ড্রাইভারদের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়ার ফল(ছোট গল্প)
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনের ঘটে যাওয়া ছোট একটি গল্প শেয়ার করবো এবং সেই গল্প থেকে আসলে আমাদের কি শিক্ষা নেওয়া উচিত, সেটাও শেয়ার করবো।তবে প্রথমে আমি গল্পটা বলে নেই। সেটা শেয়ার করলে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
বেশ কয়েক বছর আগে আমি একবার সিলেট গিয়েছিলাম আমার বাবা-মায়ের সাথে ঘুরার জন্য। অবশ্য একেবারে যে শুধু ঘুরতে গিয়েছিলাম তা নয়। অর্থাৎ ঘুরার উদ্দেশ্যে হলো, আমার এক কাজিন বড় আপুর সম্বন্ধ ঠিক করা হয়েছিলো সিলেটে। তো ওই বড় আপুর শ্বশুরবাড়ি দেখার উদ্দেশ্যে মূলত আমরা সিলেটে গিয়েছিলাম।
আমরা বেশ অনেকজন মিলে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ কাজিন এর বাবা-মা, ভাই বোন এবং আমরা সকলে মিলে গিয়েছিলাম। কারণ প্রথমত শ্বশুরবাড়ি দেখা হবে। সে সাথে সিলেট যেহেতু একটি দর্শনীয় স্থান অর্থাৎ অনেক পর্যটক স্পট রয়েছে। সে সাথে একটু ঘুরাঘুরিও করা যাবে, সে কারণে।
তো সিলেটে আমরা যথারীতি গেলাম এবং এর পরের একদিন আমরা জাফলং যাচ্ছিলাম। তো জাফলং যাওয়ার পথে বেশ লম্বা একটা রাস্তা একটু ইউটার্ন নেওয়ার জন্য যেতে হয়। অর্থাৎ মাঝে কোনো ফাঁকা নেই। যেখান দিয়ে গাড়ি ঘুরাতে পারবে। অর্থাৎ ইউটার্ন নেওয়ার জন্য বেশ অনেক লম্বা একটা রাস্তা পাড়ি দিতে হয়।
তো আমাদেরও মোটামুটি তাই দরকার ছিলো। কিন্তু আমাদের যে ড্রাইভার ছিলো। সে আমাদেরকে বলেছিলো যে, যদি তিনি রং সাইডে যান। তাহলে একটু অল্প পরেই আমরা কাঙ্ক্ষিত রাস্তায় পৌঁছে যাবো এবং আমাদের একেবারেই সময় লাগবে না। এমনকি আমরা কোনো জ্যামেও পরবো না। তখন আসলে সেদিকের রাস্তাটা ও একেবারে খালি ছিলো।তাই আমরা খুব একটা ভাবিও নি।আর তার ওপর সকলে হই-হুল্লোড় করছিলাম। তাই সেসব তেমন একটা আমলেও দেইনি।
কিন্তু ড্রাইভার টা যখন রঙ সাইড দিয়ে অনেক বেশি জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলো। তখন হঠাৎ একটি গাড়ি এসে আমাদের গাড়িটাকে এতো জোরে মেরেছিলো যে আমাদের গাড়িটি প্রায় রাস্তা থেকে পরে যেতে যেতে, একটা গাছের সাথে আটকে গিয়েছিলো।যে কারণে আসলে আমরা রাস্তা থেকে ছিটকে পাহাড়ের নিচে পরে যায়নি।
তাহলে ভাবুন যে, আমরা যদি আসলে ড্রাইভার এর কথাটি না শুনতাম। তাহলে কি আমাদের এই বিপদটা হতো? হয়তো হতো না।তাই এই ব্যাপারটা থেকে আমি সেদিনকার মত এটাই শিক্ষা নিয়েছিলাম যে ড্রাইভাররা তাদের সময় বাঁচানোর জন্য এবং অতিরিক্ত ইনকাম করার জন্য এসব শর্টকাট রাস্তা আমাদের চেনাতেই পারে। কিন্তু আমাদের কখনোই সেসবে এ রাজি হওয়া উচিত নয়। কারণ সামান্য কিছু সময়ের জন্য লাইফ রিস্ক হয়ে যায়।
ড্রাইভাররা নিজেদের লাভের জন্য অনেক সময় এমনটা করে থাকে। তাই তাদের কথায় কান দেওয়া মোটেই উচিত নয়। রাস্তার রং সাইডে গাড়ি চালানো খুবই ঝুকিপূর্ণ। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আপনাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এমন শিক্ষণীয় একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।