ক্লাস ৩ এর শিশু ও!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এমন একটা নিউজ চোখের সামনে এসেছে। যে নিউজটা পড়ার পর মনে হলো যে, এই লেখাটি আমার চোখের সামনে না আসলেই বোধহয় আমার রাতের ঘুমটা অন্তত হারাম হয়ে যেতো না। কারণ এমন কিছু নিউজ মাঝেমধ্যে চোখের সামনে চলে আসে। যেগুলো দেখলে যতোটা না খারাপ লাগে, ততোটা বেশি মাথায় আসলে অসম্ভব রকমের মানসিক চাপ অনুভূত হয়। ঠিক এই ব্যাপারটাও একেবারে তেমন। অনেকেই হয়তো টাইটেলটি পড়ে কিছুই আন্দাজ করতে পারেন নি। অর্থাৎ যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মোটামুটি চোখ রাখে উনারা হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। আর যারা পারেনি, তাদের জন্য আমি ঘটনাটি একটু শর্ট করে বলছি।
অল্প কিছুদিন আগেই একজন শিশু রেপ হয়েছে। এবং শিশুটির বয়স হলো মাত্র ছয় বছর এবং শিশুটি শুধুমাত্র ক্লাস থ্রি এর স্টুডেন্ট। সে সেদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলো এবং সেই অবস্থাতেই আসলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় এবং তাকে মেরে একটা খেতের মাঝে ফেলে দিয়ে সেই লোকটি পালিয়ে যায় এবং বাচ্চাটির লাশের পাশে বাচ্চাটির জুতো, ব্যাগ সবকিছুই তখনও পরেছিলো। আর সেসব এর সাথে পরেছিলো সেই নিষ্পাপ বাচ্চাটির নিথর দেহ।
মাঝেমধ্যে এই মানুষগুলোকে ধরে আমার একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে যে, এতো অল্প বয়সী একটা বাচ্চার মধ্যে কি করে তারা কিছু খুঁজে পায়! অর্থাৎ এই বাচ্চাগুলোকে দেখলে মনের মধ্যে শুধুমাত্র মায়া ছাড়া আর কোনো কিছুই তো কাজ করার কথা নয়। এই ব্যাপারটি পড়ার পরেই নিজের শরীর ই কেমন যেনো শিওরে উঠেছিলো। কারণ আমাদের সমাজে আসলে কতোটা খারাপ মানুষ এখনো বেঁচে রয়েছে, আপনারাই চিন্তা করুন!।যার চোখে একটা ছোট নিষ্পাপ বাচ্চা পর্যন্ত সেইফ নয়!আর তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর ব্যাপার হলো। আমরা কেউ জানি না আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর মধ্যে এই ধরনের মানুষ আছে নাকি নেই! তাই সবাই সাবধান!!
এই ঘটনাটি আমিও কিছুদিন আগে শুনেছিলাম। আসলে এমন জঘন্য মন-মানসিকতার মানুষদেরকে ধরে সাথে সাথে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া উচিত। আমাদের দেশে ধর্ষণের বিচার হয় না বলেই তো এই ধরনের ঘটনা ঘটে। বাহিরের দেশে ধর্ষণের শাস্তি সরাসরি মৃত্যুদন্ড। ভাবতেই অবাক লাগে, মানুষ এতো নিকৃষ্ট কিভাবে হতে পারে। এটা আমাদের বাঙালি জাতির জন্য সত্যিই লজ্জার। আমরা এতো ছোট্ট একটি শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি না।
এ নিউজটি আমি নিজেই পড়েছি। আসলে আজকে মানুষের মধ্যে পশুত্ব মনোভাব অনেক বেশি। এই মানুষরূপী অমানুষগুলি হিংস্র জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। তাদের কাছে শিশু বাচ্চা পর্যন্ত রেহায় পায় না। নিউজটি পড়ে খুবই কষ্ট লাগলো। এই যৌনজীবীদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত।