ভালো ব্যবহারের অভ্যাস
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
পৃথিবীর সবকিছুর জন্য অভ্যাস প্রয়োজন। অভ্যাস ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। একটা কথা রয়েছে যে, অভ্যাস হলো আমাদের উপরে। অর্থাৎ মানুষ অভ্যাসের দাস। তাই আমরা যদি কোনো কিছুর অভ্যাস করে ফেলি। তাহলে সেটা থেকে বের হয়ে আসাটা একটু কঠিন এবং কোনো ভালো কাজের অভ্যাস যখন করি। তখন সেটা আমাদের জীবনের জন্য বলা চলে গেইম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করে।
শুধু তাই নয়, সবকিছুর ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ কোনো কিছু আমরা যখন শুরুর দিকে করি। তখন সেটা আমাদের কাছে অনেকটা চাপ এর মনে হয়। কিন্তু আমরা যদি সেই কাজটি নিয়ে প্রতিনিয়ত অভ্যাস গড়ে তুলি এবং সেই কাজের প্রতি মনোযোগী হয়ে অর্থাৎ ওই যে অভ্যাসটা যদি আমাদের চলে আসে। তাহলে কিন্তু দেখা যায় যে সেই কাজের প্রতি আমাদের একটা আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই কাজ করতে আমাদের আর কোনো কষ্ট হচ্ছে না।
ঠিক একই রকম ভাবে ভালো ব্যবহারের একটি অভ্যাস আমাদের করে তোলা উচিত। কারণ আমরা যদি ভালো ব্যবহারের অভ্যাস করে না তুলি। তাহলে আসলে যেটা হয়। সেটা হলো, আমরা আমাদের ভালো অভ্যাসটিকে আমাদের জীবনে কোনো ভাবেই ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবো না। অর্থাৎ আমরা চাইলেও মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারবো না। এটা বললাম তার কারণ হলো, কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা খারাপ ব্যবহার করাটাকেই আসলে একটা ভাব কিংবা একটা ফ্লেক্স হিসেবে ধরে এবং তারা যখন মাঝেমধ্যে তাদের প্রয়োজনে ভালো ব্যবহার করতে চায়। তখন সেটা তাও করতে পারে না। তাই সময় থাকতেই আমাদের ব্যবহার ভদ্র করা উচিত। অর্থাৎ ভালো ব্যবহারের একটি অভ্যাস আমাদের সকলের মধ্যেই গড়ে তোলা উচিত।
হ্যাঁ আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা অন্য মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করাটা নিজেদের প্রভাব হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। সেই শ্রেণীর মানুষগুলোকে বুঝতে হবে একজন মানুষের সাথে ভালো আচরণ করাই একজন আদর্শ মানুষের বড় পরিচয়।