হতাশাকে সাইনবোর্ড বানানো যাবে না
একটি বিষয় আপনার সকলেই জানেন যদি আপনার আশেপাশে ভালো মানুষ থাকে অবশ্যই তাহলে আপনিও একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন, খুব সহজেই। কিন্তু অপরদিকে আপনার আশপাশে যদি খারাপ খারাপ মানুষ থাকে সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনিও খারাপ হওয়ার পথে যাওয়া সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। কারণ আমাদের দলবদ্ধভাবে যে অভ্যাসগুলো রয়েছে সেটা আস্তে আস্তে নিজেকে গ্রাস করে ফেলে।
আমাদের আশেপাশেই এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় চিন্তাগ্রস্ত এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ কথাবার্তা বলে। তারা জীবনে তো কিছু করেও নি, সাধারণত নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে সব সময় কথা বলে এবং এই বিষয়গুলো কিন্তু আমরা সচরাচর প্রায় সব জায়গায় দেখতে পাচ্ছি। এই বিষয়টিকেই কথিত কথাই বলা হয়, হতাশাকে সাইনবোর্ড বানানো। জীবনে আর যাই করেন না কেন এই বিষয়টি কখনোই করবেন না। সবার সামনে নেগেটিভ কথাবার্তা বলবেন না, নিজের হতাশাগুলোকে সবার সামনে প্রকাশ করবেন না। এতে করে আপনার ইমেজ নষ্ট হয়ে যায় এবং আপনাকেও মানুষেরা নেগেটিভ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করে।
আর আপনি যদি এখন সেই শ্রেণীর মানুষের তালিকায় থেকে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজের সঙ্গ পরিবর্তন করা। এমন কিছু বন্ধু বা মানুষ খুঁজে বের করুন যারা সবসময় পজেটিভ থাকে এবং ভালো ভালো কথা বলে। হ্যাঁ, তারাও হয়তো জীবনে অনেক স্ট্রাগল করছে কিন্তু তারপরও হাল ছেড়ে দিচ্ছে না। এমন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করুন। দেখবেন আপনার ব্যবহার এবং চিন্তাধারাও আস্তে আস্তে পরিবর্তন হয়ে যাবে।
নিজেকে সবসময় মোটিভেট রাখুন, পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ রয়েছে। সবাই কিছু না কিছু করছে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে আপনি কেন পারবেন না? নিজেকে প্রশ্ন করুন! নিজের কোন কোন বিষয়গুলোতে ঘাটতি রয়েছে, সেগুলোকে ঠিক করে আবার জীবন পথে ঝাপিয়ে পড়ুন। সফলতা অবশ্যই আপনার দ্বারপ্রান্তে আসবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
হতাশা খুবই খারাপ জিনিস। হতাশা মানুষকে ডিপ্রেশনে পতিত করে। হতাশার বিষয়গুলোকে মন থেকে দূরে সরিয়ে আগামী দিনের জন্য ভাবতে হবে এবং সেই আগামীর পথ চলায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। যে হতাশাকে ধরে বসে থাকবে সেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।