শেকড়ে ফিরে যাওয়া- গল্প (চতুর্থ পর্ব)
পরদিন সাকিব তার এক চাচাতো ভাইকে ফোন দিয়ে বললো আমি সামনের মাসে গ্রামে ফিরছি পুরো পরিবার নিয়ে। গ্রামে থাকতে হলে তো আমার ঘরগুলো ঠিক করা দরকার। আমি দুই তিন দিন পর গ্রামে আসছি তুই আমাকে একটু সাহায্য করিস। চাচতো ভাই তাকে বললো কোনো সমস্যা নাই আপনি আসেন। এর ভিতরে সাকিব ব্যাংকে তার জমানো টাকার ব্যাপারে একটা খোঁজ নিলো। দেখলে সেখানে মোটামুটি বেশ ভালো অ্যামাউন্ট এর একটা টাকা জমেছে। শাকিবের যে চাকরিটা ছিলো সেই চাকরিতে বেতনের সাথে ভালো পরিমাণ টাকা বোনাস পেতো। সেখান থেকে বেশ কিছু টাকা শাকিব প্রতি মাসে জমাতো। যার ফলে সেখানে মোটামুটি বেশ ভালো একটা অ্যামাউন্ট জমা হয়েছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সাকিব ২-৩ দিন পর সেখান থেকে কিছু টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গেলো। যাওয়ার সময় তার স্ত্রীকে বলল তুমি আস্তে আস্তে সব কিছু গোছগাছ করতে থাকো। শাকিব গ্রামে গিয়ে কয়েকদিন থেকে ঘরবাড়ি সব ঠিক করালো। তারপর সে আবার তার শহরের বাসায় ফিরে গেলো। কিন্তু বাসায় ফিরে এসে দেখে দরজায় তালা দেয়া। এদিকে স্ত্রীর নাম্বারে ফোন দিলেও সে ফোন ধরে না। এর ভিতরে পাশের ফ্ল্যাটের একজন এসে রাকিবের কাছে তার ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে গেলো। চাবি দিয়ে সাকিবকে বললো ভাবি আপনার কাছে চাবিটা দিয়ে দিতে বলেছে।
শাকিব দরজার তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করলো। ঘরে ঢুকে পরিবারকে দেখতে না পেয়ে সাকিবের বেশ খারাপ লাগলো। সাকিব আরো কয়েকবার তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো। কিছুতেই তার ফোন ধরল না। পরদিন সকাল নাস্তা করে সাকিব তার শ্বশুরবাড়িতে গেলো। সেখানে গিয়ে দেখে তার বাচ্চা দুটো খেলাধুলা করছে। শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে সাকিব তার স্ত্রীকে ডাকলো। তার স্ত্রী কাছে এলে সাকিব তাকে জানালো তুমি যতো ইচ্ছা রাগ করতে পারো। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলাবো না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
স্বামী, স্ত্রী সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে থাকতে হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দুজন ঠান্ডা মাথার সুন্দরভাবে পথ চলা উচিত। রাগ করে চলে গেলে বিষয়টি সমাধান হয় না। আপনার ধারাবাহিক গল্পটি আমার কাছে বেশি চমৎকার লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সাকিবের স্ত্রীর মোটেই উচিত হয়নি রাগ করে তাদের বাড়িতে চলে যাওয়া। সাকিব তো অনেক কষ্টে গ্রামের বাড়ি ঠিকঠাক করেছে, সেখানে গিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করার জন্যই। সাকিবের স্ত্রীর উচিত ছিলো সাকিবকে সাপোর্ট দেওয়া। তবে সাকিব যেহেতু তার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছে, তাহলে মনে হচ্ছে সাকিবের স্ত্রী ও শেষ পর্যন্ত গ্রামে যেতে রাজি হবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।