম। দীর্ঘ তিন ঘন্টা তার মানে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন নৌকায়। ফটোগ্রাফি গুলি ও কিন্তু চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার আজকের রমনা ফেরিঘাট ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি চমৎকার হয়েছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নৌকা ভ্রমণ করতে একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। যাইহোক, সেদিন বেশ ভালোই নৌকা ভ্রমণ করা হয়েছে।
আপনি রমনা ফেরিঘাটে গিয়েছিলেন নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। নৌকা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে তবে ভয় লাগে একটু। আপনি নৌকায় উঠে তিন ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন এবং সেখানে বিভিন্ন স্টাইলের ছবি তুলেছেন। নদীর সৌন্দর্য আসলেই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আপনি তিন ঘন্টা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ক্যাপচার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি কিন্তু দারুন হয়েছে ভাইয়া। ভালো লাগলো আপনার রমনা ফেরিঘাটের দ্বিতীয় পর্বের কাহিনী পড়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জীবনের প্রথম সেদিন দীর্ঘ সময় ধরে নৌকা ভ্রমণ করা হয়েছে।বেশ মজা করছিলাম সেদিন আমরা।
আপনার ফেরিঘাট ভ্রমণের প্রথম পর্বটা যদিও দেখা হয়নি তবে আজকে দ্বিতীয় পর্ব টা দেখে ভালো লাগলো। রমনা ফেরি ঘাটে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সেখানকার পরিবেশ দেখে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রমনা ফেরি ঘাটে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম।আর নৌকা ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
রমনা ফেরি ঘাট ভ্রমণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের জায়গা গুলোতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আর দারুন সময় কাটানো যায়। দারুন একটি ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে আমি কখনো ফেরিঘাটে ভ্রমণের সুযোগ পায়নি৷ তবে আপনাদের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি এবং খবরেও অনেক সুন্দর কিছু নিউজ দেখেছিলাম৷ আজকে আপনার কাছ থেকে সুন্দর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷